মোঃ ইব্রাহিম হোসেনঃ শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে সনাতন ধর্মাবলম্বীসহ দেশের সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়েছে বাংলাদেশ কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক এবং ঢাকা মহানগর উত্তর মিরপুর থানা আওয়ামী লীগের সাবেক আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট শেখ জামাল হোসেন মুন্না।
বুধবার (৯ অক্টোবর) এক শুভেচ্ছা বার্তায় তিনি বলেন, ‘সব ভয়-ভীতি, হুমকি, চোখ রাঙানি মোকাবিলা করে দেশের অতীত ঐতিহ্য রক্ষা করে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বাংলাদেশে দুর্গাপূজা উদযাপিত হবে বলে আমি আশা করছি।’
অ্যাডভোকেট শেখ জামাল হোসেন মুন্না বলেন, ‘এবারকার দুর্গাপূজা এসেছে বাংলাদেশে এক ভীতিকর অরাজক পরিস্থিতির মধ্যে। সামগ্রিক পরিস্থিতি পূজার অনুকূলে না থাকায় অনেকেই এবার পূজা অনুষ্ঠান বাতিল করে দিয়েছেন। সাম্প্রতিক সময়ে বেশ কিছু জায়গায় প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে, পূজা কমিটির কাছে চাঁদা দাবি করেছে, পূজার সময়ে মাইক বাজানো যাবে না বলে হুঁশিয়ারি করেছে, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে নিষেধাজ্ঞা দিচ্ছে। এমন নানাবিধ ভয়-ভীতির মধ্য দিয়ে অতিক্রম করতে হচ্ছে প্রতিটি সনাতন ধর্মের মানুষকে। এগুলো ঘটছে প্রকাশ্য দিবালোকে প্রশাসনের সম্মুখেই। এগুলো দেখভাল করার মতো কেউ নেই। ফলে সনাতন ধর্মের মানুষেরা এক ধরনের আতঙ্কের মধ্যে অবস্থান করছেন।’
অ্যাডভোকেট শেখ জামাল হোসেন মুন্না আরো বলেন, ‘এদেশের হিন্দু সম্প্রদায় মনে করে পূজা চলার সময়ে মন্দির কিংবা পূজারী আক্রান্ত হতে পারেন। বহুবিধ প্রতিকূল অবস্থা মোকাবিলা করে সনাতন ধর্মের মানুষ নিজেদের উদ্যোগেই পূজা করেছেন। কখনো কোনো পাহারাদারের প্রয়োজন পড়েনি।’
শেখ জামাল হোসেন মুন্না বলেন, ‘বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভাপতি বঙ্গবন্ধু কন্যা কৃষকরত্ন জননেত্রেী শেখ হাসিনা বিশ্বাস করেন যে, ধর্ম যার যার উৎসব সবার। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সর্বদা অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের অবিতর্কিত মূল্যবোধের প্রতি শ্রদ্ধাশীল এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনির্মাণে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সব পর্যায়ের নেতাকর্মীসহ মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী প্রতিটি মানুষের প্রতি বাংলাদেশের ঐতিহ্যগত সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি অক্ষুণ্ন রাখতে এবং কাজ করার আহ্বান রইলো।’