খাস খবর বাংলাদেশ ডেস্কঃ বাড়ীর পাশেই রায়ের বাজার আকড়া মন্দীর, জন্ম ভারতের আসামের নওগাঁ। পুর্বপুরুষ বিক্রমপুর। ১৯৬৩ সাল থেকে রায়ের বাজারেই বসবাস। রাজনৈতিক পরিচয় মানবতার, মুক্তিযুদ্ধের দল আঃলীগের ওয়ার্ড সভাপতি।
বাঙালির মনের ভাষা, মিলনের অংশ হওয়াই আমার দায়ীত্ব কর্তব্য মনে করি। জাতি ধর্ম বর্ন নির্ভিশেষে আমরা ঈদ পুজকে মানুষের মিলনে বাধা হতে পারিনা। রায়ের বাজার পুলপার মসজিদ মন্দির পাশাপাশি অবস্থানে নজির সৃষ্টি করেছে। সকাল থেকে রাত, রাত থেকে সকাল ঢোলের বাদ্রযন্ত্রে মুখরিত। ইচ্ছে করলেও পরিত্রান নেই। পুজামণ্ডপের নিরাপত্তার দায়ীত্ব আমাদের উপরই ন্যাস্ত। কখনো দায়ীত্ব পালনে অবহেলা করা হয় নাই। রায়ের বাজার পুজামণ্ডপে নিরাপত্তার বিগ্নঘটে নাই। আশা করি কখনো ঘটবেও না। তবু নিরাপত্তা বাহিনী ও রাজনৈতিক কর্মী বাহিনীর দায়ীত্ব যথাযথ পালন করা হয়।
ভারত বাংলাদেশ ৬৩ বছরের জীবনে আমি কখনো ধর্মীয় প্রতিহিংসার শিকার হইনাই। প্রতিহিংসা বহন করিনাই। সম্পদায়ীক সম্পপ্রতি বজায় রেখেই চলেছি এবং আমি তার সুফলও পেয়েছি, মানুষকে ভালোবাসার প্রতিদান থেকে আপনি বঞ্চিত হবে না। মাঝে মাঝে আমার ভাবনার বিষয় কেনো বাঙালির একটা আবাসভূমি হলো না ভাষার জন্য। ধর্ম যদি বিচারের মাপকাঠি হয়, তবে ভারততো মুসলমান মুক্ত নয়। তবে আমরা কেনো ধর্ম নিয়ে বিভাজন সৃষ্টি করছি।
হিন্দু মুসলিম বিতর্ক করতে না পারলে, শরিয়ত মারফত করে নিচ্ছি, বিতর্ক হতেই হবে। আমরা জাতিব্যাদ থেকে মানুষ হবো কবে ? কবে আমরা একে অপরের ঈদ- পুজতে বিদ্বিধায় মহামিলনে পরিপূর্ণ করতে পারবো ?
লেখকঃ মহাসচিব বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতি