মোঃ ইব্রাহিম হোসেনঃ দুর্নীতিবাজ, ভূমিদস্যু, চোরাকারবারি ও সন্ত্রাসীদের আওয়ামী লীগের জায়গা নেই বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
আজ ১১ অক্টোবর ২০২১ রোজ সোমবার দুপুরে রাজধানী মোহাম্মদপুরে সূচনা কমিউনিটি সেন্টারে ঢাকা মহানগর উত্তরের ২৯ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের ইউনিট সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ওবায়দুল কাদের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় সম্মেলন করার প্রতি গুরুত্বারোপ করে বলেন, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় সম্মেলন করলে অন্তঃকোন্দল কমবে।
ভূমিদস্যু, মাদক কারবারি ও সন্ত্রাসীদের আওয়ামী লীগে ঠাঁই না দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘নিজের লোক বাড়ানোর জন্য এমন খারাপ লোকদের দলে টেনে আনবেন না। খারাপ লোকেরা বসন্তের কোকিল। দুঃসময়ে হাজার পাওয়ারের বাতি দিয়েও খুঁজে পাওয়া যাবে না। দুঃসময়ে খাঁটি ও ত্যাগীরাই মাঠে থাকবেন। ভালো মানুষ যত আওয়ামী লীগে আসবে আমরা তত শক্তিশালী হবো। দলে যদি কিছু খারাপ লোক থাকে, এগুলোকে বাদ দিয়ে দেন। আওয়ামী লীগে ত্যাগী কর্মীর অভাব নেই। দরকার নেই খারাপ লোকের। খারাপ লোকদের বাদ দিয়ে ভালো মানুষদের নিয়ে আমরা আওয়ামী লীগ করব। সেই আওয়ামী লীগ আগামী নির্বাচনে অংশ নিবে।’
গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় সম্মেলন করার গুরুত্বারোপ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় সম্মেলন হলে আমাদের দলের ভেতরের অন্তঃকলহ অনেকটা মিটে যাবে। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় আপনারা যদি নেতা নির্বাচিত করেন তাহলে দলের অভ্যন্তরে রেষারেষি, কোন্দল তৃণমূলেই থেমে যাবে। এটা আর নতুন করে সমস্যার কারণ হবে না।’
দলের প্রতিটি ইউনিটের নেতাকর্মীদের গণসংযোগ করার নির্দেশনা দিয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, এর মাধ্যমে প্রতিটি ঘরে আওয়ামী লীগের কি অবস্থা তার হিসেব করা যাবে।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আপনারা জনমতের একটি রিপোর্ট তৈরি করবেন। যা মহানগরের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় কমিটিতে জমা দিবেন। সেখানে আওয়ামী লীগের অবস্থা কি? শেখ হাসিনার প্রতি মানুষের আস্থা কতটা? তাঁর কর্মসূচিতে মানুষ কতটা খুশি। অথবা কেউ যদি অসন্তোষ প্রকাশ করে সেটাও উল্লেখ করবেন। এটা করলে দল অনেক উপকৃত হবে।’
ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, আওয়ামী লীগকে আরও আধুনিক, সুশৃঙ্খল, সুসংগঠিত, আরো স্মার্ট পার্টি হিসেবে গড়ে তুলে আমরা আগামী নির্বাচনে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চাই।
এ সময় সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড মানুষের মাঝে তুলে ধরতে নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
২৯ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি সলিম উল্লাহ সলুর সভাপতিত্বে সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচি, সহ-সভাপতি আলহাজ্ব মোঃ সাদেক খান, সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল হক রানা, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক ও মোহাম্মদপুর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যক্ষ এম এ সাত্তার প্রমুখ।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, মোহাম্মদপুর থানা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মোঃ আলাউদ্দিন, সহ-সভাপতি মোঃ আনসার আলী, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মোঃ তোফায়েল সিদ্দিক তুহিন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ফখরুদ্দিন আহমেদ বাচ্চু, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ শাহাজান খান, অর্থ বিষয়ক সম্পাদক এনাম-ই-খোদা জুলু, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) ৩১, ৩৩ ও ৩৪ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত কাউন্সিলর ও মোহাম্মদপুর থানা আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক রোকসানা আলম, ২৯, ৩০ ও ৩২ নং ওয়ার্ড (সংরক্ষিত কাউন্সিলর) ও মোহাম্মদপুর থানা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং ঢাকা মহানগর উত্তর মহিলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্য শাহিন আক্তার সাথী, ২৯ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপ-কমিটির কার্যনির্বাহী পরিষদের অন্যতম সদস্য ও বায়তুস সালাহ জামে মসজিদ-মাদ্রাসার সভাপতি এবং শপিং কমপ্লেক্সের সাধারণ সম্পাদক মোঃ ওমর ফারুক, ৩২ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সৈয়দ হাসান নূর ইসলাম রাষ্টন, ৩৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আসিফ আহমেদ এবং মোহাম্মদপুর থানা, ওয়ার্ড, ইউনিট আওয়ামী লীগ এবং আওয়ামী লীগের অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মী, এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, সুধী সমাজ এবং সাংবাদিকবৃন্দ সহ প্রমুখ।