মোঃ ইব্রাহিম হোসেনঃ ঢাকা মহানগর উত্তর রাজপথের লড়াকু সৈনিক যুবদলের সদস্য সচিব সাজ্জাদুল মিরাজ। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বিভিন্ন বিষয়ে পোস্ট করে নিজের অবস্থান জানান দেন তিনি।
আজ ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ রোজ সোমবার নিজের ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে সাজ্জাদুল মিরাজ লিখেছেন, সকলের অবগতির সাথে জানাচ্ছি যে, বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে কিছু অনুপ্রবেশকারী বিএনপির নাম ব্যবহার করে নানান ধরনের অকর্মে লিপ্ত হচ্ছে এবং দায়িত্বশীল নেতৃবৃন্দ নামে বিভ্রান্তিমূলক মিথ্যা ও বানোয়াট কথাবার্তা বলে নেতাকর্মীদের মনোবল নষ্ট করছেন। এতে দলের নেতাকর্মী সতর্কতা অবলম্বন করা প্রয়োজন।
আমি ঢাকা মহানগর উত্তর যুবদলের দায়িত্বরত অবস্থায় আমার নিজ বাসা এবং পল্টন দলীয় কার্যালয় ব্যতীত আমার কোথায় কারো অফিসে বসি না এই বিষয়টি সবার অবগত থাকা দরকার।
দেশনায়ক জনাব তারেক রহমানের সিদ্ধান্ত অমান্য করে দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থী কাজে লিপ্ত থাকায় দলের সার্থে অনেককে বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্তা নেওয়া হয়েছে এবং অনেকেই আমাদের বিরুদ্ধে নানান ধরনের অপপ্রচার করে বেড়াচ্ছেন যা কোন ভাবেই কাম্য নয়। আমরা যারা দীর্ঘদিন জুলুম নির্যাতন সজ্য করে দীর্ঘ সময় স্বৈরাচারী হাছিনা সরকারের দিন পার করেছি, যাদের স্বজনরা গুম ও খুনের স্বীকার হয়েছেন তারা কখনো লুটপাট বা দখল বাজি করবে না এটা জাতীয়তাবাদী দল বিশ্বাস করে। আমরা যারা স্বৈরশাসক দ্বারা নির্যাতিত হয়ে দীর্ঘ সময়ে রাজপথে গুলির সামনে দাড়িয়ে নেতৃত্ব দিয়েছি অন্তত আমাদেরকে নিয়ে বাজে মন্তব্য না করে সামান্য সম্মানটুকু তো আপনারা করবেন….!
আর আপনাদের মধ্যে যারা বাসায় বসে নেতৃত্ব দিয়ে এখন সুসময়ে গর্ত থেকে বের হয়ে বলছেন, আপনারা ত্যাগি নির্যাতিত, কই, আমরা তো আপনাদের একবারও বলছি না কোথায় ছিলেন এতোদিন.?? কারন, আমার নেতা দেশনায়ক জনাব তারেক রহমান আমাকে একটা শিক্ষা দিয়েছেন, সেটা হলো.. উনি আমাকে বলেছেন, মিরাজ রাজপথে যুদ্ধ সবাই করে না। যুদ্ধ করে একজন আর সুবিধা নেও ১০ জন। আমি, আমার নেতার সূত্র অবলম্বন করে সব কষ্ট বুকে চাপা দিয়ে আপনারা যারা বাসায় বসে বসে রাজনীতি করে আজ বলছেন ত্যাগি তাদেরকে বুকে টেনে নিয়ে রাজনীতি করছি।
সম্মানিত, আপনারা যারা সাধারণ নেতাকর্মী আছেন।।। সকলে উদ্দেশ্যে আরো একটি কথা বলে আমার লেখাটুকু শেষ করবো সেটা হলো, বৈষম্য ছাত্র – জনতার আন্দোলনে আমি যেভাবে নেতৃত্ব দিয়েছি আমার সাথে থাকা ৬ জন গুলিতে নিহত সাথে আমিও চলে যেতে পারতাম। একবারও পরিবার পরিজনের কথা চিন্তা করিনি, একবারও ভাবিনি যে, আমার দুইটা ছেলে ও একটা মেয়ে আছে….একবারও ভাবিনি স্বৈরাচারী হাছিনার পতন না হলে আমার অবস্থা কি হবে..??
আপনারা কেউই কি একবারও চিন্তা করছেন আমার অবস্থা কি হতো….? না কেউই করেননি। কারন,,,, তখন আপনারাই বলতেন ভালো হয়েছে বাসা বসে ছিলাম। মিরাজ বেশী বুঝে কে বলেছে ওকে এভাবে আন্দোলন করতে……..?