মোঃ মিজানুর রহমান (মিজান) রিপোর্টারঃ কিংবদন্তি রবীন্দ্রসংগীতশিল্পী সাদী মহম্মদের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন তাঁর ছোট ভাই নৃত্যশিল্পী শিবলী মোহাম্মদ।
আজ বুধবার (১৩ মার্চ) রাত ৯টার দিকে সাদীর মৃত্যুর সংবাদ পাওয়া যায়। খবরটি ইনডিপেনডেন্ট ডিজিটালকে নিশ্চিত করেন শিবলী মোহম্মদ।
তিনি বলেন, ‘আমি কথা বলার মতো অবস্থায় নেই। ভাই আমার আর নেই। আর বেঁচে নেই।’ শিবলী জানান, আজও সাদী তানপুরা দিয়ে গানের অনুশীলন করেছেন। সন্ধ্যার পর হঠাৎ দেখেন ঘরের দরজা বন্ধ। তখন দরজা ভেঙে তাঁর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেন।
২০২৩ সালের জুলাই মা জেবুন্নেছা সলিমউল্লাহ (৯৬) মারা যান। এরপর থেকেই মানসিকভাবে বিধ্বস্ত ছিলেন সাদী। বিষয়টি নিয়ে তাদের ঘনিষ্ঠজন নৃত্যশিল্পী শামীম আরা নিপা বলেন, ‘মা মারা যাওয়ার পর থেকেই একটা ট্রমার মধ্যে চলে যান শিল্পী সাদী মহম্মদ। ঠিক স্বাভাবিক ছিলেন না মানসিকভাবে। নানা সময়ে জীবন নিয়ে আক্ষেপ করতেন।
শহীদ পরিবারের সন্তান সাদী মহম্মদ। তাঁর বাবা শহীদ সলিমউল্লাহ। ১৯৭১ সালে মোহাম্মদপুরের তাজমহল রোডের তাঁদের বাড়ি ছিল স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম সূতিকাগার।
একাত্তরের ২৩ মার্চ তাজমহল রোডের সেই বাড়িতে সেজ ছেলে সাদী মহম্মদ তকিউল্লাহর আঁকা বাংলাদেশের পতাকা ওড়ান বাবা সলিমউল্লাহ। সেই পতাকা সেলাই করে দিয়েছিলেন সাদী-শিবলীর মা জেবুন্নেছা সলিমউল্লাহ। পতাকা ওড়ানোর সূত্র ধরে একাত্তরের ২৬ মার্চ অবাঙালি বিহারি ও পাকিস্তানি সেনাদের আক্রমণের লক্ষ্যবস্তু হয়ে ওঠে সলিমউল্লাহর বাড়ি। পুড়িয়ে দেওয়া হয় পুরো বাড়ি। গুলিতে শহীদ হন সলিমউল্লাহ।