জনাব রবিউল আলমঃ কল্যাণ কর এই পৃথিবীতে, অকল্যাণের বার্তা বহন ও প্রচারের মাধ্যম ও আছে। আছে বলেই আল-জাজিরা সহ একাধিক মিডিয়া একাধিকবার প্রমান করে চলেছেন সঠিক তথ্য বিহীন সংবাদ ও প্রতিবেদন প্রকাশ করে। আনিস, হারিস,যোশেবরাই দণ্ড মোকুব পেয়েছে এমন নয়। দণ্ড মোকুব পেয়েছেন মহাত্মা গান্ধী, ইন্দিরা গান্ধির খুনিরাও। মইজুদ্দিনের খুনি আজম খান সহ অগুনিত খুনি রাজনৈতিক কারনে। মোস্তফা ও মোরশেদ হত্যার প্রকাশ্য আসামী ছিলেন না আনিস, হারিস। মোরসেদ হত্যা হয়েছিল কোটে। তৎকালীন রাজনৈতিক প্রতিহিংসা থেকে, প্রশাসনের অসহযোগিতা জোশেবকে আসামী হতে হয়েছে। সত্য প্রমানের অভাবে, প্রকৃত সাহ্মী হাজির করা যায় নাই রাজনৈতিক কারনে। আদালতে আসামী পহ্মের সাহ্মীর অভাব ছিলো। বাদি পহ্মের মিথ্যে সাহ্মী ছিলো সাজানো। নিরুপায় অন্ধ আইন মজিব আদর্শে বিশ্বাসী ছাত্রনেতা যোশেব, কমিশনার হারিস আহম্মেদ, আনিস আহম্মেদকে সাজা থেকে বাচানো যায় নাই। নেয়সংগত বিচার পাওয়ার জন্য প্রতি পদে পদে বাধা ছিল। মোস্তফাকে ব্যবসায়ী, মোরশেদকে ছাত্র বলে আল-জাজিরা সহ কুচক্রী মিডিয়া পরিচয় জাহির করছেন। এই তথাকথিত খুন হওয়ারা কত বড় সন্ত্রাসি ছিলো, মোহাম্মদপুরে দীর্ঘদিন রাজনীতির সাথে যুক্ত না থাকলে কল্পকাহিনি মনে হতো। সত্য বলেই বিশ্বাস করতে হতো। মোরশেদ বিএনপি-জামাতে অস্ত্রবাজ ক্যাডার ছিলো, একাধিক হত্যার মামলার আসামী। মোস্তফা ফ্রিডম পার্টির ক্যাডার পাগলা মিজানের ভাই। শেখ হাসিনার বাড়ীতে হামলার ও পরিকল্পনায় ছিলো বলেই মনে করি। হারিস-যোশেবের অপ্রতিরোদ্ধ রাজনীতিকে মোকাবেলা করতে না পেরে আমার মনে হয় নিজ দলের লোক হত্যা করেই মিথ্যে মামলার আসামী করা হয়,সত্য ও হতে পারে। পৃথিবীতে এমন ঘটনা শুধু আহম্মেদ পরিবারেই ঘটে নাই। বড় বড় দেশপ্রেমি পাকিস্তান ও বৃটিশ বিরোধী আন্দোলনের ঘটেছে খুধিরাম,কর্ণেল তাহের সহ অনেক কেই ফাসী নিতে হয়েছে। পৃথিবীর সব দেশেই সাধারন হ্মমার অধিনে সংশোধন হওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়। এই সরকার আহম্মেদ পরিবারকে দয়া করেছে বলে আমি মনে করি না। ২০ বছর কারভোগের পর সাধারন হ্মমা তাদের অধিকারে মধ্যে পরে বলেই আমি মনে করি। আল-জাজিরা কী জান্তো না দণ্ড মোকুবের বিষয় ? পরবর্তি অপরাধ না হওয়া পর্যন্ত, আইনের অধিনে না আসা পর্যন্ত পলাতক, ফেরারী বলা যাবে না। আল-জাজিরা বলেছেন। বড় বড় লেখক লেখবেন, বিশ্লেষন করবেন অনেক বিষয়। আমি শুধু এই একটি ভুলের জন্যই প্রতিবেদন প্রশ্নবৃদ্ধ হয়েছে বলে মনে করি। আল-জাজিরাকে জবাবদিহিতায় আনার জন্য যথেষ্ট,প্রতিবেদন উদ্দেশ্য প্রনিত, স্বার্থ সংশ্লিষ্ট। দেশে দেশে আল-জাজিরা বিভ্রান্ত ছড়ানো বাহক বলে অনেকবার চিহ্নিত হয়েছে, নিষিদ্ধ হয়েছে, মিথ্যেবাদি মিডিয়ার স্বীকৃতি পেয়েছে, আমরা পুরুস্কৃত করতে পারি। আল-জাজিরার চেয়ে বড় মিথ্যেবাদি মিডিয়া এই পৃথিবীতে আবিস্কার করা যাবে না বলে। মজিব জন্মশতবার্ষিকীতে আল-জাজিরা এই মিথ্যে প্রতিবেদন প্রকাশ করে বাংলাদেশকে অনেক বড় হ্মতির হাত থেকে সতর্ক করেছেন। কী পরিমান দেশীয় ও আন্তর্জাতিক প্রতিপহ্ম ওত পেতে আছেন, অবহিত করেছেন, কিছু অপ-সাংবাদিকের মুখোশ উম্মুচন করেছেন। এখন সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে, আগামীদিনের জন্য, আমরা তাদের হাতে অপপ্রচারের জন্য কোন অস্ত্র তুলে না দেই।বুঝতে হবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মানবিক গুনের কথা নাই, গৃহহীনদের গৃহদান, উন্নয়ন, অর্থনৈতিক মুক্তি, ধর্মীয় অনুশাসন মসজিদ মন্দির। তাহাজুতের নামাজ, কোরআন তেলোয়াত, সততার বানী নাই এই প্রতিবেদনে। বুঝতে হবে উদ্দেশ্যপ্রনিত।
লেখকঃ বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতির মহাসচিব ও রাজধানী মোহাম্মদপুর থানার ৩৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামলী লীগের সভাপতি জনাব রবিউল আলম।