মোঃ ইব্রাহিম হোসেনঃ নিরাপদ নারী,নিরাপদ দেশ ‘ সুখি সমৃদ্ধ বাংলাদেশ”এই স্লোগানকে সামনে রেখে রাজধানীর তুরাগে ধর্ষণ ও নারী নির্যাতন বিরোধী বিট পুলিশিং সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার সকালে তুরাগের বাউনিয়া আব্দুল জলিল হাই স্কুলের সামনে এ সমাবেশের আয়োজন করে তুরাগ থানা ৫ নং বিট পুলিশ।
এসময় উপস্থিত ছিলেন উত্তরা জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার ফেরদৌস, ডিয়াবাড়ি ফাঁড়ির ইনচার্জ এস আই আল আমিন, হরিরামপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ আইন বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট জুয়েল আহমেদ,তুরাগ থানা কৃষক লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি সাজেদুল ইসলাম,৫২ নং ওয়ার্ড যুবলীগ নেতা সোহেল মিয়া,তুরাগ থানা ছাত্রলীগের সভাপতি সফিকুল ইসলাম,৫২ নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি আল আমিন,৫২ নং ওয়ার্ড কৃষক লীগের সভাপতি সুমন চন্দ্র সরকার দলু, সাধারণ সম্পাদক মোক্তার হোসেন সহ বাউনিয়া আব্দুল জলিল স্কুলের শিক্ষক শিক্ষার্থী সহ অন্যান্যরা।
উপস্থিত তুরাগ থানা কৃষক লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি সাজেদুল ইসলাম বলেন, বর্তমান সরকার নারী বান্ধব সরকার। ধর্ষণের মতো ঘৃণিত অপরাধের শাস্তি তাই মৃত্যুদণ্ড করা হচ্ছে। বর্তমানে ধর্ষণ ও নারী নির্যাতন একটি সামাজিক ব্যাধিতে পরিণত হয়েছে। এটি কারো একার পক্ষে প্রতিরোধ করা সম্ভব না। প্রয়োজন পারিবারিক ও সামাজিক ভাবে প্রতিরোধ গড়ে তোলা। ধর্ষণ প্রতিরোধে সর্বপ্রথম যা প্রয়োজন বলে মনে হচ্ছে তাহলো সকলের মাঝে নৈতিকতাবোধের জাগরণ। সুতরাং আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থায় ধর্মীয় ও নৈতিক শিক্ষার উপর প্রবল গুরুত্ব দেওয়া উচিত। ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলার মাধ্যমে নৈতিকতাবোধ সৃষ্টি ও নৈতিক অবক্ষয় রোধ করার মাধ্যমে নারীর প্রতি শ্রদ্ধাশীল মনোভাব সৃষ্টিই পারে ধর্ষণ প্রতিরোধে প্রধান ভূমিকা রাখতে। এছাড়া নারীদের ধর্ষণ সম্পর্কে সচেতন করে তোলা এবং হঠাৎ করে ধর্ষণের শিকার হলে নিজেদের বাঁচাতে পারে এমন আত্মরক্ষামূলক কৌশল শিখানো উচিত। পাশাপাশি অন্য আরেকটি ব্যাপার যা ধর্ষন প্রতিরোধে অনন্য ভুমিকা রাখতে পারে আর তাহলো পিতা-মাতা বা অভিভাবকের সতর্কতা।