শেখ আসাদুল্লাহ্ আহমেদ (আপন), ষ্টাফ রিপোর্টারঃ জনগণের কাছে তওবা করে বিএনপিকে রাজনীতিতে আসার আহ্বান জানিয়েছেন ঢাকা ১৩ আসনের উন্নয়নের রূপকার আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক।
বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা ১৩ আসনের আদাবর থানার শেখেরটেকে শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ অনষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, বিএনপি নামক রাজনৈতিক দলটি রাজনীতিতে খেই হারিয়ে ফেলছে। তাদের কাছে আর কোনো রাজনৈতিক ইস্যু নেই, তাদেরকে জগণের কাছে তওবা করে আবার বাংলাদেশের রাজনীতিতে আসতে হবে।
তিনি আরো বলেন, বিএনপি দলটার কাজ সর্বদা ষড়যন্ত্র করা। তাদের ষড়যন্ত্র প্রতিহত করেই ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত জাতীয় নির্বাচনে দেশের জনগণ স্বতস্ফূর্তভাবে আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়েছে। তারা এখন ষড়যন্ত্র করে দেশের উন্নয়ন-অগ্রগতিকে বাধাগ্রস্ত করতে চায়। কিন্তু সফল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে ইতোমধ্যে ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করেছে। এখন তিনি লক্ষ্য স্থির করেছে স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করার।
পাট ও বস্ত্রমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ‘রূপকল্প-২০৪১’ বাস্তবায়নের মাধ্যমে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দেশের এই উন্নয়নে বিএনপি-জামায়াত ষড়যন্ত্র করলে আমরা জনগণকে সঙ্গে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে তাদের প্রতিহত করব।
সর্বস্তরের জনগণের ভালোবাসায় সিক্ত জননেতা জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, মোহাম্মদপুর, আদাবর ও শেরে বাংলানগরের সর্বস্তরের জনগণ আমাকে বিপুল ভোটে বিজয়ী করেছে। তাদের প্রত্যাশা পূরণে নিরলসভাবে কাজ করে যাব।
দলীয় নেতাকর্মীদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা সর্বদা বাংলাদেশের জনগণের পাশে আছে, পাশে থাকবে। বিএনপি নামক অপশক্তি জনগণের পাশে থাকে না মানুষকে কষ্ট দেয়, হত্যা করে, জ্বালিয়ে পুড়িয়ে মারে।
শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল হক রানা, মোহাম্মদপুর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যক্ষ এম.এ. সাত্তার, ৩০ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবুল, ১০০ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের বিপ্লবী সাধারণ সম্পাদক ও সদ্য সমাপ্ত ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে সভাপতি পদপ্রার্থী ফরিদ আহমেদ সহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরগণ।