জনাব রবিউল আলমঃ বাংলার মানুষকে ধর্মের অপব্যাহ্মায় জর্জরিত করা হচ্ছে সেই আদিকাল থেকে। সাম্প্রদায়ীক সম্প্রিতি বিনষ্ট করার জন্য ধর্মের অপব্যবহারের বিকল্প আজও আবিস্কার করতে না পেরেই বার বার জাতিকে একি শিকলে বাধার চেষ্টা করা হচ্ছে। সেই শিকলে বাধা পরছে ফাঁদ পাতা ওয়াজের নামে ভন্ডদের কাছে।
ফেসবুকের জালে, কিছু ভাড়া টিয়া লোকদ্বারা ওয়াজ বন্ধ করা হয়, আমাদেরও কিছু অতি উৎসাহি থাকতে পারে। যারা না বুঁজেই পাতানো ফাঁদে পড়ে। এই তথাকথিত ভণ্ডদেরকে, কে না চিনেন। পারমিশন দেওয়ার আগে কেনো বয়ান কারীকে চিহ্নিত করা হয় না ? ওরা ব্যাংকে সুদের টাকা ছাড়ে না, ক্যাসিনোর টাকায় ওয়াজ হলেও খবর রাখে না, মদ বেচার টাকায় খাসী জবাই হলো কীনা, জিগ্যেস করার প্রয়োজন অনুভব করেন না।ফেসবুকে ঝড় তুলেন ইসলাম প্রচারে বাধার জন্য। কোনো ব্যবস্থা গ্রহন করতে চাইলে, আগেই করুন। যারা ওয়াজ চলাকালীন সময় ফেসবুকে আসার জন্য বাধা সৃষ্টি করে, তাদেরকে গ্রেপ্তার করুন, ঐ ওয়াজ থেকে ঐ ফেসবুকেই প্রচার করুন বাধা দেওয়ার শাক্তি।আমি বিশ্বাস করি এই অতি উৎসাহি বাধা সৃষ্টি কারিরা শেখ হাসিনার মঙ্গল চাইতে পারে না।পাতানো ফাঁদে পা দিবেন না।
তুরস্কের কামাল আতাতুর্কের ভাস্কর্য নির্মিত হচ্ছে ঢাকায়, দেখিনা ছিরে পদ্মা না যমুনা ফেলা হয় ? প্রশ্ন আমাদের আছে একজন মুসলিম জাহানের মহান নেতার সম্মান রহ্মার্তে। জানিনা আপনাদের মত ইসলামের ঠিদাদারদের কাছ থেকে কী ঘোষণা আসবে, কামাল আতাতুর্কের ভাস্কর্যতো আর ইসলামের কোনো হ্মতি অথবা বিনষ্ট করতে পারবেনা আরব্য মাটি থেকে আল্লাপাক রাব্বুল আলামিন সৃষ্টি করার জন্য, খামিনীর ভাস্কর্য আজ আমেরিকাকে হুমকি দিচ্ছে।
বাংলাদেশের জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে তো আপনাদের ষড়যন্ত্রে মৃত্যুর স্বাদ নিয়ে হয়েছে, তৈয়ার করেছিলেন ভারতীয় উপমহাদেশের মাটি থেকে তার ভাস্কর্য বুড়িগঙ্গায় ফেলা অতি সহজ মনে করেছিলেন বলেই হুঙ্কার দিয়ে চলেছেন, রাজনৈতিক ফায়দা হাসিল করতে চাচ্ছেন,কামাল আতাতুর্কের ভাস্কর্যের বিষয়টা পরিস্কার করার জন্য আগেই ঘোষণা করা হলে দেশের ও জনগণের জানমাল রহ্মা পেতো। আপনাদের বুকের পাটা ও ইমাম আকিদার জোর সম্পর্কে দেশবাসী ধারনা মজবুদ হতো।
লেখকঃ বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতির মহাসচিব ও রাজধানী মোহাম্মদপুর থানার ৩৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামলী লীগের সভাপতি জনাব রবিউল আলম।