March 20, 2025, 7:18 am
শিরোনামঃ
ঢাকাস্থ রাজবাড়ী জেলা সাংবাদিক সমিতির ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত আদাবর থানার ১০০ নং ওয়ার্ড বিএনপি’র উদ্যোগে দোয়া মাহফিল ও ইফতার বিতরণ রাজধানী মোহাম্মদপুরে রোজাদারদের মাঝে ছাত্রদলের ইফতার বিতরণ তৃতীয় বারের মতো ডিএমপির শ্রেষ্ঠ পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ হাফিজুর রহমান আদাবর থানা যুবদলের উদ্যোগে দোয়া মাহফিল ও ইফতার বিতরণ রাজধানী মিরপুরে যুবদল নেতা সাজ্জাদুল মিরাজের শাড়ী ও লুঙ্গি বিতরণ চন্দ্রিমা হাউজিং ইউনিট বিএনপি’র উদ্যোগে দোয়া মাহফিল ও ইফতার বিতরণ বাউফল মোবাইল শপে চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে মানববন্ধন যুবদল পরিচয়ে কেউ দখল-বাণিজ্য করলে আটক করুন কালুখালীতে বিভিন্ন কওমী মাদ্রাসা ও এতিমখানায় উপজেলা প্রশাসনের খেজুর বিতরণ

ড. মোহাম্মদ ইউনুসের কর্মকান্ডে বাঙালির হৃদয়ে রক্তক্ষরণঃ আঃ রহমান শাহ্

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট সময় : Sunday, July 7, 2024
  • 608 Time View
ড. মোহাম্মদ ইউনুস, গ্রামীন ব্যাংক, নবেল প্রাইজ, রাজনীতি, উন্নয়ন, ক্ষুদ্র ঋণ, সামাজিক ব্যাবসা, অর্থপাচার, লবিষ্ট নিয়োগ, বাঙালির হৃদয়ের রক্তক্ষরণ। ড. মোহাম্মদ ইউনুস একজন উদ্বেগতা, সৃজনশীল লোক, তার অর্জন, তার থিউরি, গ্রামীন ব্যাংক, গ্রামীন ফোন সব কিছু মেনে নিলেও ক্ষুদ্র ঋণের প্রবক্তাদের মধ্যে তিনিই প্রথম না। কবি গুরু রবীন্দ্রনাথ বাংঙ্গালীর মধ্যে প্রথম ক্ষুদ্র ঋণের প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করেন, তিনি কৃষকের মধ্যে ক্ষুদ্র ঋণ ও ক্ষুদ্র উদ্বেগ শুরুও করেছিলেন, তার ছেলেকে তিনি কৃষি বিষয়ে পড়াশুনা করার জন্য বিদেশে পাঠিয়েছিলেন, স্বাধীনতার পর বংঙ্গবন্ধুই প্রথম পোরা ভিটা, যুদ্ধ বিদধস্ত অর্থনীতি পুনরুদ্ধার, পুনর্বাসনের জন্য কৃষি ঋণ ও ক্ষুদ্র ঋণের প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করে সদ্য স্বাধীন দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের নিয়ামক মনে করে রাষ্ট্র্রায়ত্ব ব্যাংক গুলোকে জামানত বিহীন কৃষি ও ক্ষুদ্র ঋণ বিভাগ চালু করার নির্দেশ দেন, স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় প্রবাসী ও বাংলাদেশ সহায়তা ফান্ডের ট্রেজারার ফজলে হোসেন আবেদ ও ডঃ হুদাকে ঐ ফান্ডের অব্যাবহৃত অর্থ দিয়ে এবং অব্যাহত ভাবে আসা সাহায্য তহবিল দিয়ে সমাজকল্যানে নিবন্ধন করে গ্রামে পাড়া মহল্লায় ক্ষতিগ্রস্থ যুদ্ধ বিদ্ধস্ত মানুষকে পুনর্বাসনের জন্য কৃষি ও ক্ষুদ্র ঋণ সহায়তা করতে বলেন। অতঃপর ফজলে হাসান আবেদ ব্রাক ও ডঃ হুদা তার সহযোগী শুভাকাঙ্ক্ষী স্বাধীনতার স্বপক্ষের বন্ধু দের নিয়ে এনজিওদের এপেক্স বডি এডাব ADAB গঠন করেন, সেখানে ডা. জাফরুল্লাহ, কাজী ফারুক ও ছিলো, পরবর্তীতে ড.এফ আর মাহমুদ হাসান, জিএসএস গঠন করেন এবং ডা. জাফরউল্লাহ, জিকে গঠন করেন, ডা. রশিদ ভি এইচ এস, আরো পরে মিসেস রাশেদা কে চৌধুরী গণস্বাক্ষরতা গঠন করেন এরা সহ অনেক এনজিও স্বাধীনতার পর বিভিন্ন ভাবে গ্রামীন অর্থনীতি, স্বাস্থ্য সেবা, শিক্ষা, স্বাধীনতা যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার ও গ্রামীন কৃষি, ক্ষুদ্র ঋনের উদ্বেগ গ্রহন করেন, খৃষ্টান কমিউনিটি ও গ্রামিন জনপদের উন্নয়নে কেয়ার, কোরের, কিউসো, এরাও স্বাধীনতার পর রিলিফ, রিহ্যাবিলিটেসন, রাস্তা ঘাট উন্নয়নে যোগাযোগ ব্যাবস্থায় প্রভুত ভূমিকা রেখেছেন এখোনো অনেক প্রতিষ্ঠান যথার্থ ভূমিকা রেখে যাচ্ছন।
ড. মোহাম্মদ ইউনুস অনেক পরে এসেছেন সে হিসেবে তাকে লেটেস্ট বলা যায়, তার গ্রামিন ব্যাংক প্রতিষ্ঠায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমিকাও ছিলো, পরে তিনি এনজিও ও পরে গ্রামীন ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করেন সেখানেও সরকার ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সহায়তা ও প্রচুর লগ্নি ছিলো। ব্যাংক প্রতিষ্ঠায় রাষ্ট্রের ব্যাংকিং নীতিমালা মেনে চলতে হয়। তার কৃত অনিয়ম গুলো প্রথমদিকে সরকার জেনে বুঝেই ওভার লুক করেছে, যেহেতু গ্রামীন ব্যাংক প্রত্যন্ত গ্রামের দরীদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য কাজ করে। কিন্তু এই অনিয়ম যখন সীমা ছাড়িয়ে গেলো, যখন গ্রামীন ব্যাংক তার কো উদ্বেগতাদের ক্ষুদ্র বিনিয়োগের অর্থের হিস্যা, হিসাব না দিয়া সামাজিক ব্যাবসা ও বিদেশে বিনিয়োগের নামে অর্থপাচার শুরু করলো, জাতীয় সম্পদ থেকে ব্যাক্তিগত সম্পদ গঠন, পদ্মা সেতুতে বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে বাধ সাধা, অপপ্রচার ভূয়া বিজ্ঞাপন দেয়া, তখনতো আর সরকার নিরব থাকতে পারেনা।
ব্যাক্তিগত ভাবে আমি স্বাধীনতা উত্তর ১৯৭৩ সন থেকে ব্যাংকের চাকুরী, ব্যাংকের ঋণ, বিনিয়োগ পলিসি, স্ব উদ্যোগে সমাজ সেবা, ভলান্টারী কাজ করা, দেশের প্রতিবন্ধী পলিসি, শিশু অধিকার পলিসি, একটি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মানের এনজিও, ডিজেষ্টার রিলিফ ও মাইক্রো ক্রেডিট রিফর্ম করে প্রতিবন্ধী ও দরিদ্র জনগোষ্ঠীর আর্থসামাজি উন্নয়নে এখনো কাজ করে যাচ্ছি সে হিসেবে ন্যায় আর অন্যায়ের বিচার বিশ্লেষণ করে সত্যি কথা বলার অধিকারত আাছে।
ড. মোহাম্মদ ইউনুসের কেয়ার টেকার সরকারের সময়ের ভূমিকা, পদ্মা সেতুর ব্যাপারে তার ন্যাক্কার জনক ভূমিকা, বিশ্ব ব্যাংককে মিথ্যা তথ্য দেয়া, বিদেশে দেশ বিরোধী লবিষ্ট নিয়োগে সহায়তা করা, তার ভূমিকা একেবারে বেমানান যা তার পূর্ব অবস্থানের সাথে যায় না। তিনিতো দেশবাসীর আইডল হতে পারতেন, দোষে গুনে মানুষ, তিনিতো পারতেন সদ-উপদেষ দিতে। তা না করে তিনি কেবলই নিজের স্বার্থে সুদের কারবারির মতো দরীদ্রকে নিশ্ব করে সর্বহারা করলেন?
তাহলে তার অতীতের কর্মকান্ড কি শুধুই লোক দেখানো? তারতো দারীদ্র বিমোচনের পথিকৃৎ হওয়ার কথা, তবে তিনি কেনো সুদের মহাজন হলেন? কেনো বিধবার নাক ফুল বিক্রি করে ঋণের কিস্তি দিতে হবে ? কেনো মানুষ ঋণের কিস্তির জন্য আত্মহত্যা করবে?
জমিদারের পেয়াদার দরীদ্র কৃষকের খাজনার দায়ে শিশুর ভাতের থালা কেরে নেয়ার মধ্যে আর তার মধ্যে পার্থক্য কোথায়। আর একজন নবেল লরিয়েট দেশবরেণ্য বিশ্ববরেণ্য বুদ্ধি জীবি, ব্যাংকার, অর্থনীতিবিদ তার দেশ প্রেম, দেশাত্মবোধ বিসর্জন দিয়া শেষ বয়সে অগাধ সম্পত্তির লোভে যা ইচ্ছা তা করতে পারেন না। কেনো তাকে আজীবন এমডি বা চেয়ারম্যান থাকতে হবে। সরকার সেখানে চুপ করে বসে থাকতে পারে না।
যদিও অনিয়ম এখন নিয়মে পরিনত হয়েছে, তাই বলে একজন নবেল লরিয়েটও তাই করবেন!!!
লেখকঃ ঢাকা মহানগর উত্তর মোহাম্মদপুর থানার ৩১ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক আঃ রহমান শাহ্।
শেয়ার করুন
More News Of This Category
ডিজাইনঃ নাগরিক আইটি ডটকম
themesba-lates1749691102