পদ্মাসেতুর টোল কতো ? ফেরীর চাইতে দুই তিন, চারগুন হলেও আমার প্রশ্ন সেখানে নয়। আমার প্রশ্ন, পদ্মাসেতুর সাথে এনালগ পোস্তগোলা ও বাবুবাজার সেতুর টোল আদায় নিয়ে। বাশ দিয়ে গাড়ী আটক, টোল নিয়ে টানাটানি এখন আর চলতে পারে না। গ্যাস বিদ্যুৎ পানির বিল নিয়ে জনগনের ভোগান্তির শেষ ছিলো না। বিল এখন ডিজিটালে পরিষোদ করা যায়।বিদ্যুৎতে চুরি অনেকটা কমে এসেছে। কার্ড সিস্টেমে পুরোটা আনতে পারলে জনবল, চোরের দল, খাম্বা ব্যবসায়ীদের দিন শেষের পথ দেখানো হবে। গ্যাস ও পানি চুরি বন্ধ করার জন্য জাইকার অর্থায়নে জাপানের সাথে প্রিপেইড মিটারের কারখানা নির্মান হচ্ছে বাংলাদেশে। খবরটা অতন্ত্য সুখবর। বিদেশী ঋণ গ্রহনের বিচক্ষণতায় বাংলাদেশ নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়। জনকল্যাণের প্রয়োজনীয় কথাটা মাথায় রাখতে পারলে শ্রিলঙ্কা হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নাই। যুক্তরাষ্ট্র,যুক্তরাজ্য, চীন-জাপান হওয়ার সম্ভাবনা আছে। বাংলাদেশের মেগা প্রকল্পগুলো চিহ্নিত করুন, অনেক প্রশ্নের উত্তর আপনার কাছেই আছে। ৪২,৩৩,২৬,২৫ ঋণে শ্রিলঙ্কা, পাকিস্তান, নেপাল, ভুটান,আয় ছাড়া ব্যয়। হাওলাদ করে ঘি খাওয়ার গল্পের মতো, পারমানবিক বোমা ও উচ্চ বিলাসী হওয়ার মাসুল গুনছেন। বাংলাদেশের ঋণ ১২ % কর্মের জন্য। মানব জীবনের মুক্তির জন্য, বহিঃবিশ্বের চাহিদা পুরনের জন্য ও নিজেদের দক্ষতা প্রমানের জন্য। আমাদেরকে ডিজিটাল হতে ঋণের প্রয়োজন, বিলাসীতার জন্য নয়। পদ্মাসেতু, মেট্রোরেল, কর্ণফুলি টানেল, অর্থনৈতিক অঞ্চল,রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ, পায়রা বিদ্যুৎ ও বন্দর, মাতার বাড়ী গভির সমুদ্র বন্দর। উন্নয়নের নামের তালিকা প্রকাশ করা সম্ভব নয়। তবে একটি প্রকল্প বিলাসিতার ইঙ্গিত বহন করে না। বাঙালি হাওলাত করে ঘি খায় না। শ্রমের জন্য ও ঋণের প্রয়োজন।সবজি রপ্তানির জন্য একটা বিমান টার্মিনালের প্রয়োজন। ঋণ ছাড়া এগিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। ঋণকে ডিজিটালে আদায় ও পরিষোদ করতে হবে বিল, টোল, খাজনা। অপচয়রোধ করতে পারলে, বাঙালি বিশ্বকে চমকিয়ে দিবে, যদি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা থাকে আমাদের কাছে। হায়াতের মালিক আল্লাহ, ক্ষমতার মালিক জনগণ, সঠিক প্রয়োগের জন্য ডিজিটাল হতে হবে বাংলাদেশকে।
লেখকঃ বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতির মহাসচিব ও রাজধানী মোহাম্মদপুর থানার ৩৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি জনাব রবিউল আলম।