বিশ্বের কোনো নোবেলবিজয়ী রাষ্ট্রের টাকা পাচার করে সুদে ব্যবসা করে, নিজের দেশের জনগণের চাইতে আমেরিকার জনগণ ও হিলারি ক্লিন্টনকে দিয়ে বিশ্ব জয়ের স্বপ্ন দেখে। মানব সেবার ইতিহাস,দেশপ্রেমের ইতিহাস, সৃষ্টি জগতে ডঃ ইউনুসের নামটি আবিস্কার করবেন কীভাবে ? অর্থলুট, বিদেশে টাকা পাচার সহ অপকর্মের তালিকা থেকে ডঃ ইউনুসের নামটা বাদ রাখতে পারবেন ? বাংলাদেশের বাঙালি জাতির কাছে তার অবস্থান কোথায় ?দেশের সিমানা পেরিয়ে এতোটা গ্রহনযোগ্যতা অর্জন নিয়ে প্রশ্ন উঠা কি অযুক্তিক। যেই আমেরিকার কাছে বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের গ্রহনযোগ্যতা ছিলোনা। সাড়ে সাত কোটি মানুষ যার আঙুলের ইশারায় জীবন দিতে প্রস্তুত ছিলো, ৩০ লক্ষ শহিদের রক্ত ঝড়ার পরেও আমেরিকা ছিলো নীরব। ইসরায়েলের হত্যাযজ্ঞে যাদের মানবতা জাগ্রত হয় না, সেই আমেরিকার প্রশাসন একজন সাজাপ্রাপ্ত আসামির জন্য হয়রানীর ধুঁয়া উঠিয়েছেন। বিশ্বে কতশত মানবপ্রেমী,শিক্ষাপ্রেমী, আবিস্কারক আছেন, জীবনের সর্বস্ব দিয়ে ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন, আমেরিকার কাছে কি তাদের কদর আছে ? ডঃ ইউনুসের জন্য কদরের আসল রহস্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আবিস্কার করার জন্য হিতে বিতরিত। পিটার হাঁস বাসায় দাওয়াত খাওয়ানো, ছবি তুলে ফেসবুকে কভার করা,হূমকির সুরে কথা বলা। বাংলাদেশের আদালত অবমাননা করা। ২০২৪ এর নির্বাচনের আগে পরের ইতিহাস সবারই জানা, হুশে না আসলে আমেরিকা কে নতুন করে ভাবতে হবে।
মার চেয়ে মাসির দরদ বেশী হলে, রাষ্ট্রের প্রধানের চেয়ে ইউনুসের গ্রহনযোগ্যতায় প্রমান করে, ডালমে কুছ কালা হায়। আমেরিকা বাংলাদেশের সাথে সম্পর্ক চায় ? নাকি বাংলাদেশের সাথে ষড়যন্ত্র বিস্তার করতে চায় ? আগে ঠিক করতে হবে। ষড়যন্ত্র অনেক হয়েছে। বঙ্গবন্ধু সহ তার পরিবারকে নিশ্চিহ্ন করার ১৫ আগস্ট ২১ আগস্টের মতো কলংকৃত ইতিহাস আছে। আছে ইতিহাসের কলংকৃতরা। এখনো ১৫ আগস্টের হত্যার নায়কদের আশ্রয় দিয়ে আমেরিকার কলংক মুছতে পারেনি। ইউনুসকে দিয়ে আর একটি কলংকের ইতিহাস সৃষ্টি করার যে দিবা স্বপ্ন দেখছেন বাইডেন, ২০২৪ নির্বাচনে সেই স্বপ্ন ভঙ্গের কারন হতে পারে আমেরিকার জনগণ। ইতিমধ্যে ইহুদিবাদী ইসরায়েলের জন্য আরব বিশ্বকে হারাতে বসেছেন। ইউরোপের অনেক দেশ সতর্ক বার্তা দিয়েছে।রাশিয়ার মরন কামর ইসরায়েল ধ্বংসের পরিকল্পনা। ইউক্রেনে আকাশ প্রতিরক্ষা যন্ত্র পাঠানোর শিক্ষা দিয়ে ছাড়বেন।আমেরিকা ইসরায়েলকে বাঁচাতে না পারল, ইউনুস কে বাচাবেন কীভাবে ? বাংলাদেশে একটি কথার বহুপ্রচলন আছে। বাঘে ধরলে ছাড়ে,শেখ হাসিনা ধরলে ছাড়ে না। বাংলাদেশ কে ১৯৭৫ মনে করার কোনো কারণ নাই। স্মার্ট বাংলাদেশে সরকারের কর ফাঁকি দেওয়ার কোনো ব্যবস্থা নাই। বিদ্যুৎ পানি, জমির জালিয়াতি বন্ধ হয়েছে। গ্যাসের মিটার সংযোগের অপেক্ষায়।
বিদেশ থেকে অনেক টাকা ফেরত আনা হয়েছে।ইউনুস কেও টাকার হিসেব দিতে হবে। শেখ হাসিনার আত্নীয় সজনকে হিসেবের বাহিরে রাখার হয় নাই। বিয়াই থেকে জামাইকে ছাড় দেওয়া হয় নাই। এমনকি সংসদ সদস্য থেকে কাউন্সিলরদের জন্য জেলের দরজা বন্ধ করা হয় নাই। মন্ত্রীদের মাথাচুলে চুলকানী ধরিয়ে দিয়েছেন। ডঃ ইউনুস কোন খেতের মুলি, হিসেব ছাড়াই বলবেন, আমার কোনো মালিকানা নাই। আমেরিকার নির্বাচনে টাকা ছার করিয়েছেন, বিদেশী ব্যাংকে টাকার পাহাড় হয়ে আছে। গ্রামিন ব্যাংক, গ্রামিন ফোন, গ্রামিন শক্তি সহ একাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান চলছে। হিসাব চাইলে জাতিসংঘ দেখান ? এইবার শেখ হাসিনা দেখেন। বাঙালির মাইর, দুনিয়ার বাইর। পাকিস্তানীরা ভুলতে পারেন নাই, আমেরিকার ভুলে যাওয়ার কথা নয়। তার পরেও সম্পর্ক চাইলে বঙ্গবন্ধুর খুনিকে হস্তান্তর করুন, ডঃ ইউনুসের পিছু ছাড়ুন। আগামী বিশ্ব আপনাদের জন্য নয়। হামাস থেকে শিক্ষা নিতে পারেন। হুথি, হিজবুল্লাহ বোনাস।
লেখকঃ বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতির মহাসচিব, রাজধানী মোহাম্মদপুর থানার ৩৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ও খাস খবর বাংলাদেশ পত্রিকার সম্মানিত উপদেষ্টা মন্ডলী জনাব রবিউল আলম।