মোঃআজমাইন মাহতাবঃ সিরাজুল ইসলাম ভোর ৬টায় রাজধানীর মোহাম্মদপুর নূরজাহান রোড সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের টিকা কেন্দ্রে এসেছেন। সেই ভোর ৬টা থেকে করোনার টিকা নেওয়ার জন্য দুপুর ১২ টা পর্যন্ত সিরিয়ালে বসে আছেন।
শুধু সিরাজুল ইসলাম নয়, তার মতো এমন আরও কয়েক’শ লোক ভোর থেকেই টিকা দেওয়ার জন্য সিরিয়ালে বসে আছে।
তিনি জানান, ‘পরশু (শুক্রবার) যখন মাইকে শুনেছি আমার বাসার পাশেই স্কুলে টিকা দেওয়া হবে। তখন গতকাল একটু দেরি করে ঘুম থেকে উঠে সকাল ৯টায় টিকা কেন্দ্রে এসেছিলাম। তখন এসে আর টিকা দিতে পারিনি। মানুষের অনেক সিরিয়াল ছিল। অনেকেই নাকি ভোর ৫ টার দিকে এসে টিকা নেওয়ার জন্য বসে আছে। তাই আজকে ভোরে ঘুম থেকে উঠে সকাল সকাল কেন্দ্রে চলে এসেছি। এতো ভোরে এসে দেখি আমার আগেও প্রায় এক থেকে দেড়শো মানুষ সিরিয়ালে বসে আছে।’
ফজরের নামাজ পড়েই টিকা কেন্দ্রে এসেছেন আব্দুল হাকিম। তবু পাননি সিরিয়াল।
আব্দুল হাকিম জানান, আমি ফজরের নামাজ পড়েই টিকা কেন্দ্রে চলে এসেছি। কারণ, গতকালও সকাল ৮টায় এসে সিরিয়াল পাইনি। তাই আজকে ফজরের নামাজ পড়েই টিকা কেন্দ্রে চলে এসেছি। এতো সকালে এসেও দেখি প্রায় এক থেকে দেড়শো মানুষ আরও ভোরে এসে বসে আছে টিকার জন্য। অনেক্ষন ধরেই অপেক্ষা করছি টিকা নেওয়ার জন্য। দেখি কতক্ষনে সিরিয়াল আসে। তখন টিকা দিয়ে বাসায় যেতে পারবো।
টিকা নেওয়ার সিরিয়ালে থাকা মরিয়ম আক্তার জানান, আমি ফজরের নামাজ পড়েই টিকা কেন্দ্রে চলে এসেছি। কারণ গতকাল আমার এক আত্মীয় এসেছেন টিকা দেওয়ার জন্য। তিনি ৯ টার দিকে এসেও সিরিয়ালে বসে থেকে টিকা দিতে পারেননি। তাই আজ ভোরেই চলে এসেছি। এতো ভোরে এসেও দেখছি এখানে আমার মতো অনেকেই আরও ভোরে এসে টিকা দেওয়ার জন্য সিরিয়াল দিয়ে বসে আছেন।
নূরজাহান রোড সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের টিকা কেন্দ্রের সরাসরি তদারকী করছেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ৩১ নং ওয়ার্ডের স্থানীয় কাউন্সিলর শফিকুল ইসলাম সেন্টু।
তিনি জানান, আমরা মাইকিং করে প্রতিটি গলিতে গলিতে সবাইকে জানিয়ে দিয়েছি। এছাড়াও, শুক্রবারে জুমার নামাজের সময় প্রতিটি মসজিদে সবাইকে টিকার জন্য বলে দেওয়া হয়েছে। সবাই দেখি টিকা কেন্দ্রের মধ্যে আগ্রহ নিয়ে টিকা দিতে আসছেন।
তিনি আরও জানান, আমাদের এই কেন্দ্রের মধ্যে প্রতিদিন ৩৫০ টা করে টিকা দেওয়া হয়। শনিবার (৭ আগষ্ট) থেকে গণটিকা দেওয়া শুরু হয়েছে। মানুষের আগ্রহও খুব বেশি লক্ষ করছি।