মোঃ ইব্রাহিম হোসেনঃ শুরু হয়েছে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রস্তুতি। চলতি বছরের মার্চ মাসেই প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে এমন আভাস দিয়েছেন নির্বাচন কমিশন। তাঁর ধারাবাহিকতায় ঝিনাইদহ সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে সম্ভাব্য প্রার্থীদের নিয়ে উপজেলার সর্বত্র জুড়ে চলছে আলোচনা ও সমালোচনা। তবে বেশকয়েক জন প্রার্থীর মধ্যে থেকে আলোচনার শীর্ষে রয়েছে রাজপথের লড়াকু সৈনিক জে এম রশীদুল আলম রশীদ।
জে এম রশীদুল আলম রশীদ প্রায় ২০ বছর উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব দিয়েছেন। ১৯৭৮ সালে ছাত্রলীগের রাজনীতিতে আসা এই নেতা স্বৈরাচার এরশাদ বিরোধী আন্দোলন ও শেখ হাসিনার মুক্তির আন্দোলনের সময় রেখেছেন গুরুত্বপুর্ন ভূমিকা। এরশাদ সরকারের সময় ৬ বার ও ১/১১ এর সময় ২ বার বিশেষ ক্ষমতা আইনে গ্রেফতার হয়ে জেল খেটেছেন। দলের দুঃসময়ে কর্মীদের পাশে দাড়িয়েছেন। তিনিই থানা অবরোধ করে মিথ্যা মামলায় আটক কর্মীকে ছাড়িয়ে এনেছেন। ১৯৯১ সালে ঝিনাইদহ সরকারী কেসি কলেজ ছাত্র সংসদে এজিএস নির্বাচিত হোন। ১৯৯৭ সালে তরুন বয়সে সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়। ১৯৯৮ সালে ১৬ নং সুরাট ইউপি চেয়াম্যান নির্বাচিত হয়। ২০০৩ সালে পুনরায় সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়। ২০০৯ সালে সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয় বিপুল ভোটের মাধ্যমে। জেএম রশীদুল আলম রশীদ বর্তমান ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য।
ঝিনাইদহ সদর উপজেলায় রয়েছে ১৭টি ইউনিয়ন, একটি পৌরসভায় ও ৩১৮টি গ্রাম। জে এম রশীদুল আলম রশীদকে নিয়ে তার সমর্থকরা অনলাইন ও নানা ভাবে প্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। তৃণমূল আওয়ামী লীগের কর্মীরা এবার আশায় বুক বেধে আছে সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিপুল ভোটে নির্বাচিত হবেন জে এম রশীদুল আলম রশীদ।
স্থানীয় ভোটারা মনে করছেন এবার উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সৎ, যোগ্য,শিক্ষিত, জনবান্ধব চেয়ারম্যান নির্বাচিত হবে। যাঁর মাধ্যমে ঝিনাইদহ সদর উপজেলা পরিষদ ‘স্মার্ট উপজেলা’ হিসেবে গড়ে উঠবে।
এবিষয়ে জে এম রশীদুল আলম রশীদ সংবাদ মাধ্যমকে জানান, আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নের আদর্শকে বিশ্বাস করি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যেভাবে দেশকে এগিয়ে নিতে সব চ্যালেঞ্জ এবং ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে সারা দেশব্যাপী উন্নয়নের যে যাত্রা শুরু করেছেন তা বিশ্বে এখন উন্নয়নের রোল মডেল। বর্তমানে আমি দলমত নির্বিশেষে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার সর্বস্তরের জনগণের দোয়া, সহযোগিতা ও সমর্থন প্রত্যাশা করছি। যদি নির্বাচনে আল্লাহ আমাকে জয়ী করেন তাহলে এলাকার উন্নয়ন ও জনগণের পাশে থেকে ঝিনাইদহ সদর উপজেলাকে একটি ‘স্মার্ট উপজেলা’ হিসেবে যা যা করার দরকার, তা করার চেষ্টা করবো, ইনশাআল্লাহ। এলাকার মানুষের সুখে-দুখে পাশে থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করে তিনি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার সর্বস্তরের মানুষের দোয়া ও সহযোগিতা কামনা করেন।