মোঃ ইব্রাহিম হোসেনঃ উৎসবমুখর পরিবেশে ঝিনাইদহ জেলা রিপোর্টার্স ইউনিটির আয়োজনে বার্ষিক বনভোজন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ৫ মার্চ ২০২২ রোজ শনিবার ঝিনাইদহের জোহান ড্রীম ভ্যালী পার্কে এ বনভোজন ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
ঝিনাইদহ জেলা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি এম এ কবীর এর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শাহিদুর রহমান সন্টুর সঞ্চালনা অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঝিনাইদহ জেলার সুপার মুনতাসিরুল ইসলাম পিপিএম।
বিশেষ অতিথি ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা সাবেক পৌর চেয়ারম্যান ও ভাষা সৈনিক অ্যাডভোকেট আমির হোসেন মালিতা, ঝিনাইদহ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ মোহাম্মদ সোহেল রানা, বিশিষ্ট সমাজ সেবক রাজনীতিক আফজাল হোসেন, অধ্যক্ষ আসাদুর রহমান, এড.বদিউজ্জামান প্রমূখ।
প্রধান অতিথি বলেন, সংবাদপত্র কে বলা হয় রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ। সাংবাদিকরা সত্য উদঘাটনে সর্বদা সচেষ্ট থাকে পুলিশও ঘটনার সত্যতা খুঁজে বের করে বিচার বিভাগকে সহায়তা করে যাতে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়। তিনি বলেন আমার সাংবাদিকদের সাথে কাজ করার দারুন অভিজ্ঞতা রয়েছে। তিনি বলেন ঝিনাইদহ জেলা রিপোর্টার্স ইউনিটির উদীয়মান সাংবাদিকরা নিজ নিজ কর্ম ক্ষেত্রে সফলতার স্বাক্ষর রেখে চলেছেন। তিনি বলেন বিভিন্ন সময়ে নানা সংগঠন গড়ে ওঠে তবে তা গ্রæপিং দলাদলিতে কিছু দিনের মধ্যে আর খুঁজে পাওয়া যায়না তবে ঝিনাইদহ জেলা রিপোর্টার্স ইউনিটি তাদের যোগ্য নেতৃত্বে দীর্ঘ সময় পার করে সু-সংগঠিত হয়ে সাংবাদিকতা করে যাচ্ছে এটা গৌরবের। তিনি বলেন সংবাদ প্রকাশের ক্ষেত্রে সাংবাদিকদের সতর্ক হওয়া প্রয়োজন কারন অনেক সময় প্রকৃত ঘটনা জানার জন্য সময়ের প্রয়োজন হয় সে ক্ষেত্রে তাৎক্ষণিক অনেক তথ্য প্রকাশ সম্ভব হয়না। তিনি বলেন এখন ব্রেকিং নিউজ প্রচারের প্রতিযোগিতা চলছে, এ সমস্ত সংবাদ প্রচারের কারনে যেন তদন্ত কিংবা বিচার প্রক্রিয়া প্রভাবিত না হয় কিংবা যাকে বলে মিডিয়া ট্রায়াল তার শিকারও যেন কেউ না হয় সে দিকেও খেয়াল রাখা দরকার। প্রধান অতিথি বলেন রিপোর্টার্স ইউনিটির নির্বাচনকালীন মামলা সহ বেশ কিছু সমস্যা ছিল যা আমরা তাৎক্ষনিক সমাধান করে দিই। তিনি বলেন আমরা সব সময় সাংবাদিকদের পাশে ছিলাম আছি এবং থাকব।
আলোচনা সভা শেষে ইউনিটির সদস্য এবং তাদের পরিবার পরিজনদের এক মিলন মেলায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, ক্রিড়া প্রতিযোগিতা, কৌতুক, কবিতা আবৃত্তি অনুষ্ঠিত হয়। শেষে পুরস্কার বিতনের মধ্যদিয়ে দিনব্যাপী কর্মসূচির সমাপ্তি ঘোষনা করা হয়।