ষ্টাফ রিপোটারঃ গত ১৯শে ফেব্রয়ারি শুক্রবার ঝিনাইদহ জেলা রিপোর্টার্স ইউনিটির দ্বিবার্ষিকী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়ার ৪দিন পর আজ মঙ্গলবার (২৪শে ফেব্রুয়ারি) নবনির্বাচিত কমিটির শপথ গ্রহণ ও নির্বাচিতদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের কার্যক্রম আনুষ্ঠানিক ভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় শহরের ব্যাপারি পাড়া সড়কে জেলা রিপোর্টার্স ইউনিটির কার্যালয়ে এ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
১৩ সদস্য বিশিষ্ট কার্যকরী পরিষদের নির্বাচিত সদস্যরা হলেন, দৈনিক লাখোকন্ঠ পত্রিকার এম এ কবির, সহ-সভাপতি দৈনিক খবর পত্রিকার সিরাজুল ইসলাম মল্লিক এবং লিটন হোসেন, সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন প্রভাত ফেরি পত্রিকার সাইদুর রহমান সন্টু, যুগ্ম সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়েছেন ৭১ বাংলা টেলিভিশনের জেলা প্রতিনিধি মনিরুজ্জামান সুমন, সাংগঠনিক সম্পাদক হয়েছেন দেশ সংযোগ পত্রিকার বি এম আনোয়ার হোসেন, প্রচার সম্পাদক হয়েছেন স্বাধীন সংবাদ এর প্রতিনিধি এস এম রবি, এবং সাংবাদিক ও সংবাদপত্র বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন দৈনিক একুশে সংবাদ এর প্রতিনিধি মুক্তার হোসেন।
এছাড়াও বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় নির্বাচিত হয়েছেন, কোষাধ্যক্ষ দৈনিক কল্যাণ এর জেলা প্রতিনিধি সবুজ মিয়া, দপ্তর সম্পাদক জবস টিভির জাহিদ হোসেন, নির্বাহী সদস্য হয়েছেন আনন্দ টিভির জেলা প্রতিনিধি মাজেদ রেজা বাঁধন, ইনকিলাব পত্রিকার শিহাব মল্লিক, শ্যামবাজার পত্রিকার রাকিবুজ্জামান জিহাদ।
এ নির্বাচনের প্রধান নির্বাচন কমিশনার সাবেক সিনিয়র বিজ্ঞ আইনজীবী ও ভাষা সৈনিক আমির হোসেন মালিতা, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও রাজনীতিবিদ জনাব আফজাল হোসেন এবং ঝিনাইদহ বার কমিটির প্রতিনিধি এডভোকেট বদিউজ্জামান বোদি’র উপস্থিতিতে এ শপথ বাক্য পাঠ করানো হয় ।
শপথ অনুষ্ঠানে জেলা রিপোর্টার্স ইউনিটির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক সভাপতি মীর জিল্লুর রহমান এবং সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাহিদুল এনাম পল্লব সহ নির্বাচনে বিজয়ী ও অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এসময় সংক্ষিপ্ত আলোচনা শেষে প্রধান নির্বাচন কমিশনার জনাব আমির হোসেন মালিতা নির্বাচিত সদস্যদের শপথ বাক্য পাঠ করান। পরে বিজয়ী সভাপতি এমএ কবির ও সাধারণ সম্পাদক সাহিদুর রহমান সন্টু’র হাতে পূ্র্ববর্তী সভাপতি মীর জিল্লুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক সাহিদুল এনাম পল্লব শান্তিপূর্ণ পরিবেশের মধ্য দিয়ে ক্ষমতা হস্তান্তর করেন।
সংক্ষিপ্ত আলোচনায় নবনির্বাচিত সভাপতি ও সম্পাদক তাদের বক্তব্যে বলেন, এ নির্বাচন শুধু মাত্র একটি সিস্টেম মেইন্টেইন মাত্র। যারা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে হেরে গেছেন তাদের মন খারাপ করার কোন কারণ নেই। তারা বলেন, এখানে যাহারা সিনিয়র সাংবাদিক আছেন, তাদের দিক নির্দেশনা নিয়ে যাতেকরে সংগঠনটি আরও গতিশীল করে তোলা যায় সে লক্ষ নিয়ে সবাই আমরা মিলে মিশে কাজ করবো।