সাহিদুল এনাম পল্লবঃ নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতার সুযোগের জের ধরে ঝিনাইদহে গত ৯ জানুয়ারি সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টার দিকে ঝিনাইদহ শহরের ঘোষপাড়ায় বসবাস রত নারায়ণ ঘোষের ছেলে বরুন ঘোষকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। ঘটনার পরে নিহতের স্ত্রী ৯ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে ঝিনাইদহ থানায়। ঘটনার ৩দিন পরে ঝিনাইদহের পুলিশ এজাহার ভুক্ত ৪ জন আসামি সহ মোট ৬ জনকে গ্রেপ্তার করে। তার মধ্যে ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী কল্লোল, কার্তিক ধরা পড়লেও মূল হোতা কল্লোলের ভাগিনা তন্ময় ঘটনার ১২ দিন অতিবাহিত হয়ে গেলেও এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে।
ঘটনা পরের দিন পুলিশ ঘটনার স্থান থেকে একটি পালসার মোটরসাইকেল উদ্ধার করে। এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা যায় যে এই পালসার মোটরসাইকেলটি তন্ময়ের। তন্ময় ঘোষ ঝিনাইদহ পৌরসভা ছাত্রদলের নেতা। সংসদ নির্বাচনে কল্লোল, কার্তিক, তন্ময় আইয়ুব আলী নেতৃত্বে ঈগল প্রতীকের নির্বাচন করে। অপরদিকে বরুণ পূজা উদযাপন পরিষদের নেতা বিনয়ের নেতৃত্বে নৌকার নির্বাচন করে। তবে কার্তিক ও বরুনের পরিবারের জমা জমি জটিলতার সূত্র ধরে শত্রুতা দীর্ঘদিনের। পূর্বের ২০১৯ সালে কার্তিক, কল্লোলের পরিবার রাতের আঁধারে বরুণদের বাড়িতে হামলা করলে সেই হামলা নিয়ে ঝিনাইদহ সদর থানায় একটি মামলা হয়। তন্ময় ঘোষ গ্রেফতার না হওয়া পর্যন্ত নিহত বরুণ এর পরিবার আতঙ্কে দিন অতিবাহিত করছে।
এই চাঞ্চল্যকর ঘটনার মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার সাথে কথা বললে তিনি বলেন যে ঘটনার পর থেকে তন্ময় ঘোষের মোবাইল বন্ধ। তবে গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের ১৬৪ ধারার রেকর্ড করা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদের ফলে কারা কারা ঘটনা ঘটিয়েছে এবং কি জন্য ঘটিয়েছে তাহা আমরা জানতে পেরেছি। তবে তদন্তের স্বার্থে বিষয়টা প্রকাশ করা যাবেনা। তন্ময় ঘোষের গ্রেপ্তারের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে। তবে মূল পরিকল্পনা হয়েছিল কল্লোল ঘোষের খাবার হোটেলে বসে। সেখানে কল্লোল ঘোষ বরুণের হাতুড়ি দিয়ে হাত-পা ভেঙ্গে দেয়ার কথা বলেছিল একথা তিনি প্রাথমিক তদন্তের স্বীকার করেছেন।