জনাব রবিউল আলমঃ পুলিশের যুগ্ন কমিশনার মনির হোসেন বলেন আপনারা সবাই পুলিশের প্রসংসা করলেন, আমি আজ পুলিশের অবহেলা সরজমিনে শুনতে এসেছিলাম প্রশংসা নয়। শেরে বাংলা নগর থানা অডিটরিয়ামে কমিনিটি পুলিশের আয়োজিত সভায় কথাগুলো বলেছেন।
আমি ভাবছিলাম পুলিশ আসলেই কি সামাজিক পরিবর্তন চায়, না গদবাধা মিডিয়ার সহানুভূতি জন্য নিজেদের বদনাম গুচাতে চায়? লহ্ম করলাম তেল মারা কিছু আঃলীগ নেতার বক্তব্য শেষে জয় বাংলার শ্লোগান নাই, পুলিশ ও সুশীলরা ধন্যবাদ দিয়েই নিরপেক্ষতা বজায় রাখলেন।
দেশ জাতির এই মানচিত্রের অংশিদারা মুক্তিযুদ্ধের শ্লোগানের পহ্ম না হয়ে নিরপেক্ষ হয় কি করে? জয় বাংলার শ্লোগান এখন জাতীয় শ্লোগান হলে, জাতির কর্মচারীরা উপেহ্মা করেন কি ভাবে? জয় বাংলা শ্লোগানে পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর কম্পন সৃষ্টি হয়েছে, দেশ প্রেম জাগ্রত হয়েছে মুক্তিসেনার। দেশকে অপরাধ মুক্ত করার জন্য জয় বাংলার শ্লোগানের বিকল্প নাই।
জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলতে চাইলে জাতীয় শ্লোগান অপরিহার্য। মনকে পরিস্কার করে, স্বাধীনতার চেতনা জেগে উঠে, দেশপ্রেম জাগ্রত হয় জয় বাংলার শ্লোগানে। ভাবছিলাম পুলিশের এত অর্জন দুই চারজন পুলিশের জন্য বিষর্জন হতে পারেনা, দুই চারজন ছাত্রলীগ যুবলীগ শেখ হাসিনার এত অর্জনকে প্রশ্নবোদক করতে পারেনা। হ্মমতায় থাকলে পরিপূর্ণ আবর্জনা মুক্ত করা যাবেনা। তবে শেখ হাসিনার সরকার যে হাড়ে অপরাধীদের হাতকড়া উপহার দিচ্ছেন নিজ দল ও রাজকিয় বাহিনী পুলিশকে, এর আগের কোন সরকার এই নজির স্থাপন করতে পারেন নাই।
মিডিয়ার একটি অংশ পুলিশ, ছাত্রলীগ যুবলীগের অপরাধী খুঁজে খুঁজে নিউজের হেডলাইনে নিয়ে আসেন, মনে হবে অপরাধ অপরাধী আর কোনো দলে আর কোনো খানে নেই। কমিনিটি পুলিশের সভাটি প্রকৃত ভাবে অপরাধ মুক্ত করার জন্য জনগণের পরামর্শ চাইলে দিনব্যাপি করতে পারতো, পুলেশের বলার চাইতে শুনার আগ্রহ থাকা প্রয়োজন ছিলো। রাজনৈতিক নেতা, সুশীলের মার্কা মারা চামচাদের মতামতের চেয়ে হাউজের কাছে মুক্ত আহ্বান জানালে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ও সমাধানের পথ আবিস্কার করতে পারতো পুলিশ। পুলিশ কেনো মুক্ত আলোচনার সুযোগ করে দিলো না? কেনো রাজনৈতিক সভার মত নিজেরাই বলার জন্য সভার আয়োজন করলেন? সভা শেষে কি সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হলো, উপস্থিত কেউ জান্তে পারলেন না। এ থেকেই আমার মনে প্রতিয়মান সভাটি গতানুগতিক, স্বদ ইচ্ছার অভাব পরিলহ্মিত।
আমি বিশ্বাস করি, আমাদের পুলিশ পারে না এমন কি আছে? ৪০ হাত মাটির নিচে অপরাধী তাকলে বের করে আনতে পারে। বাংলাদেশের ইতিহাসের পুলিশের অনেক নজির আছে। সেই পুলিশের শ্লোগান পুলিশই জনতা, জনতাই পুলিশ নিয়ে জনসমাগম করতে হচ্ছে। পুলিশের মাঝে মাদক গ্রহনকারীর পরিহ্মা চলছে। অপরাধী পুলিশ দিয়ে অপরাধ মুক্ত সমাজ আশা করা যায় না, সরকারের এত সব পরিবর্তন যাদের চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখাতে পারছিনা। তাদের চোখে পুলিশ ছাত্রলীগ যুবলীগ অপরাধ মুক্ত হতে পারবে না।
জয় বাংলা শ্লোগানও জাতীয় শ্লোগান হতে পারবে না। তাই বলে সরকারের অংশিদার, স্বাধীন মানচিত্রের কর্মকর্তা কর্মচারীর জাতীয় শ্লোগান জয় বাংলা বলতে এত লজ্জা কেনো? জয় বাংলা বাদ দিয়ে নিরপেক্ষ হওয়ার সুযোগ নাই। আশা করি সরকার জয় বাংলা নিয়ে নতুন করে ভাবতে হবে। এই সরকারের চাকরির সুপারিশের সময় মুক্তিযোদ্ধা বাবার, চাচার, মামার পরিচয় নিয়ে আসবেন। চাকরিতে অংশগ্রহণ করার পরে জয় বাংলা ভুলে নিরপেক্ষতা ভান করবেন, তাদেরকে চিহ্নিত করতে হবে, এই অপরাধীদেরকে দিয়ে অপরাধ মুক্ত হবে না, হতে পারেনা।
লেখকঃ বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতির মহাসচিব ও রাজধানী মোহাম্মদপুর থানার ৩৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামলী লীগের সভাপতি জনাব রবিউল আলম।