ব্যাক্তির জন্য দল, দলের জন্য নেতা। সবার বেলায় সব বিষয় প্রজর্য নয়। জনগণের কাছে যেতে হয় রাজনীতির জন্য। স্থানীয় সরকারের নির্বাচন জনপ্রতিনিধিদের জন্য অগ্নিপরীক্ষা। আমরা যাকে দায়বদ্ধতা বলি,জনগণের পক্ষ থেকে রাজনৈতিক দলগুলোকে নতুন নতুন নেতৃত্ব উপহায় দেওয়া হয়। ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে উপরের তিনটি প্রশ্নের একটির উত্তর ও খুঁজা হয় নাই। ব্যাক্তির জনপ্রিয়তার উত্তর জনগণের কাছ থেকে না নিয়ে, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনপ্রিয়তাকে বিক্রি করা হয়েছে বলেই আমার মনে হয়। বাংলার মানুষের কাছে শেখ হাসিনা একটি বিশ্বাসের নাম। শেখ হাসিনা বাঙালি জাতির আস্থার ও উন্নয়নের প্রতিকে রূপান্তরিত হয়েছে। নৌকার মার্কার প্রতি যে দুর্বলতা সৃষ্টি হয়েছে, সেই দুর্বলতাকে পুঁজি করে কোনো লুটেরাকে জনপ্রতিনিধি হওয়ার সুযোগ করে দেওয়ার কোনো যুক্তি নাই। ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন ভোটারকে ভোট কেন্দ্র আসার উৎসাহিত করে,প্রতিযোগীতার মাধ্যমে । জনগণকে তাদের ইচ্ছে মত নেতা বেছে নেওয়ার সুযোগ করে দিলে, সরকারের জনপ্রিয়তা কমতি হতো না। দলিয় কোন্দোল এরানো যেতো। প্রকৃত জনপ্রতিনিধি জনগণ রাজনৈতিক দলকে উপহার দিতে পারতো। ভোটের জন্য জনগণের দুয়ারে দুয়ারে যাইতে হইতো। জনগণকে , চেয়ারম্যান মেম্বারদেরকে বুঁজিয়ে দেওয়া যাইতো ভোটের প্রয়োজনীয়তার কথা। সব রাজনৈতিক দল কেও উৎসাহিত করা যাইত নির্বাচনের।নৌকার জন্য, শেখ হাসিনার জন্য এই দেশের মানুষ অন্যপার্থে ভোট দেওয়া ভুলেই গেছে। সেই নৌকার কোনো ভুমিদশ্য, চাঁদাবাজ সন্ত্রাসিকে দেওয়া যায় না।শত শত মনোনয়ন প্রার্থীর থেকে একজনও যদি হয়, তবে নৌকার স্বার্থকতা প্রশ্নবিদ্ধ হতে পারে। দায়ীত্ব বর্তায় আমরা প্রিয় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপর।আশা করি নৌকার দায়ীত্বে যারা আছেন, একটু ভেবে দেখবেন। ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে নৌকা দেওয়া যায় কি-না ?
লেখকঃ বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতির মহাসচিব ও রাজধানী মোহাম্মদপুর থানার ৩৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি জনাব রবিউল আলম।