March 28, 2023, 8:14 am
শিরোনামঃ
২০ বোতল ফেনসিডিলসহ ডিবির হাতে আটক হয়েছে বেলাল হোসেন মোহাম্মদপুরে প্রতিদিন ইফতার করাচ্ছেন ছাত্রলীগ নেতা নাঈমুল হাসান রাসেল স্বাধীনতা দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে আদাবর থানা আওয়ামী যুবলীগে শ্রদ্ধা মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস আজ বাংলাদেশ কৃষক লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শেখ মোঃ জাহাঙ্গীর আলম সবাইকে পবিত্র মাহে রমজানের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন লায়ন এম এ লতিফ সবাইকে পবিত্র মাহে রমজানের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন মোহাম্মদ জাবেদ ইসলাম জন্মদিনে শুভেচ্ছায় সিক্ত নাঈমুল হাসান রাসেল উত্তাল মার্চের গনহত্যার স্বীকৃতি ও পাকিস্তান বাহিনীর বিচার বেলাবো-মনোহরদী আসনের জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য প্রার্থী হচ্ছেন তুলি

জেলহত্যা দিবসে বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতার প্রতি কৃষক লীগের শ্রদ্ধা

Reporter Name
  • Update Time : Tuesday, November 3, 2020
  • 266 Time View

মোঃ ইব্রাহিম হোসেনঃ আজ ৩ নভেম্বর শোকাবহ জেলহত্যা দিবস। এ উপলক্ষে বাংলাদেশ কৃষক লীগের সভাপতি কৃষিবিদ সমীর চন্দ ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট উম্মে কুলসুম স্মৃতি এমপি’র নেতৃত্বে দিনের প্রথম প্রহরে বাংলাদেশ কৃষক লীগের নেতৃবৃন্দ স্বাধীনতার স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে ও বনানী গোরস্থানে শহীদদের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

বাংলাদেশ কৃষক লীগের সভাপতি কৃষিবিদ সমীর চন্দ বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কে সপরিবারে হত্যার পর দ্বিতীয় কলঙ্কজনক অধ্যায় শোকাবহ এই দিন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে নৃশংসভাবে হত্যা করার আড়াই মাসের মাথায় ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর মধ্যরাতে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের নির্জন প্রকোষ্ঠে চার জাতীয় নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, ক্যাপ্টেন অবঃ এম মনসুর আলী এবং এ এইচ এম কামারুজ্জামান কে নৃশংসভাবে হত্যা করে।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সপরিবারে হত্যা ও চার জাতীয় নেতার হত্যাকান্ড ছিল একই ষড়যন্ত্রকারী অপশক্তির ঘৃণ্য অপকর্মের ধারাবাহিকতা। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পরে খন্দকার মোশতাক আহমদের নেতৃত্বে ষড়যন্ত্রকারীরা জাতীয় চার নেতাকে তাদের সরকারের যোগদানের প্রস্তাব দেয়। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর এই চার জাতীয় নেতা সেই প্রস্তাব ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেন। এ কারণে তাদের নির্মমভাবে জীবন দিতে হয়। যতদিন বাংলাদেশ থাকবে ততদিন বাংলাদেশ কৃষক লীগ বঙ্গবন্ধু ও চার জাতীয় নেতাকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে।

বাংলাদেশ কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট উম্মে কুলসুম স্মৃতি এমপি বলেন, ইতিহাসের এই বর্বোরচিত ন্যাক্কারজনক হত্যার তদন্ত ও বিচার প্রক্রিয়া দীর্ঘ ২১ বছর বন্ধ রাখা হয়। কৃষকরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার ক্ষমতায় আসার পর ১৯৯৬ সালে জেলহত্যা মামলা পুনরুজ্জীবিত করে অতঃপর ২০০৪ সালের ২০ অক্টোবর ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালত মামলাটির রায় ঘোষণা করেন।

উক্ত রায়ে ২০ জন আসামীর মধ্যে ১৫ সাবেক সেনা কর্মকর্তার শাস্তি ও ৫ জনকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়। তন্মধ্যে ৩ জনের মৃত্যুদন্ড ও ১২ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করা হয়।

২০০৮ সালের ২৮ আগস্ট হাইকোর্টের রায়ে কেবল রিসালদার মোসলেম উদ্দিনের মৃত্যুদন্ড বহাল রেখে বাকী ২ জনকে খালাস এবং যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রাপ্ত ১২ জনের মধ্য থেকে চার আসামীকে খালাস প্রদান করা হয়।

ইতিহাসের ঘৃণ্য বর্বরোচিত জগন্যতম এই হত্যাকান্ডের মাধ্যমে স্বাধীনতার পরাজিত অপশক্তি, দেশ বিরোধী ষড়যন্ত্রকারী চক্র মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নাম চিরতরে মুছে ফেলে জাতিকে নেতৃত্বশূন্য করার অপচেষ্টায় লিপ্ত ছিল।

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার জাতির পিতার হত্যাকারী ও চার জাতীয় নেতা হত্যাকারীর বিচার কাজ সম্পন্ন করে জাতিকে কলঙ্কমুক্ত করেছে।

বাংলাদেশ কৃষক লীগ আজকের এইদিনে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান জাতীয় চারনেতাকে বিনম্র শ্রদ্ধা ভালোবাসায় স্মরণ করছে।

এসময় শ্রদ্ধা নিবেদনে অংশ নেন বাংলাদেশ কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় ও মহানগরের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category

Dairy and pen distribution

ডিজাইনঃ নাগরিক আইটি ডটকম
themesba-lates1749691102