রবিউল আলমঃ দেশ জাতি, সমাজ সরকারের নিরাপত্তার দায়িত্ব আমরা যাদের হাতে ন্যাস্ত করেছি, তাদেরকে আমরা আইন শৃঙ্খলা বাহিনী বলি। আইন আছে, থাকবে। শৃঙ্খলা কোথায় ? এসআই আকবর সিনিয়ারের কথায় আত্মগোপন করেছিলেন, কে এই সিনিয়র ? বাংলাদেশের সীমানায় গ্রেপ্তার, অথবা উদ্ধার করতে ব্যার্থ হয়, পুলিশ।
পালিয়ে যাওয়ার কৃতিত্ব পুলিশের এক অংশের হলেও উদ্ধারের কৃতিত্ব ভারতের পাহাড়ী জনগোষ্ঠীর। ফেসবুকের মাধ্যমে বিশ্ব দেখার শুভাগ্য, দুর্ভাগ্য যাই বলি, বলতে পারেন। পালানোর সহায়তাকারী পুলিশ। অপরাধী পুলিশের সংখ্যা নেহায়ে উল্লেখ করার মত নয়, তবে পুলিশকে প্রশ্নবৃদ্ধ করেছে নিঃসন্দেহে। পুলিশে সততার নজির বিরল, দেশ প্রেমিকের সংখ্যা অগুনিত, যা আমাদের আলোচনায় খুব একটা আসেনা এই এসআই আকবর ও ওসি প্রদীপদের জন্য। আকবরের হাত জোর করা ও হাতকয়ড়ার ছবি, ওসি প্রদীপের অন্দ্রকার কারাজীবন, ধর্ষকদের করুন দশা, ক্যাসিনোর সম্রাট, সাহেদ, সাবরিনা, পাপিয়া, পিয়ন, ড্রাইভারের শতকোটি টাকা সহ অপরাধীদেরকে নিয়ে শেখ হাসিনার আপোষহীন রাজনীতি থেকে আমরা কি শিখলাম ? প্রশাসন কি ভাবে গ্রহন করলেন, এ বিষয় পরিস্কার করতে হবে নতুন প্রজর্ম্মের রাজনৈতিক নেতা ও প্রশাসনের কর্মকর্তা কর্মচারীদের কাছে।
ভয়কে জয় করার জন্য আমরা অনেক শ্লোগান দিয়েছি। এবার অপরাধীদের মাঝে ভয়কে প্রবেশাধীকার দিতে হবে। অপরাধীর কোন দল নাই, অপরাধীর কোনো আত্নীয় নাই, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এই শ্লোগান বাংলার ঘরে ঘরে পৌচিয়ে দিতে হবে। কারা পৌচিয়ে দিবেন ? কারা সততার পতাকা উড়াবেন ? কারা উন্নয়নের সুফল ভোগ করবেন ? অনেক প্রশ্নের উত্তর বাকী রেখেই আমাদেরকে এগিয়ে চলতে হবে। উত্তর আদায় করার সময় এখন নয়। উত্তর দিতে পারেন এ দেশের জনগণ,প্রশাসন, সরকারের আপনজন, ভালো কিছু উদাহরণ সৃষ্টির করার মাধ্যমে। করতে না পারলে, শেখ হাসিনাকে বুঝতে না পারলে, আকবরের মত পরবাসে হাত জোর করেই জীবন ভিহ্মা চাইতে হবে।
লেখকঃ বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতির মহাসচিব ও রাজধানী মোহাম্মদপুর থানার ৩৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামলী লীগের সভাপতি জনাব রবিউল আলম।