মোঃ ইব্রাহিম হোসেনঃ ১৯ জানুয়ারী “মহান স্বাধীনতার ঘোষক, বহুদলীয় গণতন্ত্রের পূণ:প্রবর্তক, মুক্তিযুদ্ধে জেড ফোর্সের অধিনায়ক, বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদী দর্শণের প্রবক্তা সাবেক রাষ্ট্রপতি শহীদ জিয়াউর রহমান বীর উত্তম এর ৮৯তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে তাঁর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও তাঁর আত্মার মাগফিরাত কামনা করছে ঢাকা মহানগর উত্তর মোহাম্মদপুর থানার ৩৪ নং ওয়াড বিএনপির সংগ্রাম সভাপতি এডভোকেট মাসুম খান রাজেস এবং বিপ্লবী সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ওসমান রেজা।
আজ ১৬ জানুয়ারি ২০২৫ রোজ বৃহস্পতিবার এডভোকেট মাসুম খান রাজেস এবং মোহাম্মদ ওসমান রেজা বলেন, দেশমাতৃকার মুক্তির জন্য নেতৃত্বহীন জাতির দিশারী হয়ে তিনি স্বাধীনতার ঘোষণা দেন এবং মুক্তিযুদ্ধ শুরু করেন। স্বাধীনতাত্তোর দুঃসহ স্বৈরাচারী দুঃশাসনে চরম হতাশায় দেশ যখন নিপতিত, জাতি হিসেবে আমাদের এগিয়ে যাওয়া যখন বাধাগ্রস্ত, ঠিক তখনই জিয়াউর রহমান জনগণের নেতৃত্বভার গ্রহণ করেন। মিথ্যা প্রতিশ্রুতির অপরাজনীতি দ্বারা জনগণকে প্রতারিত করে স্বাধীনতাত্তোর ক্ষমতাসীন মহল যখন মানুষের বাক-ব্যক্তি-স্বাধীনতাকে হরণ করে গণতন্ত্রের কবর রচনা করেছিলো, দেশকে ঠেলে দিয়েছিলো দুর্ভিক্ষের করাল গ্রাসে- জাতির এমনি এক চরম সংকটময় মুহূর্তে সৈনিক জনতার মিলিত ঐকতানে এক ঐতিহাসিক বিপ্লবে শহীদ জিয়া ক্ষমতায় এসেই মানুষের হারানো অধিকার ফিরিয়ে দিয়ে বহুদলীয় গণতন্ত্রের পূনঃপ্রতিষ্ঠা করেন। শুরু হয় গণতন্ত্রের নিরবচ্ছিন্ন পথচলা। উৎপাদনের রাজনীতি প্রবর্তন করে তিনি দেশকে অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধশালী করে গড়ে তুলতে সক্ষম হন। তার তীব্র গণতান্ত্রিক চেতনা এবং দেশকে স্বনির্ভর করে গড়ে তোলার প্রচেষ্টা বাংলাদেশ আন্তর্জাতিকভাবে মর্যাদার আসনে সুপ্রতিষ্ঠিত হয়।
শহীদ জিয়া ছিলেন আধিপত্যবাদ ও সম্প্রসারণবাদের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে এক আপোসহীন দেশপ্রেমিক যোদ্ধা। তাই দেশ বিরোধী ষড়যন্ত্রকারীরা নিজেদের নীলনক্শা বাস্তবায়নের কাঁটা ভেবে জিয়াকে নির্মমভাবে হত্যা করে। কিন্তু তার এই আত্মত্যাগ জনগণের মধ্যে গড়ে উঠেছে দেশবিরোধী চক্রান্তকারীদের বিরুদ্ধে এক ইস্পাতকঠিন গণঐক্য। এই মহান রাষ্ট্রনায়ক ও দেশপ্রেমিক মুক্তিযোদ্ধার ৮৯তম জন্মবার্ষিকীতে স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র, মৌলিক ও মানবাধিকার সুরক্ষায় ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার জন্য দেশবাসীসহ সকলের প্রতি আহবান জানাই।