December 9, 2023, 4:36 am
শিরোনামঃ
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে ৩১ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের ১৩ টি কেন্দ্র ভিত্তিক নির্বাচন পরিচালনা কমিটি প্রদান দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে ৩ নং ইউনিট আওয়ামী লীগের মতবিনিময় সভা দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে ৩১ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের মতবিনিময় সভা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ভর্তি পরীক্ষা শুরু ২৩ ফেব্রুয়ারি, আবেদন শুরু ১৮ ডিসেম্বর দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে ঢাকা-১৩ আসনের জাতীয় পার্টির কর্মী সভা অনুষ্ঠিত মাংসের দাম নিয়ে বিতর্কে, ভোক্তার অধিকার সংরক্ষণ হবে না ভারত বাংলাদেশের বন্ধুত্বের ৫২ বছর,ভেজনেবকে বাদ দিয়ে স্মরণ করা যায় না শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে নৌকাকে জয়লাভ করাতে হবেঃ সৈয়দা আরজুমান বানু নার্গিস বাঙালী হৃদয়ে হাজার বছরঃ কবি মোঃ নাসির উদ্দিন দুলাল বিএনপি-জামায়াতের অগ্নিসন্ত্রাস প্রতিরোধে মোহাম্মদপুর থানা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেব লীগ রাজপথে অবস্থান কর্মসূচি

জাল নোট ছড়িয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করছিল চক্রটি

Reporter Name
  • Update Time : Tuesday, January 4, 2022
  • 123 Time View

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ বাণিজ্যমেলা, পশুর হাট, শীতকালীন প্রত্যন্ত অঞ্চলের বিভিন্ন উৎসব ও মেলাকে কেন্দ্র করে জাল নোট তৈরি করত চক্রটি। চক্রের মূলহোতা মো. ছগির ও তার দুই সহযোগীকে রাজধানীর পল্লবী এলাকা থেকে জাল নোট তৈরীর সরঞ্জামাদিসহ গ্রেফতার করেছে র‍্যাব।

সোমবার (৩ জানুয়ারি) রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মিরপুর পল্লবী এলাকায় অভিযান করে সংঘবদ্ধ জাল নোট তৈরীর এই চক্রকে গ্রেফতার করা হয়।

মঙ্গলবার (৪ জানুয়ারি) কাওরান বাজার র‍্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন এ তথ্য জানান।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন, চক্রের মূল হোতা মো.ছগির হোসেন (৪৭), মোছা. সেলিনা আক্তার পাখি (২০) ও মো. রুহুল মামিন (৩৩)।

এসময় তাদের থেকে ১ কোটি ২০ লাখ টাকা মূল্যমানের জাল নোট, ৫টি মোবাইল ফোন, ২টি ল্যাপটপ, ১টি সিপিইউ, ১টি মনিটর, ৩টি প্রিন্টার, ১টি হ্যান্ড এয়ারড্রয়ারসহ জাল নোট তৈরীর বিপুল পরিমান সরঞ্জামাদি জব্দ করা হয়।

কমান্ডার খন্দকার আল মঈন জানান, গেল ২৮ নভেম্বর র‍্যাব-৪ মিরপুর মডেল থানা এলাকায় অভিযান করে ২৮ লাখ ৫৩ হাজার টাকা মূল্য মানের জাল নোটসহ চক্রের সক্রিয় ৪ সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এই চক্রটির মূলহোতা ছগির ও অন্যান্য সহযোগীদের সম্পর্কে জানা যায়। ফলশ্রুতিতে র‍্যাব গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি করে গত রাতে তাদের ঢাকার মিরপুর পল্লবী এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়।

মঈন জানান, এই চক্রের সাথে ১৫-২০ জন সদস্য জড়িত রয়েছে। তারা পরস্পর যোগসাজশে দীর্ঘদিন যাবৎ ঢাকা ও বরিশালসহ বিভিন্ন এলাকায় এই জাল নোট তৈরী করে স্বল মূল্যে বিক্রি করত চক্রের মূলহোতা মো. ছগির হোসেন এবং তার সহযোগীরা।

র‍্যাব জানায়, ২০১৭ সালে জাল নোটসহ ইদ্রিস ও ছগির আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে গ্রেফতার হয়। ১ বছর জেল খেটে পুনরায় সে ২০১৮ সাল হতে জাল নোট তৈরি শুরু করে। তৈরীকৃত জাল নোটগুলো তার চক্রে থাকা অন্যান্য সহাযোগী গ্রেফতারকৃত রুহুল আমিন, সেলিনা ও অন্যান্য ৭/৮ জনের মাধ্যমে সে বিক্রি করে আসছে। জাল নোট ছগির নিজেই তৈরি করত এবং পুরান ঢাকা থেকে এর সরঞ্জামাদি নিজেই সংগ্রহ করত। এবং জাল নোট তৈরির পর সে তার অন্য সহযোগীদেরকে তার থেকে জাল নোট নিয়ে যেতে বলত। প্রতি ১লাখ জাল নোট ১০-১৫ হাজার টাকার বিনিময়ে সে বিক্রি করত। তার সহযোগিরা মাঠ পর্যায়ে সরবরাহ ও বিক্রি করত। টার্গেট বা চাহিদা অনুযায়ী ছগির প্রতিমাসে তার সহযোগীদেরকে বোনাসও দিত বলে জিজ্ঞাসাবাদে ছগির জানায়।

চক্রটি সাধারণত কোন মেলায়, ঈদে পশুর হাটে ও অধিক জন-সমাগম অনুষ্ঠানে জাল নোট বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে ব্যবহার করত। বর্তমানে বাণিজ্য মেলা ও শীতকালীন প্রত্যন্ত অঞ্চলের বিভিন্ন উৎসব ও মেলাকে কেন্দ্র করে বিপুল পমিান জাল টাকা তারা তৈরীর পরিকল্পনা করে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিতে গ্রেফতারকৃত ছগির জাল নোট প্রিন্টিং এর সময় কাগজের অব্যবহৃত ও নষ্ট অংশগুলো পুড়িয়ে ফেলত। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী যাতে তাকে ধরতে না পারে সে জন্য গ্রেফতারকৃত ছগির ঘন ঘন বাসা পরিবর্তন করত বলে জানান মঈন।

এছাড়া গ্রেফতারকৃত সেলিনা আক্তারের স্বামীও জাল নোট তৈরি চক্রের একজন সক্রিয় সদস্য এবং বর্তমানে সে জেলে আছে। স্বামীর মাধ্যমে এ চক্রের মূলহোতা ছগিরের সাথে তার পরিচয় হয় এবং সে নিজেও এ চক্রে জড়িয়ে জাল নোট ব্যবসা শুরু করে।অপর আসামী রুহুল আমিন এ চক্রের মূলহোতা ছগিরের অন্যতম সহযোগী।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category

Dairy and pen distribution

ডিজাইনঃ নাগরিক আইটি ডটকম
themesba-lates1749691102