স্টাফ রিপোর্টারঃ সাংবাদিকতার গৌরবোজ্জ্বল সময়ের কথা বলতে গেলে আমরা সাধারণত স্বাধীনতা পূর্ববর্তী সময়কেই বোঝাই। অথচ, বর্তমান সময়ের সঙ্গে তুলনা করলে তখনকার গণমাধ্যম একেবারেই তার প্রাথমিক অবস্থায় ছিল।
সে সময় কোনো বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল অথবা রেডিও স্টেশন না থাকায় এ ক্ষেত্রে সরকারের একচ্ছত্র আধিপত্য ছিল। স্বাধীন গণমাধ্যম বলতে শুধু সংবাদপত্র ছিল। আর সেটাও মূলত ‘দৈনিক ইত্তেফাক’ ও ‘সংবাদ’-এর মধ্যে সীমাবদ্ধ। বলাই বাহুল্য, সারা বিশ্বের মানুষের তখনো ইন্টারনেট, অনলাইনভিত্তিক গণমাধ্যম অথবা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের বিষয়ে কোনো ধারণা ছিল না। তবে গণমাধ্যমের সংখ্যা, প্রযুক্তি, প্রশিক্ষিত জনসম্পদ অথবা পুঁজির অভাব থাকলেও আমরা সে ঘাটতি প্রবল ইচ্ছাশক্তি দিয়ে পূরণ হয়।
পূর্ব পাকিস্তানের (বর্তমান বাংলাদেশ) জন্মলগ্ন থেকেই সাংবাদিকতা সম্পূর্ণভাবে আমাদের ভাষার অধিকার, সংস্কৃতি, অর্থনীতি ও সামাজিক ন্যায্যতা প্রতিষ্ঠার সংগ্রামের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে থেকেছে। প্রকৃতপক্ষে, সে সময় স্বাধীন সাংবাদিকতা বলতে যা সম্ভব ছিল; তা বাঙালির অধিকার প্রতিষ্ঠায় নিয়োজিত ‘দলীয়’ সাংবাদিকতা। আমরা সেই পক্ষপাতের বিষয়ে ভীষণভাবে গর্বিত। এর ওপর নির্ভর করছিল আমাদের আত্মমর্যাদা সম্পন্ন নাগরিক হিসেবে টিকে থাকা।
সাংবাদিকদের অধিকার আদাইয়ে আন্দোলন টিকিয়ে রাখতে ১৯৮২ সালে প্রবীণ সাংবাদিক মুহম্মদ আলতাফ হোসেনের অনুপ্রেরণায় গঠিত হয় সাংবাদিকদের একক সংগঠন জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা। সেই ধারাবাহিকতায় সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও নির্বাহী সভাপতি শাহজাহান মোল্লা, সুদক্ষ সাহসী মহাসচিব মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম, যুগ্ম মহাসচিব লায়ন সিকদার মোহাম্মদ আরিফুর আলম টিটো দপ্তর সম্পাদক রাব্বি মোল্লা, ওয়াহিদুজ্জামান ওয়াহিদ এবং বিভাগীয় জেলা উপজেলা সহ শীর্ষ নেতৃবৃন্দের নেতৃত্বে আদৌ গৌরবোজ্জ্বল শহীদ আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে সাংবাদিকদের একক সংগঠন জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা।
জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা একটি ব্যতিক্রমী আন্দোলন: এ আন্দোলন দেশে সৎ,নিরপেক্ষ ও বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতা বিকাশের!এ আন্দোলন দেশে সাংবাদিকতার শিক্ষা, গবেষণা ও কলা্যাণমুখী প্রয়াসের! এ আন্দেলন সর্বস্তরের সাংবাদিকদের সামাজিক মর্যাদা নিশ্চিত করার! এ আন্দোলন উদ্যমী তরুণদের দক্ষ কলম সেনিক হিসেবে গড়ে তোলার! এ আন্দেলন সাংবাদিক হয়রানি ও নির্যাতনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ার!এ আন্দেলনে আপনিও আমাদের সহযোগী হোন।