মোঃ ইব্রাহিম হোসেনঃ নির্বাচন যতো সন্নিকটে আসে বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে নাটকীয়তা বাড়তে থাকে জাতীয় পার্টির। অভ্যন্তরীন কোন্দল এবং গ্রুপিং এ কিছু দিন পর পর ই শুরু হয় নেতা-কর্মীদের মধ্যে কোন্দল এবং বিভক্তি। জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় সদস্য এবং নরসিংদীর আলোচিত নেত্রী নাজমিন সুলতানা তুলি কিছু দিন আগে জাতীয় পার্টি থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দেন এবং পদত্যাগ পত্র জমা দেন। দল থেকে চেয়ারম্যান অব্যাহতি দিয়ে তাকে পত্র ও দেন।
কিন্তু তৃণমূলে এবং রাজনৈতিক অঙ্গনে যথেষ্ট ব্যস্ত ভূমিকায় রয়েছেন নরসিংদী -৪ আসনের জাপা থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী নাজমিন সুলতানা তুলি। তিনি নিজেকে এখনো জাতীয় পার্টির প্রার্থী বলেই দাবী করছেন । এ বিষয়ে তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান কিছু ষড়যন্ত্র এবং হয়রানিমূলক আচরণের জন্য তিনি জি এম কাদেরের নেতৃত্বে জাতীয় পার্টির একাংশে সাংগঠনিক কাজ করে যাচ্ছিলেন। সেখান থেকে পদত্যাগ করেছেন কিন্তু পল্লীমাতা রওশন এরশাদের নেতৃত্বে জাতীয় পার্টির দশম জাতীয় সম্মেলন প্রস্তুত কমিটিতে অন্তর্ভূক্ত হয়েছেন। সম্মেলনের মাধ্যমে তিনি তার যোগ্যতা অনুসারে পদ-পদবী পাবেন বলে আশাবাদী। পল্লীমাতা রওশন এরশাদের নেতৃত্বে জাতীয় পার্টি থেকে লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে ই নির্বাচন করবেন বলে মন্তব্য করেন তিনি।
দলের মধ্যে সাময়িক কিছু দ্বিধা- বিভক্তি রয়েছে কিন্তু নির্বাচন নিয়ে পল্লীমাতার সিদ্ধান্ত কে ই সকলে স্বাগত জানায়। সেভাবেই দলের জন্য জনগণের জন্য কাজ করে যাবেন তিনি। পল্লীবন্ধু র মৃত্যুর পর এটাই প্রথম সম্মেলন জাতীয় পার্টির। নেতা -কর্মীরাই তাদের যোগ্যতম নেতা কে চেয়ারম্যান হিসেবে সিলেক্ট করবেন ।দেশব্যাপী সাংগঠনিক দিক দিয়ে ইতোমধ্যে দলটি গুছিয়ে উঠেছে। এবার পালা কেন্দ্রীয় নেতাকর্মীদের গোছানো একটা কমিটি। এটাও খুব শীগ্রই চলে আসবে বলে ও তিনি তার মন্তব্যে জানায়।