জনাব রবিউল আলমঃ সুদীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে, লড়াই সংগ্রামে, গনতন্ত্র পুনরুদ্ধারে রাজপথের হিসাব মিলাতে পারছিনা। বাশের লাঠি ধরতে যার হাত কাপতে দেখেছি, তার হাতেই বন্দুকের নলের মাধ্যমে শত শত শ্রত্রু পহ্মকে হত্যা করতে দেখেছি, দেশকে মুক্ত করার জন্যে।
জাতির জনকের ৭ মার্চের ভাষন, যার যা আছে, তাই নিয়ে প্রস্তুত থাকো। বাঙালী বিশ্বাস করেছে, অসহযোগ আন্দোলন ও অস্ত্র হাতে দেশকে মুক্ত করেছে। স্বাধীনতার সুফল আজ বাংলার ঘরে ঘবে।
১৫ আগস্টের পরে ঘর ও কলম ছেড়ে কি ভয়ংকর হয়ে উঠে ছিলাম মজিব আদর্শ ফিরিয়ে আনার জন্যে।অপরাধকে মুক্ত করতে, কিছুটা অপরাধী হয়েছিলাম। এলাকায় আমাকে আঃলীগ পাগলের উপাধি দেওয়া হয়েছিল, এখনও অনেকে বজায় রেখেছেন। কলম আমার বিবেকের পুনঃজাগরণ ঘটিয়েছে।
মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ঐতিহ্য, জাতির জনকের দেখানো পথে ফিরে আসতে।আঃলীগ আমাকে চরিত্রহীন হতে দেন নাই। আঃলীগকে বিশ্বাস করার প্রতিদান থেকে জাতি কখনো বঞ্চিতও হয় নাই। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেই ধারাবাহিকতা বজায় রাখার জন্য নিজের জীবনের সুখ-স্বাছন্দ বিসর্জন দিয়েছে, শ্রমের পরিধি বিশ্লেষণের প্রয়োজন আছে কি ?
আন্তর্জাতিক সম্পর্ক উন্নয়ন, দেশ পুর্ণগঠন, দলের শৃঙ্খলা বজায় রাখার দায়ীত্ব একমাত্র শেখ হাসিনার উপরই ন্যাস্ত করা হয়েছে। জোর করে চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে আমি মনে করি। এই তিনটি বিষয়ের জন্য একজনকেও বিশ্বাস করার মত নেতা আঃলীগে নাই ? আছে অনেকেই। কিন্তু অনেকে, অনেকেই বিশ্বাস করছেনা। মন্ত্রী বানিয়ে দিলে, নিচে দেখে না, এমপি, মেয়র, কাউন্সিল, চেয়ারম্যান দলের সাথে সম্পর্ক রাখেনা। দলের কমিটি করতে দিলে চোর-চোট্রা বাছাই করে না। সব বিষয় শেখ হাসিনাকেই দেখতে হয়, চাপিয়ে দেওয়া হয়। যে কারণে রাষ্ট্র থেকে দল, কিছু না কিছু ভুল হয়, হতেই পারে।
আঃলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ থেকে ধর্ষক, মাদক কারবারি, হত্যাকারী আবিস্কার হলে আমার মাথায় মানসিক রোগের আবির্ভাব হয়। আঃলীগের সভামঞ্চ থেকে নীতি আদর্শহীন বক্তব্য, অপ্রয়োজনীয় নির্বাচনী অঙ্গিকার করা হয়, তখনই আমার মাথায় মানসিক রোগের আবির্ভাব হয়।জাতির জনক আমাদেরকে এই অপ্রাসঙ্গিক কথা বলতে শিখায় নাই, অপ্রয়োজনীয় কথা বলেন নাই, একটি স্বাধীনতার ঘোষণা দিতে ২৫ বছর অপেক্ষা করতে হয়েছে, নেতৃত্বের বৈধতার জন্য নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে হয়েছে।জনপ্রতিনিধি ছাড়া স্বাধীনতার ঘোষণা দেওয়া যায় না, এমনকি দেশের সেনাপ্রধানও না।
অনেকেই মেজরকে ঘোষক বানিয়ে ফেলেছেন।রক্তে কেনা স্বাধীনতা, জনকের অঙ্গিকার সব ভুলে আঃলীগ মঞ্চ থেকে কাউন্সিলর চেয়ারম্যান প্রার্থীরা গ্যাস, বিদ্যুৎ পানির, মাদক মুক্ত, রাস্তা-ঘাট, অভাব-অভিযোগ, সকল সমস্যার সমাধানের অঙ্গিকার করেন, যাকিনা প্রার্থীদের আওতায়ই পড়ে না। নির্বাচিত হওয়ার পরে, সব ভুলে ফুটপাতের চাঁদা ও অবৈধ আয়ের সকল উৎসকে আলিঙ্গণ করতে ভুল করেন না।এসব দেখার পরে নিজেকে মানসিক রোগীই মনে হয়।
আঃলীগের মঞ্চে দাড়িয়ে মুজিব জন্মশতবার্ষিকীতে আদর্শহীন বক্তা,দলের সাথে সম্পর্কহীন, নির্বাচনী অঙ্গিকারবিহীনদের চিহ্নিত করুন। আমদানিকৃত নেতাদের বাছাই করুন, কমিটি গঠনে দায়ীত্ববানরা মুজিব আদর্শবানদের ফিরিয়ে আনুন, ধরে রাখুন। হ্মমতায় আসতে মুনাফিক আদর্শহীনদের প্রশোজন না হলে, ভোগের জন্য কেনো প্রয়োজন ? জনগণের উপর বিশ্বাস, মজিব আদর্শবানদের উপর আস্তা রাখুন।
মজিব জন্মশতবার্ষিকীতে দেশ ও জাতিকে মজিব আদর্শের উপহার নিয়ে আসুন। বাকীটা শেখ হাসিনাকে বুঝতেদিন। অনেক কিছুর প্রয়োজন নাই।
লেখকঃ বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতির মহাসচিব ও রাজধানী মোহাম্মদপুর থানার ৩৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামলী লীগের সভাপতি জনাব রবিউল আলম।