মোঃ ইব্রাহিম হোসেনঃ একমাত্র পুত্র সন্তান হারানোর স্মৃতিময় বেদনার কথা স্মরণ করে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, ‘আমি ছেলে হারা পিতা। অনেক কষ্ট নিয়ে বেঁচে আছি। ছেলে হারানোর ব্যাথায় আমি এখনও ঘুমাতে পারি না। অনেক স্বপ্ন ছিল, কিন্তু আমার সন্তানটি আমাকে ও সমস্ত আপনজনকে ফাঁকি দিয়ে চলে গেল। এমন দিন যেনো কোনো পিতার জীবনে না আসে।’
জাহাঙ্গীর কবির নানকের পুত্র সায়াম-উর রহমান সায়ামের ১২তম মৃত্যুবার্ষিকী ছিল আজ। মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বুধবার (৬ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর মোহাম্মদপুরের সূচনা কমিউনিটি সেন্টারে দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা থেকে শুরু করে তৃণমূলের নেতাকর্মীদের ঢল নামে।
অনুষ্ঠানে ছেলের জন্য সবার কাছে দোয়া চেয়ে নানক বলেন, ‘আজকে আমি দাঁড়িয়েছি আপনাদের সামনে। আপনারা আমার ছেলের জন্য দোয়া করবেন। আমার সন্তানকে যেন আল্লাহ বেহেশত নসীব করেন।’
এসময় আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সকল শহীদের জন্য দোয়া চান তিনি।
দোয়া ও মিলাদ মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, বি এম মোজাম্মেল হক, সুজিত রায় নন্দ, সদস্য মোহাম্মদ এ আরাফাত, প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী মশিউর রহমান হুমায়ুন, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান, ঢাকা-১৩ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মোঃ সাদেক খান, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি গাজী মেজবাউল হক সাচ্চু, সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবু, ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন, সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান, ঢাকা মহানগর নেতাকর্মী সহ সরকারের উচ্চ পর্যায়ের সচিবগণ। এছাড়াও স্থানীয় শেরেবাংলা নগর, আদাবর ও মোহাম্মদপুর থানা আওয়ামী লীগ এবং এর অঙ্গ সংগঠনের সাত থেকে আট হাজার নেতাকর্মীরা এই অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
প্রসঙ্গত, ২০১১ সালের ৬ সেপ্টেম্বর কক্সবাজারে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানকের একমাত্র পুত্র সায়াম-উর রহমান সায়াম।