মোঃ ইব্রাহিম হোসেনঃ রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকার অভিজাত পরিবারের সন্তান বিমান বাহিনীর সাবেক কর্মকর্তা ওয়াদুদ আহমেদ’র ছোট ছেলে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা তোফায়েল আহমেদ জোসেফ। বড় ভাই মেজর জেনারেল আজিজ আহমদ বর্তমান সেনাপ্রধান। পাঁচ ভাইয়ের মধ্যে সবার ছোট জোসেফ। বড় ভাই হারিস আহমেদের হাত ধরে রাজনীতির মাঠে পদার্পণ করেন।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যাকারী জিয়ার সূর্যসন্তান ফারুক-রশিদ-ডালিমেরা জিয়ার পৃষ্টপোষকতায় গঠন করেছিল ফ্রিডম পার্টি। শেখ হাসিনা দেশে ফিরলে ফ্রিডম পার্টি তাঁকেও কয়েক বার হত্যা করার চেষ্টা চালায়। নব্বই দশকে তোফায়েল আহমেদ জোসেফদের প্রতিরোধের মুখে জিয়ার গঠিত আওয়ামী লীগ বিরোধী সন্ত্রাসী বাহিনী ধীরে ধীরে পশ্চাৎপদ হতে বাধ্য হয়।
তোফায়েল আহমেদ জোসেফের উপর শোধ নিতে ফ্রিডম পার্টি খুন করে তার ই আরেক ভাইকে। ভাই হত্যার বদলা নিতে ৫ বছর পর জোসেফ কুখ্যাত যুদ্ধাপরাধী রাজাকার মোস্তাফিজুরকে খুন করেন।
সেই হত্যার দায়ে জোসেফ যাবজ্জীবন সাজা ভোগ করার মাত্র দেড় বছর পূর্বে মহামান্য রাষ্ট্রপতি কারা কর্তৃপক্ষের সুপারিশসহ তোফায়েল আহমেদ জোসেফের মার্সি পিটিশনটি আমলে নিয়েছেন।
দেশ-বিদেশ কিছু জঙ্গি মিডিয়া সন্ত্রাসীরা প্রতিরোধ যোদ্ধা তোফায়েল আহমেদ জোসেফকে কুখ্যাত রাজাকার খুনি মোস্তাফিজকে হত্যার দায়ে সাজা ভোগ করার পরও বিনা দ্বিধায় ‘শীর্ষ সন্ত্রাসী’ বলে যাচ্ছে। আর এই জোসেফের ভাই সেনাপ্রধান কে নিয়ে কিছু নামধারী ছাগু জামাতের টাকা খাওয়া দেশ-বিদেশ মিডিয়া সন্ত্রাসীরা জাত গেল জাত গেল বলে ঝড় তুলেছে।
নামধারী কিছু মিডিয়া সন্ত্রাসীদের কাছে ১৯৭৪ সালের ৪ এপ্রিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুহসীন হলে সেভেন মার্ডার সংঘটিত হয়। এই সেভেন মার্ডারের অন্যতম ফাঁসির আসামি ছিলেন তৎকালীন ছাত্রলীগ নেতা জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সভাপতি শফিউল আলম প্রধান।
জিয়াউর রহমান শফিউল আলম প্রধানের ফাঁসির দণ্ডাদেশ মওকুফ করেন। ছাত্রলীগ নেতা হিসেবে রাজনৈতিক উত্থান হলেও জিয়ার পিতৃ ঋণ সুদ করতে আওয়ামী লীগের বিরোধিতা করে আমৃত্যু বিএনপির সঙ্গে প্রেম ভালোবাসায় কাটিয়েছেন তখন কিন্তু জাত যায় নি ঝড় ও তোলেনী।
সুইডেন বিএনপির সভাপতি মহিউদ্দিন ঝিন্টু সূত্রাপুরের দুই ব্যবসায়ীকে হত্যার দায়ে পলাতক অবস্থায় মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত হন। চারদলীয় জোট সরকার ক্ষমতায় আসলে দীর্ঘ ২২ বছর পর ব্যারিস্টার মওদুদের বদান্যতায় ২০০৫ সালের ৩ জানুয়ারি দেশে এসে আত্মসমর্পণ করেন। মাত্র ১০ দিন কারাগারে থাকার পর ১৩ জানুয়ারি রাষ্ট্রপতি অধ্যাপক ড. ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদের ক্ষমায় মুক্তি পান। তখন কিন্তু জাত যায় নি ঝড়ও তোলেনী। যদিও তাহার সঙ্গী আসামি আবুল হাসনাত কামালের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়।
তাছাড়া নাছির উদ্দিন পিন্টু, শাহাব উদ্দিন লাল্টু, প্রকাশ, বিকাশ, ডেভিড, সুইডেন আসলাম প্রমুখ সহ বিএনপি জামাতের সন্ত্রাসীদের কথা লিখলে কয়েক খন্ড মহাভারতে ও জায়গা হবে না।