স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
চীনের উইঘুর প্রদেশে মুসলিমদের নির্যাতন-নিপীড়ন, হত্যা বন্ধ না হলে চীনা পণ্য বর্জন করার হুংকার দিয়েছে বাংলাদেশ আওয়ামী ওলামা লীগের নেতারা। মুসলিমদের সঙ্গে চীন সরকারের অমানবিক আচরণ বন্ধেরও আহবান জানান সংগঠনের নেতারা।
বৃহস্পতিবার ( ১২ নভেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ আওয়ামী ওলামা লীগ জাতীয় সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটর উদ্যোগে চীনে উইঘুর মুসলিমদের উপর নির্যাতন-নিপীড়ন মুসলিম নারী ও শিশুদের ধর্ষণবন্ধসহ মানবতাবিরোধী তাণ্ডবের প্রতিবাদে আয়োজিত মানববন্ধন থেকে এ হুংকার দেন ওলামা লীগের নেতারা।
মানববন্ধনে ওলামা লীগের সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সদস্য সচিব মুফতি মাসুম বিল্লাহ নাফিয়ী বলেন, চীন সরকারকে উইঘুর মুসলিমদের উপর থেকে সকল প্রকার জুলুম-অত্যাচারসহ মানবতাবিরোধী নৃশংস তাণ্ডব বন্ধ করতে হবে। মুসলমানদের ওপরে নির্যাতন বন্ধ না হলে বিশ্বের মুসলমানরা চীনা পণ্য বর্জন করবে। চীন সরকার মুসলিম ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি ধ্বংসের জন্য ব্যাপক কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। যা ধীরে ধীরে তারা বাস্তবায়ন করছে। আমরা এই অমানবিক আচরণের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
এসময় ওলমা লীগের নেতারাবলেন, উইঘুর মুসলিমদের ইসলামি সাংস্কৃতি ও মূল্যবোধকে ধ্বংস করতে চীন সরকার নতুন নতুন পরিকল্পনা গ্রহণ করছে। মুসলিম যুবকদের বৌদ্ধ মেয়েদের বিয়ে করতে অর্থের প্রলোভন দেখাচ্ছে। মুসলিম গর্ভবর্তী নারীদের অবৈধভাবে গর্ভপাত করাচ্ছে। মুসলমানদের শিক্ষার সুযোগও অত্যন্ত সীমিত করা হয়েছে। অনতিবিলম্বে চীনের উইঘুর মুসলমানদের উপরে চলমান অত্যাচার-নির্যাতন বন্ধ করতে হবে।
মানববন্ধর সংগঠনের পক্ষ থেকে কয়েক দফা দাবিও তুলে ধরেন ওলামা লীগের নেতারা।
দাবির মধ্যে রয়েছেন, চীনের উইঘুর মুসলিম নারীদেরকে জোরপূর্বক গর্ভপাত বন্ধকরণ।
চীন সরকার তা বন্ধ করে সর্বত্রেই মুসলিম নাগরিকদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
সম্প্রীতির বিশ্ব গঠনে চীন সরকাকে সাম্প্রদায়িক হিংস্র মনোভাব পরিবর্তন করে উইঘুর মুসলিম নাগরিকদের নিরাপত্তাসহ ধর্ম পালনের স্বাধীনতা সুনিশ্চিত করা। চীনের শিনজিয়াং উইঘুর মুসলিমদের ইবাদতের স্থান তথা মসজিদ ভাঙ্গা ও ধ্বংস লীলা বন্ধ করতে হবে। চীন সরকার চীনা বন্দি শিবিরে আটক রাখা ২১ লাখ উইঘুর মুসলিমদেরকে নিঃশর্তভাবে দ্রুত মুক্তি দিতে হবে। চীনের শিনজিয়াং-এলাকায় অবাধ সংবাদ মাধ্যম প্রবেশের সুযোগ করে দিতে হবে।
মানববন্ধনে আরও বক্তব্য রাখেন সংগঠনের মুখপাত্র ক্কারী মাওলানা আসাদুজ্জামান, বাকশাল মহাসচিব কাজী মো. জহিরুল কাইয়ুম, যুগ্ম আহবায়ক হাফেজ মাওলানা আনোয়ার হোসেন জুয়েল, লোকশক্তি পার্টির চেয়ারম্যান মো. শাহিকুল আলম টিটু, মাওলানা আলতাফ হোসেন চৌধুরী, মুফতী আব্দুল আলিম বিজয়নগরী, পীরে তরীকত মুফতী ইব্রাহীম খলিল ফারুকী, মাওলানা আনোয়ার শাহ,পীরে সূফী মাঞ্জুর আহমেদ চিশতী, পীরে তরীকত মাওলানা রফিকুল ইসলাম আশরাফী,কাজী মাওলানা তাজুল ইসলাম, হাফেজ মাওলানা ফরিদ হোসেন, মাওলানা জাকারিয়া আলম আল কাদেরী, হাফেজ হাফিজুর রহমান, মাওলামা মাহমুদুল্লাহ মিরাজ, সূফী আব্দুল করিম, সূফী মারুফ নূরী ওরফে শায়েস্তা প্রমুখ।