জনাব রবিউল আলমঃ ধর্মের রাজনীতি কি সত্য কথা বলে ? কোরআনের রাজনীতি কি কোনো মাওলানা করে ? মত নিয়ে মতবাদ, ধর্ম নিয়ে প্রতিবাদ এখন পেশায় পরিনত হয়েছে। শিয়া সুন্নি, হিন্দু খৃষ্টান ধর্মের নাই অভাব। এত নামের ধর্মকর্তা কি আছে ? তবে সৃষ্টিকর্তা বলা হয় কাকে ? আমরা সবাই বিশ্বাস করি সৃষ্টির মালিক আল্লাপাক।একটি পিপড়া বানানো হ্মমতা দেওয়া হয় নাই কাওকে। অনেকেই অনেক নামে ডাকে সৃষ্টিকর্তাকে। আল্লাপাক ডাকার জন্য হুকুমও দিয়েছে, নিষেধ করেন নাই। সকল ধর্মের মানুষের নিরাপত্তা দেওয়ার হুকুম মুসলমানদের উপর ন্যাস্ত করা হয়েছে। ধর্ম নিয়ে বারাবাড়ি, জোরজুলুম, অত্যাচার ও ধর্মের উপর আঘাত করা নিষেধ করা হয়েছে। অন্য ধর্মের কথা নাই বললাম। ইসলামকে কত ভাগে মত প্রকাশ করা হচ্ছে। সবাই বলছেন আমার মত বড়। চরমুনাই, আটরশি, মাইজ ভাণ্ডার, লেংটা, কাপর পড়া, কাপর ছাড়া পির ও ঠাকুরে অভাব নাই । মাদ্রাসায় ও মতবাদ আছে। আমরা কি ধর্মগুরুদের বিবাদ থামাবো, নাকি নিজেরা ধর্ম পালন করবো ? অপচয়, ধ্বংস, হত্যা নারী নির্যাতন, নেশা ইসলামে কোনো অবস্থান নাই। বিশ্বের সকল ধর্ম ও রাষ্ট্র ধ্বংসের জন্য মরিয়া। একমাত্র শেখ হাসিনা মানব ও দেশ উন্নয়নের পথ বেছে নিয়েছে। বোমাবাজ, সন্ত্রাস, জ্বালাও পোড়াও ধ্বংসের পথে বাংলার মানুষকে কাবু করতে না পেরে, ফতুয়ার পথ বেছে নেওয়া হয়েছে। নারী নেতৃত্ব হারাম, খালেদা জিয়া হ্মমতায় থাকলে বলেন না, তার পায়ের কাছে অনেক নামদারী আলেমকে দেখেছি। শেখ হাসিনা হ্মমতায় আসলেই ফতুয়া বের হয়, লগে ভাস্কর ও যুক্ত হয়। মাদ্রাসা ও মসজিদের ইমাম দ্বারা বলৎকার হলে ফতুয়া কোথায় থাকে, আমরা জান্তেও পারিনা।যে সব মুসলিম দেশ মোল্লাদেরকে টাকাদেয়, সেই দেশের মুর্তি নিয়ে কথা হবে না। পাকিস্তান, মিসর, সৌউদী, তুরস্ক নিয়ে কথা নাই। শেখ মজিবের ভাস্কর্য নিয়ে নতুন করে মাথা ব্যাথা কারন বুঝতে ও আমাদের অসুবিধা নাই। একজন আলেম যদি নিজস্ব হাদিস, কোরআন রাজনৈতিক কারনে ব্যবহার করেন, আমরা সাধারন মানুষ কোথায় যাবো। কার কাছে সহিদ্বিন ও ইসলামের বানী পাবো ? আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র কারীরা একের পর এক ব্যাথ হওয়াতে ফতুয়াবাজদের আশ্রয়স্থল হয়েছে মনে হয়। ফতুয়ার রাজনীতির দিন শেষ। মানুষ এখন অনেকটাই সচেতন। হাতের কাছেই টুইটার, ইউটিউব, ফেসবুক, ওয়ার্সব, ইমেইল। চাইলেই ভণ্ডদের মুখোশ উম্মচুন করা যায়। সত্য বেছে নেওয়ার মাধ্যমে। এখন অজপাড়াগাঁ ও কুশিহ্মা আমরা নিঃশেষ করতে পারিনি। এই সুযোগটা তথাকথিত মোল্লা, ফকির, ঠাকুররা গ্রহন করছে নিজস্ব স্বার্থসীদ্ধির জন্য। কয়টা টাকা পেলেই ফতুয়া বিক্রি করে। একবারও ভাবেন না, জাতি ধর্ম, দেশের কি পরিমান হ্মতি করছেন। হ্মতিগ্রস্ত হচ্ছেন নিজেও। শেখ হাসিনার উদারতায় অনেক রাজনীতি হয়েছে। অসভ্যতাও একটা শেষ আছে। ভ্যদ্ধতাকে দুর্বলতা মনে করলে, বুজিয়ে দিতে হবে বাঙালির এক্যবদ্ধতার নমুনা। চট্রোগ্রাম থেকেই শুরু হউক ফতুয়াবাজদের রাজনৈতিক যবনিকা।
লেখকঃ বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতির মহাসচিব ও রাজধানী মোহাম্মদপুর থানার ৩৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামলী লীগের সভাপতি জনাব রবিউল আলম।