গ্যাণী নয় তবে যেটা ঘটে চলেছেন তার উপরেই মন্তব্যঃ আবিদ আহানাফ কনক
Reporter Name
Update Time :
Friday, November 13, 2020
315 Time View
আবিদ আহানাফ কনকঃ বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান সাহেব আমরা হয়তো বা লোভের বশবর্তী কিনবা লোভের দরজা লাড়াতেই আপনার মা কে মা বলছি। কিন্তু প্রকৃত সত্য যে আমরা মন থেকে হৃদয় থেকে কেউ মা ডাকছি না।
দলের কোনো নেতাই আপনার মায়ের গৃহবন্দি মুক্তির দাবিতে নিজের জীবন দিবেন না এমনকি আপনাকেও দেশে ফিরিয়ে আনার জন্যও জীবন দিবেন না।আজ আপনি যাদের উপর নির্ভর করে দলের কর্মকান্ড ছেড়ে রেখেছেন ওনারা কি করবেন এটা হয়তো জানা বোঝার শেষ ইষ্টেটে চলে এসেছেন। আর কত দিন এভাবে আপনার মায়ের অন্ধকার গৃহবন্দি রাখতে চাইছেন। এক যুগের বেশি টাইম হলেও যখন নিজ দলের উন্নয়ন বা দলের মধ্যে জাগ্রত ভূমিকা রাখতে পারে নাই যাদের হাতে নেতৃত্বে তখন আগামীতে কি হবে এটা বুঝার ক্ষমতা হয়তো আপনার আছে।
আপনার দল বিএনপি আর এই বিএনপি কে ঘুরিয়ে আনতে বেশি টাইম লাগার কথা নয়। যে দলের জনসমর্থন আকাশ ছোঁয়া সেই দলের আজ এই পরিস্থিতি কেনো এটাও হয়তো আপনার অজানা নয়। আপনি কি মনে করেন তা হয়তো জানি না তবে আপনার দলের মোড় ঘুরিয়ে আওয়ামী লীগ সরকারের সাথে শক্ত হাতে লড়াইয়ে ঝাপিয়ে পড়বেন এদেশের আপামোর জনতা সেই কাজ গুলো কখনোই কি করছেন আপনার দলের নির্ভরশীল নেতৃত্ব যারা আছেন তারা।
বিশ্বাস করুন আর নাই করুন মাত্র সাত আট মাস লাগবে আপনার দলকে শক্তিতে রূপান্তরিত করতে।আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং সংবিধান সংশোধন করে সরকার দলীয় করে রেখেছেন এর জন্য আপনি যাদের দলের দায়িত্ব কর্তব্যে পালন করতে দিয়েছেন তাদের কি ভূমিকা আছে একটু চিন্তা করে দেখুন।এভাবে একটি দলের অস্তিত্ব হুমকির সম্মুখীন রেখে আপনার দলের নেতারা কিভাবে ঘুমিয়ে থাকে এটাই আমি বুঝি না। আমি আপনার দলের কিছুই নয় তবে আপনার দলকে আপনার পরিবার কে আপনাকে ভালোবেসে দলে করে চলেছি। এযাবত্ দলের কর্মকান্ড এবং আওয়ামী লীগ সরকারের নির্যাতন ও তাদের চরিতার্থ কি অনুধাবন করতে পারেন না আপনার দলের হাইকমান্ড।
আপনি বাহিরে আছেন আপনাকে যে যেটা বোঝাচ্ছেন আপনি সেইটাই করছেন কিন্তু আপনি কি জানেন আপনার দলের নেতাকর্মী আজ দুই তিন ভাগে বিভক্ত। এর জন্য দায়ী আপনার দলের হাইকমান্ড। আর এই হাইকমান্ডের লোভের বশবর্তী হয়ে উল্টো পাল্টা নেতৃত্ব সামনে এনে সারাদেশের মধ্যে ভেদাভেদ মতপার্থক্য দূরীকরণ সৃষ্টি করে রেখেছেন। আপনি আপনার দলকে সুসংগঠিত করতে হলে আগে সকল জেলা ও সকল সংগঠন গুলোর মাঝে যে ভেদাভেদ সৃষ্টি হয়ে আছে ওই গুলো দূর করুন। তারপর জেলা থেকে শুরু করে সকল সংগঠন মজবুত করুন।
রাজনীতি করতে গেলে মামলা হামলা অবশ্যই হবে এতে কোনো সন্দিহান নাই কিন্তু গতকালের ঘটনা এবং উপনির্বাচনে যে পদক্ষেপ দরকার ছিলো তা কি আপনার দলের এবং আপনি যাদের দায়িত্ব কর্তব্যে পালনে সদা জাগ্রত রেখেছেন উনারা কতটুকু সঠিক ভাবে পালন করেছেন এটা আপনি নিজেও অবগত। কিছু না করেও যখন মামলা খেতে হলো তখন গতকাল কেনো প্রতিটি কেন্দ্রের মাঝে সকল পর্যায়ের নেতারা উপস্থিত হলেন না এবং কেনো কেন্দ্রের মধ্যেই প্রতিবাদী হয়ে উঠলেন না কেনো কেন্দ্রে থেকে সরে এসে প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়ে তনুমনু বক্তব্য রাখলেন।
গতকাল কেন্দ্র থেকেই কেনো এক শত দুই শত নেতাকর্মী সমর্থকরা গ্রেফতার হলেন না।মাঠের কাজ মাঠে করার পর যদি দুই একজন মারা যেতো তখন অবশ্যই ব্যতিক্রম কিছু হতে পারতো এবং আলোচনা সমালোচনা অবশ্যই বিশ্ব জুড়ে নিন্দনীয় হতো। যখন কোনো কিছুই হাইকমান্ড পারে না তখন কেনো বারবার নেতাকর্মীদের এগিয়ে দিয়ে মামলা খাওয়াচ্ছে। প্রশ্ন অনেক কিন্তু বলতে পারছি না কষ্ট লাগে আপনি একবার ভেবে চিন্তা ডিসিশন নিন।