মোহাম্মদ ইরফান।
গাড়ির যন্ত্রাংশ চোর চক্রের ৭সদস্যকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)ডিবি,জানায় তারা দীর্ঘদিন ধরে গাড়ির চোরাই যন্ত্রাংশ সংগ্রহ করে বিভিন্ন মাকেটে বিক্রি করতেন।
মঙ্গলবার (২৬ এপ্রিল) ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা লালবাগ বিভাগের সংঘবদ্ধ অপরাধ ও গাড়ি চুরি প্রতিরোধ টিম বিশেষ অভিযান চালিয়ে পল্টন ও ভাটারা থানা এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন মো. এনামুল মোল্লা (৩৫), মো. এনামুল হক ওরফে এনাম (৪৭), মো. বকুল চৌধুরী (২৪), শরিফ আহম্মেদ ওরফে কালু (৪০), বিল্লাল হোসেন (২৮), মো. ইকবাল হোসেন ওরফে পলাশ (৩৪) ও মো. ইকবাল খান (৩২)।
এ সময় তাদের কাছ থেকে বিভিন্ন মডেলের প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস ও জিপ গাড়ির সাইড লুকিং মিরর ১২৪ পিস, সাইড মিররের কভার ১৯ পিস, লুকিং গ্লাসের কর্নার বিট ১০৭ পিস, হেরিয়ার জিপ গাড়ির গ্রিল লোগো ২ পিস, কমপ্লিট মিরর ১২ পিস, এক্সিও প্রাইভেটকারের দরজার বিট ৩০ পিস, কমপ্লিট সাইড মিরর ১৮ পিস, বাম্পার ক্যাপ-৬ জোড়া, পিছনের ডালার বিট ২৬ পিস জব্দ করা হয়।
বুধবার (২৮ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টায় ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন এসব তথ্য জানান মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মাহবুব আলম।
মাহবুব আলম জানান, গ্রেফতারকৃতরা দীর্ঘদিন ধরে চোরদের কাছ থেকে গাড়ির চোরাই যন্ত্রাংশ সংগ্রহ করে কার প্লাস মার্কেটের কালু, বিল্লাল, স্কাউট মার্কেটের চুন্নু, পলাশ, বারিধারার ইকবাল, মহাখালী জেবা মার্কেটের নাহিদ, পরান, মামুন ও ধোলাই খালের সানালদের কাছে বিক্রি করতেন। তাদের নামে আগেও চোরাই যন্ত্রাংশ কেনাবেচার মামলা রয়েছে। তারা ৭-৮ বছর ধরে গাড়ির চোরাই যন্ত্রাংশ কেনাবেচার কাজের সঙ্গে জড়িত।
মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের এই কর্মকর্তা আরও জানান, অনেক ক্ষেত্রে তারা যে মালিকের যন্ত্রাংশ চুরি করেন, দোকানদার সেই যন্ত্রাংশ পুনরায় উচ্চ দামে ওই মালিকের কাছেই বিক্রি করতেন। কারণ অনেক গাড়ির নতুন যন্ত্রাংশ মার্কেটে আলাদাভাবে আমদানি করা হয় না বা কিনতেও পাওয়া যায় না।
গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে পল্টন মডেল থানায় একটি মামলা করা হয়েছে বলে জানান ডিবির এই কর্মকর্তা।