জনাব রবিউল আলমঃ
নেশা ছাড়া এই পৃথিবী চলবে না, চলতে পারবেনা। পড়ার নেশা, বই এর নেশা, লেখার নেশা। মদ ও গাজার নেশা। রাজনীতিকে আমরা নেশার সাথে তুলনা করতে পারি। সমাজসেবক ও সেবিকা হওয়ার জন্য আধ্যাত্তিক নেশার প্রয়োজন হয়। নেশায় না পরলে নিজের খেয়ে বনের মোষ তারাতে কেউ পারবে না। ইমাম চলে আখেরাতের নেশায়, ফকির চলে গাজার নেশায়, মেতর-ডোমরা চলে মদের নেশায়। প্রতিজন মানুষের নিজস্ব স্বাধীনতাকে বন্দী করে একটি দেশ চলতে পারে না,হিতে বিপরিত হয়। হয়েছেও তাই। সাধনার সুরা,শক্তি, মৃত্যসঞ্জিবনী ও গাজার বিক্রির ডিলার ছিলো প্রতিটি ওয়ার্ড ও পাড়ায় মহল্লায়। প্রয়োজন অনুপাতে ক্রয় বিক্রয় হতো। এই নেশা ছিলো স্বেচ্ছায় গ্রহন ও বর্জন করার মতো। বয়সের একটা সময় লোকলজ্জার ভয়ে পরিত্যাগ করা হতো। রাষ্ট্রকে মুসলমান বানাতে গিয়ে অ্যালকোহলের অবাধ বিচরন বন্দ করা হলো। নিষিদ্ধ পন্যের চাহিদা পুরণে ফেন্সিডিল, হিরোইন, মারিজুয়ানার,ইনজেকশন, ইয়াবার মতো হাজারো মরন নেশায় আমাদের দেশ ও জাতিকে আজ মরনের দারপ্রান্তে নিয়ে এসেছে। নেশাকে নিরাময় করার জন্য ও একাধিক নেশাগ্রস্ত নিরাময় কেন্দ্র গড়ে উঠেছে। সরকারের বিবেচনায় অনেক বিষয়ের সমাধান করা যায় না, আমারতো মুসলমান। প্রশ্নটা এখন মহামান্য আদালতে। রিটকারী আইনজীবী এডভোকেট আহসানুল করিমকে বলতে হয়েছে, অ্যালকোহল বানানো,রপ্তানি ও আমদানী লাইসেন্সের আওতায় করা যায়, অন্য মাদকদ্রব্যের ক্ষেত্রে তা নিষিদ্ধ। অ্যালকোহল সহজলভ্য হলে ক্ষতিকর মাদকদ্রব্য ব্যবহারে অনেকেই নিরুৎসাহিত হবে। এতো সহজ সত্য কথাটা বুঝতে, বুঝাইতে আমাদেরকে আদালতের দারস্থ হতে হলো! একটি নিদের্শনার অপেক্ষায় থাকতে হবে দেশ ও জাতিকে, রক্ষা করার জন্য। বিশ্বের অনেক দেশে স্বেচ্ছায় মৃত্যুকেও অনুমোদন করে,সমাজের জন্য ক্ষতিকার বিবেচিত হলে। বিষকে প্রতিরোধ একমাত্র বিষই করতে পারে। মরন নেশাকে প্রতিরোধ করতে চাই, আমাদের দেশীও নেশার জগতকে উন্মুক্ত রাখতে হবে। একজন নেশাগ্রস্ত পাগলের সাথে পুরো দেশটা যেনো নেশাগ্রস্ত পাগল না হয়। দীর্ঘ সময় পরে হলেও মহামান্য আদালতের দৃষ্টিতে নেশার মতো মরন বেদী সমাধানের প্রকৃতচিত্র উপস্থাপন করা হয়েছে। স্যালুট আইনজীবীকে।
লেখকঃ বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতির মহাসচিব ও রাজধানী মোহাম্মদপুর থানার ৩৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি জনাব রবিউল আলম।