জনাব রবিউল আলমঃ জীবনে অনেক প্রশ্নের উত্তর পেলামনা। তার পরেও ভাবনার জগত ছাড়তে পারলামনা।৭ কোটি মানুষের বাংলাদেশ খাদ্য ঘার্তি ছিলো, ২০ কোটি মানুষ খাচ্ছে, খাদ্য রপ্তানি করতে হয়। বাংলার কৃষক, বাঙালির নেতা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে কি যাদু আছে, আমি জানিনা। বাংলাদেশকেও চিনতে পারছিনা, যেদিকে তাকাই উন্নয়ন আর উন্নয়নের মেলা বসেছে। তুলনামূলক পশুপালন উন্নয়ন হয় নাই, যে পশুর বর্জ্য ও মাংস বাংলাদেশের এক নম্বর রপ্তানির খ্যাত হতে পারতো,এখনো দুই নম্বরে অবস্থান করছে। বিগত সরকার গুলোর আমলে, ভারতের সাথে অবৈধ পশুর চাহিদা ছিলো ৩৫% শেখ হাসিনার সরকার ৫ থেকে ৭% এ নামিয়ে এনেছেন। তার পরেও সীমান্ত হত্যা বন্ধ করা যায় নাই। পশু পাচারে ভারতীয় সীমান্ত রহ্মির কিছু অসত কর্মকর্তাও জরিয়ে পরে, তারা এখন কারাগারে। আনন্দ বাজার পত্রিকার হিসাব অনুযায়ী ৩৯ হাজার কোটি রুপি বাংলাদেশ থেকে গরু-মহিষ পাচার করে নিয়ে যায় ভারত।আমাদের ধারনা ৬০ হাজার কোটির কম হবে না। টাকাগুলো বৈধ পথে যায় না। হুণ্ডির মাধ্যমে চট্রোগ্রাম টু মধ্যপ্রার্চ্চ সোনা হয়ে চলাচল করে। ৪০ বছর গলা ও কলম ফাটাচ্ছি ১০ হাজার কোটি টাকা ব্যায় নির্ধারণ করে, ১০ টা চর পশুপালনের আওতায় আনতে পারলে, বাংলাদেশের চাহিদা পুরণ করেও রপ্তানির দর্জা খুলে দিতে পারতাম। দুঃখজনক হলেও সত্য বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সুবর্ণ চরে একটি গরু-মহিষের খামার প্রতিষ্ঠা ছাড়া আর কোনো নজির নাই। বিহত বিহত চরঞ্চল, বনঞ্চল, পাহাড়িঞ্চল ধুধু বালুচর হয়েই আছে। উন্নত জাতের ঘাস কার জন্য ১১৬ কোটি টাকা ব্যায়ের প্রশিহ্মন। গোড়ার আগে গাড়ী, গরুর আগে বালতি কিনার গল্পের মত নয় কি ? যে ঘাস বাংলাদেশের কৃষকরা চাষাবাদ করতে জানে, সেই ঘাসই তো কাজে লাগাতে পারলামনা গরু-মহিষের অভাবে। তার উপর আমলাদের প্রশিহ্মনের ঘাস দিয়ে কি হবে ? পৃথিবী এগিয়ে চলছে,আমার দেশে পশুপালন সরকারী ও বেসরকারী, শুরু হতে হতে এই প্রশিহ্মন পুরোন হয়ে যাবে। আমাদের ইণ্ডাসটিরিয়াল রপ্তানি আমদানি নির্ভর। পশুজাত পন্য কৃষি নির্ভর।বাংলাদেশ রপ্তানির এক নম্বর স্থানটা ইচ্ছে করলেই সরকার গ্রহন করতে পারে। পারে সীমান্ত হত্যা বন্ধ করতে। নদীমাত্রী মিষ্টি পানির বাংলাদেশ আবহাওয়া পশুপালনে বিশ্বের সর্বউত্তম স্থান আমরা কাজে লাগাতে পারছি না সঠিক পরিকল্পনার অভাবে। দুঃখ কার কাছে বলবো, তার পরেও সরকারের আমলারা যাচ্ছেন ঘাসের প্রশিহ্মন নিতে।
লেখকঃ বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতির মহাসচিব ও রাজধানী মোহাম্মদপুর থানার ৩৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামলী লীগের সভাপতি জনাব রবিউল আলম।