খাস খবর বাংলাদেশ ডেস্কঃ দেশের উন্নয়ন, জনমনে স্থিতিশীল, পররাষ্ট্র নীতি বিস্তরে বাংলাদেশ অবিস্মরণীয়। শেখ হাসিনার আশ্রস্থল হারাতে চায় না বাঙালী, বিশ্বাসের সর্বোচ্চ স্থানটা শেখ হাসিনার জন্য উৎসর্গ করেছে।
ডঃ আনোয়ার হোসেন স্যারের ভাষায় গনতন্ত্র দুই চাকার সাইকেল, শেখ হাসিনা এক চাকায় চলছে। স্যার আপনি সহ আমরা সবাই জানি গনতন্ত্রের এক চাকা খালেদা জিয়া জ্বালাও পোড়াও দীর্ঘ মেয়াদ হরতাল অবরোধ, ধর্মঘটের কারনে বিনষ্ট হয়েছে। জনগণ এই দুঃশাসনকাল ভুলতে চায় বলেই শেখ হাসিনার উপর বিশ্বাস ও আস্থা রেখেছে। এখন আর ভোটের প্রয়োজন হয় না, শেখ হাসিনার নৌকা পাইলেই জয় সুনিশ্চিত এ কথা সত্য। যারা মনোনয়ন বোর্ডে ও পদপদবীর জন্য মনোনীত, তারা কি শেখ হাসিনার বিশ্বাসের মর্জাদা রহ্মা করতে পারছেন? মনোনয়নের জন্য অন্যদলের ব্যবসায়ী ও টাকাওয়ালা খুঁজেন। জনগণতো টাকাওয়ালা চায় না। চায় শেখ হাসিনার নৌকা। চোরচোট্টা বাটবাপ বাছাই করার সময় জনগণের নাই, শেখ হাসিনার উপর অগাধ বিশ্বাস ও আস্থা মুল্য নির্ধারন আপনাদের হাতে শেখ হাসিনা অর্পণ করেছে। ক্যাসিনো, মাদক, নারীকেলেংকারী ঘটনা যারা জরিয়েছে, বাছাই করলে ৯০% শতাংশ আমদানি করা নেতা, ১০% শতাংশ মজিব আদর্শকে নষ্ট করেনাই এ কথা বলতে পারবেন কী? গনতন্ত্রের এক চাকা খালেদা জিয়া নিজে বাচতে চায়, তারেক রহমান লণ্ডন বসে যা পায়। দেশ, দল ও জনগণ বিশ্বাস করেনা এমনকি শরিক দলের বিশ্বাস ও আস্থা নাই।
গনতন্ত্রের এই করুন দশার সুযোগ আওয়ামীলীগ নীতি নির্ধারনিরা কীভাবে কাজে লাগাবেন, প্রশ্নটা এখানেই। শেখ হাসিনা চিরদিন থাকবেন না, আওয়ামীলীগ থাকবেন। নেতৃত্বের অভাবে বিএনপি-জামাত, বাম। ভারতে কংগ্রেস, পাকিস্তানের পিপিপি সহ বিশ্বের বহু ঐতিহাসিক রাজনৈতিক দলের করুন দশা। বিলুপ্তির পথে মুসলিম লীগ, ভাষানীর মঞ্চ, ন্যাপ সহ অনেক দল।আপনাদের ও আপনাদের পুর্বসুরীদের কথা বিবেচনায় নিতে হবে। খালেদাজিয়ার মত নিজে বাচতে চাইলে, নিজের আখের গুছাতে চাইলে মজিব আদর্শের প্রয়োজন কী ? এখানে কারো হ্মমা নাই।
শেখ হাসিনার সাজার তালিকা নিজ দল থেকেই শুরু করা হয়েছে। অবৈধ টাকা কামাইতে পারবেন, কাইতে পারবেন না। খাইতে হবে জেলখানার খাওয়া। স্যার গনতন্ত্র এক চাকায় চলতে যারা বাদ্য করলেন, তারা কী গনতন্ত্রের গ দেখাতে পেরেছেন ? হা-না ভোট দেখলাম, ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ দেখলাম, দেখলাম সামরি্ক আইন। এক চাকার গনতন্ত্রের জন্য শেখ হাসিনাকে দায়ী করা যায় না।
১৫,২১ আগস্ট দেখার পরে গনতন্ত্রের কথা ভুলে গিয়েছিলাম স্যার। আপনাদের মহান মনের কথা গুলো পড়ার ও শুনার পরে গনতন্ত্রের প্রয়োজনিতা অনুভব করছি। গনতন্ত্র না থাকার কারনে নিজ দলে হানাহানি শিকার হচ্ছি। মতবাদ নিয়ে, ভাগবাটোয়ারা নিয়ে, নেতৃত্ব নিয়ে যেভাবে চলছে একে অপরের বিষোদগার, একদিন তার বড় মুল্য দিতে হবে। যেভাবে টাকায় মনোনয়ন, টাকার বিনিময় পদপদবী বিক্রি হয়, দলের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখা কঠিন হবে শেখ হাসিনার অবর্তমানে। স্যার আপনাদের স্বার্থহীন কথা গুলো শুনলে একাধিক নেতার ঘা জ্বালা পোড়া করে। মনে যারা ধারন করে, তাদের কিছু করার নাই। অহ্মমতার বানী নিয়ে এক চাকার গনতন্ত্রের উপর আস্থা রাখতে হচ্ছে, নিরুপায় হয়ে। অনেক দেরিতে হলেও বিএনপি-জামাত গনতন্ত্রের দুই চাকা বুজতে পেরেছে, বুজার জন্য চেষ্টা করছে।
এই বুজ ২০১৪ সালে বুঝতে পারলে বাংলার জনগণকে এক চাকার গনতন্ত্র দেখতে হতো না। আমাদের মত আওয়ামীলীগারদের গনতন্ত্রের অভাবে, দলিয় নেতাদের কাছে অবজ্ঞা অবহেলা সইতে হতো না। নিজেদের অস্তিত্ব রহ্মার জন্যই নেতা কর্মীর প্রয়োজনে মুল্যায়ন হতো। প্রয়োজন হতো ভোটের প্রয়োজনে। আমরা এখন ঘাটকা না ঘারকার মত ধারে ধারে ঘুরছি। শেখ হাসিনা ছাড়া দলের নেতা কর্মীদের জন্য আর কেহ নাই। শেখ হাসিনার চোখ মাত্র দুইটা, কত আর দেখতে পারবেন। এমপি মন্ত্রী কাওন্সিলর, চেয়ারম্যন মেম্বাররা নির্বাচনি ও আখের গুছানোর টাকা উঠানোর জন্য ব্যাস্ত। দল ও কর্মী দেখার সময় নাই। জনগণের কোনো ভাবনা নাই দেশের উন্নয়ন ও বহিবিশ্বের সম্পর্ক উন্নয়ন দেখে।
শেখ হাসিনার উপর বিশ্বাস আস্থা প্রতিফলনই এক চাকার গনতন্ত্র। একমাত্র শেখ হাসিনাই পারেন দুই চাকার গনতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে। তবে বাংলার মানুষ যে হারে জ্বালাও পোড়াও অগ্নিসংযোগ দেখেছে, বিশ্বাস করবে কাকে। গনতন্ত্র অর্থ না বুজলে, গনতন্ত্রকে লালন পালন করতে না পারলে, দুই চাকার গনতন্ত্র অর্থহীন হবে। স্যার আমাকে হ্মমা করবেন কিছু ভুল হয়ে থাকলে।
লেখকঃ বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতির মহাসচিব ও রাজধানী মোহাম্মদপুর থানার ৩৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামলী লীগের সভাপতি জনাব রবিউল আলম।