পুলিশকে বলা হয় রাজ কর্মচারী, রাজকার্যের প্রধান হাতিয়ার বলা হয় পুলিশকে। পুলিশ আমাদের নিরাপত্তার একমাত্র ভরসার স্থান। সরকারের নেয় নীতি, সফলতা ও ব্যার্থতার জন্য পুলিশের উপর নির্ভরতাই অনেকাংশে। বাকিটা প্রশাসনিক ঐক্য। সেনাবাহিনী সীমান্ত রহ্মায় আন্তর্জাতিক মতবাদের অংশ। আমরা আমাদের কষ্টারজীত অর্থ ও ভোটের মাধ্যমে সরকার নির্ধারন করি, আমাদের কষ্ট বিবেচনার জন্য। আমাদের সন্তান ও আগামী প্রজর্ম্মের জন্য একটি নিরাপদ উন্নত দেশ গড়ে তুলার জন্য। পুলিশ, র্যাব, সেনাবাহিনী, এমপি, মন্ত্রী, রাজনৈতিক নেতা ও প্রশাসনের কর্মকর্তা, শিল্পপতি যে নামেই ডাকি, অবহিত করি, প্রতিজনেই সন্তান ও আগামী প্রজর্ম্মের ভাবনা আছে, দেশকে নিয়ে ভাবেন।ভাবনার বিষয়টা হয়তো আলাদা, কেউ ভাবেন আমার সু-নামের মাধ্যমে আমার সন্তানের আগামী ভবিষ্যৎ, কেউ অর্থের মাঝে সন্তানের ভবিষ্যৎ খুঁজেন। নিজের সন্তানে ভবিষ্যৎ খুঁজতে, দেশের ভবিষ্যৎ বিনষ্ট করতে কতনা অন্যায় অবিচারে জরিয়ে পরেছেন, আমরা যাদেকে বিশ্বাস করে দায়ীত্ব অর্পণ করেছি। মাদক, ক্যাসিনো, বাশ, বালিশ, টিপার্টি, বিদেশ ভ্রমন থেকে মশা নির্মূলেও দুর্নীতি হচ্ছে। ক্রসফায়ারে পুলিশের দুর্নীতি এখন সামনে। ওসি প্রদীব ও হাবিবুর রহমান সহ অনেকেই আলোচনায় সমালোচনায়। ক্রসফায়ারকে সমালোচনার অংশ করে তুলেছেন। এই ক্রসফায়ারে দেশ জুরে জনগণ হাত তালি দিয়েছিলো বরগুনার হত্যার জন্য। জনগণের নিরাপত্তার জন্য সরকারকে কত না কি ভাবতে হয়। সস্তা জনপ্রিয়তার জন্য খালেদা জিয়া ক্রসফায়ার আবিস্কার করেছিল। জনগণের নিরাপত্তার কথা বলে রাজনৈতিক হত্যা কাণ্ডের হাতিয়ার করা হয়েছিল ক্রসফায়ারকে। আমি ক্রসফায়ারকে কখনো সমর্থন করিনি, মজিব আদর্শে বিনা বিচারে হত্যাকে সমর্থন করতে পারেনা।ওসি প্রদীব ও হাবিবুর রহমানের ক্রসফায়ারের গল্প যেভাবে মিডিয়ায় আলোচিত হচ্ছে, শাস্তির অংশ বান্দরবান পাঠায়া দিমু বিজ্ঞাপন, আজ পাওয়ার জন্য প্রশাসনে লাইন দিয়ে অধির আগ্রহে অপেহ্মায় দিন গুনছে, কখন বান্দরবনের টিকিট পাওয়া যাবে। মাদক ও দুর্নীতি ক্রসফায়ারে নির্মূল করা যাবেনা, সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে প্রবেশ করেছে। যাদের মাধ্যমে আমরা মাদক ও দুর্নীতি নির্মূল করতে চাই, তাদেরকে মাদক ও দুর্নীতি মুক্ত করতে হবে। বেনরজি আহম্মেদ, ওয়াহেদুল ইসলামের মত অফিসার থাকতে, র্যারের অনেক চৌকুস অফিসার আছে। মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা, লড়াই সংগ্রাম অর্থের বিনিমায় হয় নাই। বাঙালীর মন বলে কথা, একবার জেগে উঠলে, থামায়কে। জাগিয়ে তুলার মানুষের অভাব আজ পরিলহ্মিত হচ্ছে জাতির জনককে হারিয়ে। আমরা বুজতে ও বুজাতে পারছিনা, অর্থ দিয়ে আমাদের সন্তানদের আগামী ভবিষ্যৎ গড়তে পারবোনা। ভবিষ্যৎ গড়তে রাষ্ট্রকে গড়ে তুলতে হবে। শেখ হাসিনা বুঝতে পেরেছেন বলেই জয়কে অর্থে নয়, শিহ্মার মাধ্যমে গড়ে তুলেছেন, জাতিকে গড়ে তুলার পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে চলেছেন। দুর্নীতিবাজরা একটু লহ্ম করুন আপনাদের সামাজিক অবস্থান, আপনাদের অবৈধ টাকায়, আপনাদের সন্তান, স্বজন ও আপনাকে কি দিতে পেরেছে, কি দিতে পারবে ? মৃত্যু যদি অমর না হয়, তবে এ জীবনে মুল্য কি? জাতির জনক সহ অমরত্ব অর্জন যদি টাকা দিয়ে হতো। তবে টাকা দিয়ে জাতির জনকের পদপদবী তারেক জিয়া কিনে নিতে পারতো। টাকায় লণ্ডন ইউরোপের জীবন যাপন করা যায়, অমরত্ব হওয়া যায় না, একথা দুর্নীতিবাজদেরকে বুজতে হবে, বুজাতে হবে মজিব জন্মশতবার্ষিকীতে।
লেখকঃ বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতির মহাসচিব ও রাজধানী মোহাম্মদপুর থানার ৩৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামলী লীগের সভাপতি জনাব রবিউল আলম।