দেশের অনেক জেলায়ই বর্তমানে কায়েল ফার্ম গড়ে উঠেছে। কোয়েল একটি লাভজনক পোল্ট্রি। কোয়েল ছোট আকারের পোষা পাখি। পোল্ট্রির এটি একটি প্রজাতি। হাঁস-মুররি পালনের মতো ব্যাপক পরিচিত না হলেও কোয়েল পালন বর্তমানে দেশে যথেষ্ট জনপ্রিয়তা পেয়েছে।
কম মূল্যে, কম জায়গায়, কম খাদ্যে কোয়েল পালন করা যায়। খরচ কম হওয়ায় যে কেউ কম পুঁজিতে ছোটখাটো খামার দিয়ে ব্যবসা শুরু করতে পারেন। কোয়েল আকৃতিতে ছোট বলে সহজেই আবদ্ধ অবস্থায় ও কম জায়গায় বেশি সংখ্যক পালন করা যায়।
৫ সপ্তাহের মধ্যে (জাপানি কোয়েল) এবং ৮ সপ্তাহের মধ্যে (ববহোয়াইট কোয়েল) পূর্ণতা লাভ করে। পূর্ণতা পেলেই মাংসের জন্য ব্রয়লার কোয়েল বাজারজাত করার জন্য উপযুক্ত হয়। ৬-৭ সপ্তাহ (জাপানি কোয়েল) এবং ৮-১০ সপ্তাহের মধ্যে (ববহোয়াইট কোয়েল) ডিম পাড়া শুরু করে।
প্রতিটি জাপানি ও ববহোয়াইট কোয়েল বছরে যথাক্রমে ২০৫-৩০০ ও ১৫০-২০০টি ডিম দিয়ে থাকে। ১৭-১৮ দিনের মধ্যে কোয়েলের ডিম ফুটে বাচ্চা বের হয়। কোয়েলের মাংস ও ডিম অত্যন্ত সুস্বাদু এবং গুণগতভাবে উৎকৃষ্ট। মুরগির তুলনায় কোয়েলের দেহের মাংসের ওজন আনুপাতিকহারে বেশি হয়। কোয়েলের বেঁচে থাকার হার মুরগির তুলনায় বেশি। কোয়েলের রোগ খুব কম এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও অন্য পোল্ট্রির চেয়ে বেশি।
কোয়েল পালনে খাবার বাবদ খরচ অনেক কম হয়। কোয়েলের দৈহিক ওজনের তুলনায় ডিমের শতকরা ওজন বেশি। ডিমে কোলেস্টেরল কম এবং প্রোটিনের ভাগ বেশি। তাই ডিমের ব্যাপক চাহিদা। তাই কম পুঁজিতে সারা বছর কোয়েল পালন করুন। কোয়েল পালন করে স্বনির্ভর কর্মসংস্থান তৈরির মাধ্যমে বেকার সমস্যা দূর করুন।