মোঃ ইব্রাহিম হোসেনঃ আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলার ১নং সয়না রঘুনাথপুর ইউনিয়নে সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ দলীয় নৌকার মাঝি হলেন, বিএনপির-জামাত পেট্রোল বোমা ও নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে রাজপথের প্রতিবাদী সৈনিক, গরীব-দুঃখী-মেহনতি মানুষের অকৃত্রিম বন্ধু, চার দলীয় জোট সরকারের দুঃশাসনের বিরুদ্ধে রাজপথের লড়াকু সৈনিক, সৎ স্বচ্ছ রাজনীতির প্রতীক, অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী কন্ঠস্বর, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও দেশরত্ন শেখ হাসিনার আনুগত্যের নির্ভিক নেতা বিশিষ্ট সমাজসেবক ও রাজনীতিবিদ এইচ এম রেজাউল করিম খোকন।
তিনি খাস খবর বাংলাদেশ পত্রিকার প্রতিনিধিকে জানিয়েছেন ছাত্র জীবন থেকে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাথে জড়িত ছিলাম ২০০৪/২০০৫ সালে ১নং সয়না রঘুনাথপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগ এর সভাপতি নির্বাচিত হন, ও উপজেলা ছাত্রলীগের ত্রাণ ও পূর্নবাসন সম্পাদক ছিলেন, ২০১০ সালে কাউখালী উপজেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ এর সাংগঠনিক সম্পাদক, নির্বাচিত হন, ২০১৫ সালে পিরোজপুর জেলা কৃষক লীগ এর যুগ্ম আহবায়ক, নির্বাচিত হন ও পরে পিরোজপুর জেলা কৃষক লীগের সদস্য সচিব, হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এছাড়াও সর্বশেষ ২০১৯ সালে কাউখালী উপজেলা আওয়ামী লীগ এর আগে সম্মেলনে তিনি ১নং সয়না রঘুনাথপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ এর সাধারণ সম্পাদক, মনোনীত হন।
এইচ এম রেজাউল করিম খোকন বলেন, আমি গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। স্মরণ করছি জাতীয় চার নেতা – সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দিন আহমদ, ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী এবং এএইচএম কামারুজ্জামানকে। শ্রদ্ধা জানাচ্ছি ৩০-লাখ শহিদ এবং ২-লাখ নির্যাতিত মা-বোনের প্রতি। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি আমার সশ্রদ্ধ সালাম।
আমি গভীর বেদনার সাথে স্মরণ করছি ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট ঘাতকদের হাতে নিহত শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব, মুক্তিযোদ্ধা ক্যাপ্টেন শেখ কামাল, মুক্তিযোদ্ধা লে. শেখ জামাল এবং ১০ বছরের শেখ রাসেল- কামাল ও জামালের নবপরিণীতা বধু সুলতানা কামাল ও রোজী জামাল, মুক্তিযোদ্ধা শেখ আবু নাসের, মুক্তিযোদ্ধা যুবনেতা শেখ ফজলুল হক মণি, মুক্তিযোদ্ধা কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রব সেরনিয়াবাত, ব্রিগেডিয়ার জামিল এবং পুলিশের এএসআই সিদ্দিকুর রহমান-সহ সেই রাতের সকল শহিদকে।
এ উপমহাদেশের অন্যতম প্রাচীন রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী, প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক শামসুল হক ও গণতন্ত্রের মানসপুত্র হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাচ্ছি।
স্মরণ করছি ২০০৪ সালের ২১-এ আগস্টের গ্রেনেড হামলায় নিহত আওয়ামী লীগ নেত্রী আইভী রহমানসহ ২২ নেতা-কর্মীকে। স্মরণ করছি ২০০১ সালের পর নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এ.এম.এস কিবরিয়া, আওয়ামী লীগ নেতা আহসানউল্লাহ মাস্টার, মঞ্জুরুল ইমাম, মমতাজ উদ্দিনসহ ২১ হাজার নেতাকর্মীকে।
২০১৩ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত বিএনপি-জামাত জোটের অগ্নি সন্ত্রাস এবং পেট্রোল বোমা হামলায় যাঁরা নিহত হয়েছেন আমি তাদের স্মরণ করছি। আহত ও স্বজনহারা পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি।
তিনি আরোও বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর আদর্শ বুকে লালন করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সোনার বাংলা বিনির্মানে আগামীর রূপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে কাজ করে যাবো।
এইচ এম রেজাউল করিম খোকন বলেন, সুদীর্ঘ রাজনৈতিক পরিক্রমায় জনসাধারণের সুখ দুঃখে পাশে ছিলাম, তাদের জন্য প্রত্যক্ষ কাজ করতে স্হানীয় নির্বাচন খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আশাকরি সকল বিষয় বিবেচনায় নিয়ে আমাকে নৌকা মার্কায় ভোট দিলে জনগণের সাংবিধানিক অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে কাজ করবো, ইনশাআল্লাহ।