জনাব রবিউল আলমঃ মাস্ক করোনার প্রতিরোধের একমাত্র প্রতিরোধক বলা হয়। অনেক বিশেষজ্ঞকে বলতে শুনেছি আইসোলেশন, হোমকয়েন্টাইন ইত্যাদি ইত্যাদি শব্দ ব্যবহার করে করোনাকে কঠিন করা হয়েছিল। সহজ করে বলতে হবে, মাস্ক বাধ্যতা মুলক করতে হবে। ইতিমধ্যে মাস্ক ব্যবহারের জন্য অফিস আদালত, ব্যাংক বীমা জনসমাগমে জেল জরিমানার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ রাখা হয়েছে করোনার দ্বিতীয় ধাপকে পার করার জন্য, কেনো আমার বোধগম্য নয়। প্রশ্ন উঠেছে মসজিদ মাদ্রাসায় বিধিনিষেধ নাই কেনো? ইতিমধ্যে সিনেমা হল খুলে দেওয়া হয়েছে, মানুষের মনে করোনার আতঙ্ক নাই। মৃত্যুর সংখ্যা কমে আসছে।বিক্রমপুরে গত জুমার নামাজ পড়তে হয়েছে, মসজিদে আমি আর একজন মাস্ক পরিহিত। স্বাস্থ্য সচেতনতার এই করুন দশা দেখে মনে হচ্ছে মানুষের চাইতে করোনাই আতঙ্কে আছে, কখন এ দেশ ছেড়ে পালানো যায়।
ঢাকা থেকে দেড় ঘন্টা দূরত্ব বিক্রমপুরের সচেতনতা যদি এ অবস্থা হয়, তবে বাংলাদেশের অজ পল্লী অঞ্চলের কি অবস্থা, আমি আর ভাবতে পারছিনা। সব কিছুই স্বাভাবিক ভাবে চলছে, স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যাল নিয়ে তালবাহানা কেনো? আমার নাতির সাড়ে চার বছর মাত্র স্কুল যাওয়া শুরু করেছিলো, করোনার প্রতিবন্ধকতা মেনেও নিয়েছিলাম। পাশে বাড়ী ছাত্র মাদ্রাসায় যাওয়াতে নাতির অনেক প্রশ্নের উত্তর দিতে হয়।
ওয়ার্ড আঃলীগের সভাপতি হওয়ার জন্য অনেক স্কুল শিহ্মকের করুন দশা দেখতে হয়। কিণ্ডার্গাডেন স্কুল গুলোর চেয়ার টেবিল বিক্রি হচ্ছে, বাড়ী ভাড়া বিদ্যুৎ বিল দিতে না পারার কারনে অনেক শিহ্মাপ্রতিষ্ঠান বিলুপ্ত হচ্ছে। অনেক শিহ্মক মানবেত জীবন যাপন ত্যাগ করার জন্য যেকোনো পেশাকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছে। এমনকি অপরাধ জগতকেও নিরুৎসাহিত করছেন না, বাচতে হবে বাচাতে হবে সংসারকে। সরকার মানবিক সহায়তার জন্য ইতিমধ্যে চেয়ারম্যান মেম্বর কাওন্সিলরদেরকে ব্যবহার করেছেন।
প্রধান মন্ত্রীর দপ্তর থেকে মোবাইলের মাধ্যমে নগদ সহায়তা করেছেন, দুর্নীতি বন্ধ করতে পারেন নাই। কি করে বলবো প্রাথমিক শিহ্মকদের করুন দশা বিবেচনা করে শিহ্মাপ্রতিষ্ঠান খুলেদিন, না হয় কিছুটা মানবিক সহায়তা দিন, শিহ্মকদেরকে বাঁচতে হবে।
মাননীয় প্রধান মন্ত্রী আপনার উদার মনে বাংলার সব শ্রেনীর মানুষের অবস্থান। মাস্ক অতিসাধারণ বিষয়, ইচ্ছে করলে পুরোনো গেঞ্জি থেকেও আমরা ব্যবহার করতে পারি, চাই শুধু সচেতনতার, চাই ইচ্ছে শক্তি। মিডিয়ার ভুমিকা, সরকারের এত আন্তরিকতা, প্রচার প্রচারোনা বাংলার মানুষকে করোনার কি বার্তা দিতে পারলো? নাকি করোনাকেই বাংলার মানুষ বার্তা দিয়ে দিলো?
শেখ হাসিনা থাকতে বাংলার মাটিতে করোনার কোনো অবস্থান বাঙালি গ্রহন করবেনা। যদি তাই হয়, তবে স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ রেখে আর কোনো লাভ হবে না। মাস্ককে বাধ্যতামুলক করুন।
গ্রাম গঞ্জ শহর, উপশহর সবখানে প্রশাসনিক, রাজনৈতিক ও সামাজিক ঐক্য চাই মাস্ক ব্যবহারে, প্রতিজন প্রতিঘরকে মাস্কের আওতায় আনতে হবে যেকোনো মুল্যে। সব চলছে, চলতে দিন স্বাভাবিগ গতিতে ।
লেখকঃ বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতির মহাসচিব ও রাজধানী মোহাম্মদপুর থানার ৩৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামলী লীগের সভাপতি জনাব রবিউল আলম।