রবিউল আলমঃ
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মানবতার সেবাকে অবিস্মরণীয় করার জন্য এশিয়ার বিহত রায়ের বাজার কবরস্থান নির্মিত হয়েছে। শহিদ বুদ্ধিজীবীদের বদ্ধভুমির সুন্দয্য রক্ষায় কবরস্থানের ভুমিকা অপরিহার্য। মানবসেবার, জীবনের শেষ ঠিকানার এই উজ্জ্বল উদাহরন বাংলাদেশের ইতিহাসে কোন সরকার সৃষ্টি করতে পারেন নাই। মেয়র হানিফ আজিমপুর কবরস্থান কে মানুষের আগমন ও কবর জেয়ারতের উপযুক্ত করার ইতিহাস আছে এবং গরিব দুঃখী মানুষের জন্য বিনে পয়সায় কবরের ব্যবস্থা ও করা হয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে নামমাত্র মুল্যে কবর দেওয়া যায়। বাশ ৩০ টা ১৭ দরে ৫১০ টাকা, চাটাই ১২ টা ১৪ টাকা দরে ১৬৮ টাকা, কবর খোদাই ৩০ টাকা ৭০৮ টাকায় সব আয়োজন সম্পর্ন। রিসিট দেওয়া হয়। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের কবরস্থান গুলো যথারিতি তদারক করা হয়। উত্তর সিটি করপোরেশনের অধিনে রায়ের বাজার কবরস্থানের চলছে হরিলুট, লাশকে জিম্মি করে প্রথমেই কবরের জন্য ৫০০ টাকা যার রিসিট দেওয়া হয়, বাঁশের জন্য ইচ্ছে মতো, সাইনবোর্ড লেখা,কবর বাঁধাই, ঘস লাগানো, পানি দেওয়া ইত্যাদি ইত্যাদি নামের টাকা আদায়ের নতুন নতুন কৌশল নির্ধারন করে দিয়েছে এবং নিয়েছে দায়ীত্বে থাকারা। মাননীয় কাউন্সিলর একটি টিভি সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, বিষয়টি আমি দেখবো। চার থেকে পাঁচ হাজার টাকা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় লাশ দু’ঘন্টা পরেছিলো।সরজমিন তদন্ত করতে গেলে অনেকেই মুখ খোলেন নাই, লাশে কাছেও কাউকে পাওয়া যায় নাই। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যাক্তি বলেন আপনার এখানে কারো কাছে কিছু যান্তে পারবেন না। কাউন্সিলরের ভাই সব কিছুই নিয়ন্ত্রণ করে। স্থানীয় এমপি আলহাজ্ব মোঃ সাদেক খান বলেন বিষয়টি তদন্ত হওয়ার প্রয়োজন। মাননীয় মেয়র আতিকুল ইসলাম অক্লান্ত পরিশ্রমে ঢাকাকে যানজট ও জলজট থেকে মুক্ত করার লক্ষে প্রতিদিন কোনো না কোনো এলাকায় অবৈধ দখলদার উচ্ছেদের কর্মসুচিতে অংশগ্রহণ করছেন। লাউতলা খালের অর্ধেকে কাজ চলছে, বাকী অর্ধেক জরিপ ও দেখা যাচ্ছে না। ফুটপাত মুক্ত করার পরে যেই লাউ সেই কদু। সেই আগের মতোই ফুটপাত হয়ে যায়। মাঝখানে কাউন্সিলর অফিস ও পুলিশ নাকি ম্যানেজ করতে হয়। ইতিমধ্যে অনেক কাউন্সিলরের অবৈধ স্থাপনা গুরিয়ে দেওয়া হয়েছে,থামানো ও কমানো যাচ্ছে না অবৈধ দখল, মেয়র বেচারা অনেকটা অসহায়। টাকা কামানোর জন্য যদি জনসেবক হয়, তবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এই দেশাকে নিয়ে আর কতটা শ্রম দিবেন ? কাকে বিশ্বাস করবেন ? অনেক কাউন্সিলর বিএনপি-জামাত থেকে আগমন ঘটেছে। তারা দলের প্রতি আনুগত্য নয়। শেখ হাসিনার ভালো কাজের সহযোগী ও নয়। ফেসবুকে সেই কাউন্সিলর’রা বিএনপি-জামাতের নেতাদের সাথে গোপন মিটিং এর ছবিও দেখা যায়। আঃলীগার নিধনে ষড়যন্ত্রের অনেক প্রমানও পাওয়া যাচ্ছে। নগর নেতার শুন্তে চান না। বলার মতো কোনো বর্ধীত সভা না হওয়াতে ফেসবুকের আশ্রয় নিতে হয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, মেয়র ও আঃলীগ নেতাদের কাছে আকুল আবেদন। নির্বাচনের আগে জঙ্গাল মুক্ত করুন।
লেখকঃ বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতির মহাসচিব ও রাজধানী মোহাম্মদপুর থানার ৩৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি জনাব রবিউল আলম।