মোঃ ইব্রাহিম হোসেনঃ বেসরকারী ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত ইস্পাহানী ইসলামিয়া আই ইনস্টিটিউট এন্ড হসপিটাল ফার্মগেট ঢাকা। এখানে ঔষুধ কোম্পানীদের কাছে জিম্মি চিকিৎসা ব্যবস্থা। হাসপাতালের সামনে ঔষধ কোম্পানির রিপ্রেজেন্টেটিভদের হাতে নাজেহাল হতে হচ্ছে সাধারণ রোগীদের। লম্বা সিরিয়াল শেষে যখন রোগীরা ডাক্তার দেখিয়ে বের হয় তখনই প্রেসক্রিপশন নিয়ে টানাটানি শুরু করেন বিভিন্ন ঔষধ কোম্পানির প্রতিনিধিরা। তাদের কোম্পানির ঔষধ লিখেছে কিনা এজন্য ব্যস্ত হয়ে পড়েন প্রেসক্রিপশনের ছবি তোলায়। আর এতে বাদ যায় না মূমূর্ষ রোগীরাও।
রিপ্রেজেন্টেটিভরা তাদের নিজেদের অবস্থান কোম্পানীর কাছে তুলে ধরতে রোগীর ব্যবস্থাপত্র নিয়ে মোবাইলে ছবি তুলে নিচ্ছেন। এতে করে রোগী ও তার স্বজনরা অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। রোগীদের প্রেসক্রিপশন নিয়ে তাদের কোম্পানির ঔষুধ লেখা আছে কি না তা দেখতে রোগীদের ওপর প্রায় হুমড়ি খেয়ে পড়ছেন তারা। মনে হচ্ছে প্রেসক্রিপশনের ছবি না নিতে পারলে চাকুরী থাকবে না।
ঔষুধ কোম্পানীগুলোর মধ্যে মার্কেটিং প্রমোশনের নামে প্রতিদিন চলছে অসুস্থ বাণিজ্যের প্রতিযোগিতা। ছোট বড় প্রায় সব কোম্পানী নিজ প্রতিষ্ঠানের ঔষুধ বিক্রির পরিমাণ বৃদ্ধি করতে মার্কেটিং প্রমোশনের নামে ডাক্তারদের পিছনে স্থানীয় প্রতিনিধি লাগিয়ে রেখেছেন, রোগীর ব্যবস্থাপত্রে কোন কোম্পানী ঔষধ লেখেছেন ডাক্তার। ব্যবস্থাপত্র দেখানোকে কেন্দ্র করে অনেকরোগীর স্বজন ঔষধ প্রতিনিধিদের হাতে লাঞ্চিত হওয়ার ঘটনায়ও ঘটে।
ইস্পাহানী ইসলামিয়া আই ইনস্টিটিউট এন্ড হসপিটালে চিকিৎসা নিতে আসা এক রোগী বলেন, আমি সকাল ৮ ঘটিকার সময় হাসপাতালে আইছি। দুই ঘন্টা সিরিয়ালে দাড়িয়ে থাকার পর ডাক্তার দেখাইছি। ডাক্তার দেখিয়ে বের হতেই প্রেসক্রিপশনের ছবি নিতে আমাকে ঘিরে ধরেছে। তিনি বলেন তাদের কোম্পানির ঔষধ লিখেছে কিনা এজন্য এক এক করে সবাই আমার প্রেসক্রিপশনের ছবি নিয়েছেন। আমি অসুস্থ তবুও এরা এক রকম জোড় করে আমার কাছ থেকে প্রেসক্রিপশন নিছে। এতে আমি খুব বিব্রত বোধ করছি।