মোঃ ইব্রাহিম হোসেনঃ এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের জন্য সংক্ষিপ্ত সিলেবাস প্রকাশ করা হয়েছে। জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)।সিলেবাসটি শিক্ষা বোর্ডগুলোর কাছে হস্তান্তর করেছে বৃহস্পতিবার রাতে। শিক্ষা বোর্ডগুলো গভীরা রাতে এ সিলেবাস প্রকাশ করেছে।
বৃহস্পতিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় এনসিটিবিতে আয়োজিত এক সভায় সিলেবাস আন্তঃশিক্ষাবোর্ড সমন্বয় সাব-কমিটির কাছে জমা দেয়া হয়। সভায় শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর, ঢাকা বোর্ডের কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করেন। সিলেবাসটি এনসিটিবির পক্ষ থেকে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব-কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক নেহল আহমেদের কাছে জমা দেয়া হয়। সববোর্ডের কাছে সেগুলো পাঠানো হয়। পরে,রাতে তা প্রকাশ করা হয়।
জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের একজন সদস্য খাস খবর বাংলাদেশ কে বলেন, যেটুকু না পড়লে না হয় শুধু সেটুকু অধ্যায় দিয়েই নতুন করে বিষয়ভিত্তিক সিলেবাস প্রণয়ন করা হয়েছে। ছোট হওয়া সিলেবাসে সব বিষয়েই প্রশ্নের বিভাজন ও নম্বর কাঠামো ঠিকই থাকবে। অর্থাৎ যে সিলেবাস প্রণয়ন করা হয়েছে সেখান থেকেই প্রশ্নপত্র প্রণয়ন করা হবে। তবে ইংরেজি বিষয়ে প্রশ্নের কাঠামোতে কিছু পরিবর্তন হয়েছে। এরমধ্যে ইংরেজির গ্রামার অংশের ন্যারেশন, বাক্যগঠনসহ বেশ কিছু অংশ বাদ। পাশাপাশি ইংরেজিতে রচনাও (এসে রাইটিং) লেখতে হবে না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এনসিটিবির ঊর্ধ্বতন আরেকজন কর্মকর্তা বলেছেন, নামকাওয়াস্তে সিলেবাসটি প্রণয়ন করা হয়েছে। কারণ পরীক্ষাদুটোতে কোনো অটোপাস দেয়া হবে না। ছেলেমেয়েদেরকে পরীক্ষায় বসতেই হবে। পরীক্ষাও হবে নামকাওয়াস্তে। এজন্য প্রতিটি বিষয়ে ৩০ থেকে ৩৫ শতাংশ অধ্যায় নির্বাচন করে সিলেবাস প্রণয়ন করা হয়েছে।
এসএসসির সিলেবাস দেখতে এখানে ক্লিক করুন
এইচএসসির সিলেবাস দেখতে এখানে ক্লিক করুন
এর আগে, গত ২৫ জানুয়ারি এসএসসির সংক্ষিপ্ত সিলেবাস প্রকাশ করেছিল ঢাকা শিক্ষা বোর্ড। যা নিয়ে শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে আপত্তি ওঠে। প্রকাশিত সংক্ষিপ্ত সিলেবাস তিন বা চার মাসের মধ্যে শেষ করা সম্ভব নয় বলে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা জানান। তারপর সিলেবাসটি আরও সংক্ষিপ্ত করার উদ্যোগ নেয়া হয়। গত ২৭ জানুয়ারি সিলেবাসটি আরও সংক্ষিপ্ত করার দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল এনসিটিবিকে।