প্রানি সম্পদ মন্ত্রনালয় আধুনিকতার ছুয়া লেগেছে। আগের মত গরু-মহিষ মরে পড়ে থাকতে দেখা যায় না। একঝাক তরুন পশু চিকিৎসকের আন্তরিকতায়। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্ন বিলাশি পরিকল্পনা বলতে পারেন। বাংলাদেশ একদিন সফল হবে, দেশের মিষ্টি পানি ও আবহাওয়াকে পশুপালনে কাজে লাগাতে পারলে। দুধ ও মাংসের চাহিদার লক্ষ মাত্র অর্জন করেও রপ্তানীর হাত ছানী দিচ্ছে বিশ্ব, বাংলাদেশকে। প্রানি সম্পদ মন্ত্রনালয়ের বাজেট বাড়াতে হবে। একটি চর কে গরু-মহিষের উন্নত জাতের বিছন বিস্তারের জন্য বেছে নিতে হবে। হরিয়ানা, ভুটান, নেপাল, অস্টেলিয়া, নিউজিল্যান্ডের মত দেশের কৃত্রিম বাছুর জন্মদান পদ্ধতির মাধ্যমে বাংলাদেশকে আধুনিক পশুপালনে এগিয়ে নিতে হব, সরকারী উদ্যোগে। দেশকে যারা ভালোবাসেন, তাদের দায়ীত্ব জাকাত ও ব্যাক্তি সহায়তার টাকা দিয়ে শেখ হাসিনার আশ্রয়ন প্রকল্পের বাসিন্দাদের জন্য দুইটি করে গরু-মহিষ, ছাগলে বাচ্চা লালন-পালনের জন্য উপহার দিয়ে পশুপালনে উজ্জীবিত করা। বড় ছোট শিল্পের মালিকদের কে কৃষিঋণ ও চরঞ্চল বন্দবস্ত এবং উন্নত জাতের বিছন দিয়ে পশুপালনে উৎসাহিত করা। দুধ ও মাংসের বাজার জাতে প্রানি সম্পদ মন্ত্রনালয়ের ভুমিকা রাখতে হবে। প্রর্যায়ক্রমে বিদেশী দুধ ও মাংস আমদানী বন্দ করতে হবে। উন্নত দেশ গড়তে, উন্নত পশুপালন ও উন্নত চিকিৎসা ব্যবস্থাই পারবে প্রধান মন্ত্রীর স্বপ্ন পুরনে। আকাশ ছুয়া অট্রালিকার চেয়ে কৃষি দেশের স্থায়ী উন্নয়নের চাবিকাঠি। লক্ষ কোটি টাকার মাংস ও দুধ আমদানি প্রতিরোধ করতে চাইলে। বিশ থেকে ত্রিরিশ হাজার কোটি টাকার মাধ্যমে দশ থেকে পনেরো টা চরকে আমরা পশুপালনের আওতায় আনতে পারি। ছোট্ট একটা পদ্মা নদীর ইলিশ মাছ পরিকল্পিত রক্ষণাবেক্ষণের জন্য বিশ্বকে খাওয়াতে পারছি। পরিকল্পিত পশুপালনের মাধ্যমে বিশ্বকে মাংস খাওয়াতে পারবো, হাড় দিয়ে জীবন রক্ষাকারী ঔষধ, চামড়া দিয়ে বিশ্বকে সাজিয়ে দিবো। লক্ষ কোটি টাকার বৈদেশিক মুদ্রা বাচিয়ে, লক্ষ কোটি টাকার বৈদেশিক মুদ্রা দেশকে উপহার দিবো, সেদিন বেশী দুরে নয়। চাই সরকার, মিডিয়ার সহায়তা। প্রানি সম্পদ কর্মকর্তাদের আন্তরিকতা। প্রতিটি মানুষের মনে ইচ্ছে কে জাগিয়ে তোলা।
লেখকঃ বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতির মহাসচিব ও রাজধানী মোহাম্মদপুর থানার ৩৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি জনাব রবিউল আলম।