জনাব রবিউল আলমঃ আমি একজন অন্দ্র মজিব ভ্যক্ত পাগল মানুষ। আওয়ামীলীগ বিরোধী কোন কথা কেউ বললে, লিখলে, কোন কর্মসুচি দিলে নিজেকে ঘর বন্দী করতে পারি না। কেনো বিরোধিতা করলেন তার কারন নিনয় করার স্বহ্মতা আমার নাই। মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধের পহ্মের অনেকেই আছে আওয়ামীলীগ বিরোধী কথা বার্তা বলেন, পাশাপাশি সমাজ ও দেশ নিয়ে ভাবেন। মিজানুর রহমান খান ও ডাক্তার জাফরুল্লাহ চৌধুরীরা অন্যতম। আমি তাদেরকে মৌলবাদ সমর্থন করে কখনো কোন কথা বলতে ও লেখতে শুনিনি, দেখিওনি। এমনকি বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নিয়ে তাদেরকে রাজনীতি করতে হয়নি। মানুষের মুত্যু দুঃখজনক মিজানুর রহমান খানের মৃত্যু কোন আলাদা বিষয় নয়, আলাদা করে ভাবতে হচ্ছে আমরা ইচ্ছে করলেই একজন সাংবাদিক মিজানুর রহমান খান আবিস্কার করতে পারবো না। একজন মানব সেবক মুক্তিযোদ্ধা ডাক্তার জাফরুল্লাহ চৌধুরী আবিস্কার করতে পারবো না, কখনো আমি হতেও পারবো না। রাজনৈতিক দ্বি মতের জন্য জাফরুল্লাহ চৌধুরীর অপমান অপদস্ত মেনে নিতে ও হাসী দিতে পারছিনা। মিজানুর রহমান খানের লাশের পাশে সহানুভূতির জন্য হাজির হওয়া জাফরুল্লাহ চৌধুরীকে তেরে আসা মিজানুর রহমান খানের পরিবার থেকে অভিযোগকে আমি স্বাভাবিক মনে করলেও মিডিয়ার ফলাও করে প্রচারকে আমি স্বাভাবিক মনে করতে পারছি না, অসুস্থ রাজনীতির বহিঃপ্রকাশ মনে করছি। জাফরুল্লাহ চৌধুরীর জনস্বাস্থ্য এদেশের গণমানুষের কাছে অনেক জনপ্রিয়, গরিব মানুষের কিটনী রোগীদের জন্য বিকল্প নাই। মানুষকে নিয়ে অনেক মানবিক, ব্যবসায়ীক চিন্তা-চেতনার বিষয় নিয়েই জাফরুল্লাহ চৌধুরীর জীবন অতিবাহিত হলেও মৃত্যুর কারনে চৌধুরীকে দায়ী করা কতটুকু শোভনীয় ? মিজানুর রহমান খানের মৃত্যুত্বে আমরা শোকাহত, একজন প্রতিদন্দী লেখককে হারিয়ে দুঃখিত, শুন্যস্থান পূরণে অনেক সময় লাগবে। তাই বলে সকল প্রতিপহ্ম লেখক হারিয়ে গেলে এদেশে মতপ্রার্থক্য আসবে কোত্থেকে ? আমাদেরকে সঠিক রাজনীতির পথ দেখাবে কে ? জাতির জনক: মতের জন্য একমাত্র বিরোধী মতের ঘোষণা দিয়েছিলেন, খুঁজে নিয়েছিলেন বাবু সুরুঞ্জিত সেন গুপ্তকে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে খুজতে হয় নাই। জাফরুল্লাহ চৌধুরীরা,প্রথম আলোকে আমি আশির্বাদ মনে করি, মিজানুর রহমান খান ছিলেন বাহক। সরকারের পহ্মে লেখার জন্য আমার মতো অযোগ্য লেখক আছে। সরকার বিরোধী লেখার জন্য, বলার জন্য অনেক যোগ্যতার প্রয়োজন হয়। বুকের পাটার প্রয়োজন হয়। মিজানের হারিয়ে যাওয়ার সাথে একটি বুকের পাটাও হারিয়ে গেলো আমার মনে হয়।
লেখকঃ বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতির মহাসচিব ও রাজধানী মোহাম্মদপুর থানার ৩৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামলী লীগের সভাপতি জনাব রবিউল আলম।