উত্তাল মার্চের গনহত্যার স্বীকৃতি ও পাকিস্তান বাহিনীর বিচার
Reporter Name
Update Time :
Wednesday, March 22, 2023
63 Time View
পাকিস্তান প্রতিষ্ঠায় ভাষার বৈষম্য,বাঙালি জাতির মুক্তি সময়ের দাবী হয়ে উঠে। বর্বর পাকিস্তানীদের হীনমন্যতা মানুষের বেধাবেত শ্রেনী সংগ্রামকে তরান্বিত করে। ভাসানী সহ অনেক নেতা বাঙালির মুক্তি ও স্বাধীনতার স্বপ্ন দেখেছেন, আপোষকামিতা ও ভীরুতার জন্য লক্ষ্য অর্জনে বার বার বাঁধা হয়েছে। ৭০ এর নির্বাচনে মতপার্থক্য ছিলো। শত বাধা উপেক্ষা করে বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার পুর্বশর্ত জনগণের রায়ের জন্য পাকিস্তানি স্বৈরশাসকের বিরুদ্ধে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন। বাংলার মানুষদের একক সমর্থনের নৌকার বিজয়, ছয় দফাকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। গনমানুষের হৃদয় জয় করতে পারলে রাজনীতির জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রয়োজন হয় না। ৭০ নির্বাচন থেকে বর্তমান রাজনীতিবিদের অনেক বিষয় শিখার আছে। মানুষকে জয় করতে না পারলে, কোনো সরকারই আপনাকে ক্ষমতায় বসাতে পারবে না, জনসমর্থন ছাড়া, বন্দুকের নলে অনেকে চেয়ারে বসে ছিলেন, আইউব, ইয়াহিয়া, জিয়া, এরশাদ, কারো পরিনতি বাঙালির অজানা নয়।
মার্চের উত্তাল,অগ্নি ঝরা বাঙালি রূপ ধারন করলে, উত্তাল হয়ে উঠ।
নির্বাচনের ফলাফল, ভোটের অধিকার রক্ষার সংগ্রাম এক সময় সশস্ত্র সংগ্রামে রূপ ধারন করে। ২৮ ফেব্রুয়ারী কাটাসুর মোহাম্মদপুর থেকে বাঙালি অস্ত্র হাতে তুলে নিয়েছিলো। পহেলা মার্চ জাতীয় পরিষদ স্থগিত করা হলে ৩ মার্চ থেকে বাংলার ঘরে ঘরে স্বাধীন বাংলার পতাক উত্তলন করা হয়। ৭ মার্চের ভাষনে জাতির জনক স্বাধীনতার রূপরেখা ঘোষণা করলেন।
৮ মার্চ থেকে রাজপথ দখলে নিয়ে অসহযোগ আন্দোলনের মাধ্যমে স্বৈরাচার সরকারকে পালানোর নির্দেশনা দিয়ে দিলেন।
মানবপ্রেমিক শেখ মজিব এক আজব নির্দেশনায় বিশ্ব অভাগ হয়েছিলো, রিকসা ঠেলাগাড়ি চলবে, শিল্পের মালিকরা ২৮ তারিকে আমার শ্রমিকের মায়নাপত্র বাড়ীতে পৌচিয়ে দিবেন। আমি যা বলি, তাই করতে হবে।
একপয়সাও পশ্চিম পাকিস্তানের পাচার হতে পারবে না। আর আমার বুকের উপর গুলি চালাবার চেষ্টা করো না। ২৫ মার্চে কালো রাতে, কাপুরুষের দল ঘুমন্ত বাঙালির উপর গনহত্যার গুলি চালিছে। বিশ্ব তাবেদার মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ সপ্তম নৌ বহর পাঠিয়ে সেই গনহত্যা কে সমর্থন যুগিয়েছেন। নয় মাসে বাঙালির বাশের লাঠি আটকাতে পারেনি, বিশ্ব মোড়ল চীন মার্কিনীরা। ৯৪ হাজার যুদ্ধ বন্দী বিনিময় হলো। বার বার সেই ভয়াল ২৫ মার্চ আমাদের সামনে হাজির হয়, চিক্কার করে গনহত্যা স্বীকৃতি চাই। আত্মদানকারীদের আত্নার শান্তির জন্য এখনো জাতিসংঘের গনহত্যার স্বীকৃতি আদায় করতে পারিনি মার্কিনিদের জন্য। ইউক্রেন রাশিয়ার যুদ্ধ থেকে আমি সেই স্বপ্ন পুরণের আশা দেখছি,সাম্রাজ্যবাদ পশ্চিমাদের পরাজয়, পাকিস্তানীদের অনুশোচনা,গনহত্যা স্বীকৃতি ও বিচারের পথ উন্মুক্ত হবে।
শেখ হাসিনার সরকারের জন্য।
লেখকঃ বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতির মহাসচিব ও রাজধানী মোহাম্মদপুর থানার ৩৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের চলতি দায়িত্ব প্রাপ্ত সভাপতি জনাব রবিউল আলম।