জনাব রবিউল আলমঃ রাজনৈতিক জীবনের এক অবিশ্বাস্য অধ্যায় ছিলো ৭ মার্চ। মার্চের উত্তাল দিনগুলোর কাগজ আর কলম দিয়ে নতুন প্রয্যর্ম্মকে বুজানো যাবে না। শ্রমিক কৃষক মেহনতী মানুষের ঘরে খাবার নাই, মুখে অগ্নি ঝড়া শ্লোগান। অসহযোগ আন্দোলনের দেশ অচল, রাস্তায় গাড়ী চলে না, অফিসে কর্মকর্তা কর্মচারী যায় না। পৃথিবীতে এমন আজব হরতাল অবরোধ হয়েছে কীনা, আমার জানা নাই। রিক্সা ঠেলাগাড়ি চলবে, শ্রমিক ভাইএরা কাজে যোগদান করতে না পারলেও প্রর্তেক শিল্পের মালিক বেতনের টাকা বাড়ীতে পৌচিয়ে দিবেন। যাতে আমার গরিব ভাইদের কষ্ট না হয়, জাতির জনকে এমন ভাষনে বাড়ী বাড়ীতে শিল্পের মালিকরা বেতন পৌচিয়ে দিয়েছে। দুই ঘন্টার জন্য ব্যাংক খোলা থেকেছে। বঙ্গবন্ধুর আঙ্গুলের ইশারা ছাড়া বাংলার একটি পাতাও নাড়াতে পারেন নাই পাকিস্তান হানাদার সরকার। অঘোষিত সরকার বঙ্গবন্ধু, ৭ মার্চের জনসভার আগেই রাতে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, ততকালীন রমনা রেসকোর্স ময়দান তাবলিক জামাতের মত তাঁবু খাটিয়ে হাজার হাজার জনগণ অবস্থান নিনে নেয়। ৭ মার্চ সকাল থেকে সদরঘাট, কমলাপুর, তেজগাঁও রেলস্টেশনে লোকে লোকারণ্য। ৭ কোটি লোকের দেশের জনসমাগম, এখন ২০ কোটি হওয়ার পরে ৭ মার্চের জনসমাগমকে অতিক্রম করতে পারেন নাই। ৭ মার্চের জনসভায় ভাষনে জাতির জনক অঘোষিত স্বাধীনতার ঘোষনা দিয়েছিলেন কৌশলে। এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম,কিছু বাকী রাখলেন না বাঙালির মনের কথা বলতে। বাংলার প্রতিটি বাড়ীতে স্বাধীনতার পতাকা উত্তোলন করা হয়। বঙ্গবন্ধুর মুখের ভাষা, আঙ্গুলের ইশার বুঝতে জিয়ার স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠের অপেক্ষায় থাকলে হয় নাই বাঙালিকে। ঘরে ঘরে দুর্ঘ গড়ে উঠেছে, যার যা ছিলো, তাই নিয়ে বাঙালি পস্তু হয়ে ছিলো মুক্তির জন্য। মুক্ত একটি মানচিত্রের জন্য, স্বাধীনতার জন্য। প্রতিটি মানুষের মনের মাঝে জনক যে আশা ও আকাংখার বিচ রোপণ করে দিয়েছিলেন মজিব। সেই আগুণের লেলিহান পশ্চিম পাকিস্তানের ও আঘাত হেনেছে। আজও সেই কলংক থেকে পাকিস্তানীরা মুক্ত হতে পারে নাই। চিক্কার করে বলছে, হামকো বাংলাদেশ বানেদাও। জিয়ার অপশাসন, এরশাদের স্বৈরাচার, খালেদা জুলুম অত্যাচার না হলে জনকের স্বপ্নের সোনার বাংলা অনেক আগেই বাঙালীকে আওয়ামীলীগ সরকার উপহার দিতে পারতেন। মজিব জন্মশতবার্ষিকীকে সামনে রেখে বাংলার যেদিকে তাকাবেন, নিজের চোখকে কি বিশ্বাস করাতে পারবেন আওয়ামীলীগ সরকারের ১২ বছরের উন্নয়ন। কোনো আলাউদ্দিনের যাদুর চেরাক ছিলোনা শেখ হাসিনার হাতে, এ দেশের মেহনতী মানুষের কষ্টার্জিত অর্থকে সঠিক ব্যবহার ও পরিকল্পনা থেকেই আজকের বাংলাদেশ। সব স্বঘোষিত সরকারই এই সুযোগ পেয়েছিলেন, জনগণের বিশ্বাস অর্জন করতে পারেন নাই। দেশ কেও কিছু দিতে পারেন নাই নিজেদের লোভ লালশার জন্য। আজ অনেকেই বলেন, জনগণ সরকার বিরোধী আন্দোলন অনেক দুরের কথা, ভোট কেন্দ্রই হাজির হচ্ছে না। দেশের মানুষ পরিবর্তন আশা করে না বলে। বিএনপি-জামাতের শত চেষ্টা বিফল হওয়ার পরে ফকরুল ইসলাম আলমগীর হতাশা নিয়ে বলতে হচ্ছে ইউপি নির্বাচনেও বিএনপি অংশগ্রহণ করবে না। আজব এক রাজনীতির জম্ম দিয়েছে বাংলাদেশের জনগণ। পরিবর্তনের কি প্রয়োজন, ভোট কেন্দ্রে, আন্দোলনে অংশগ্রহণ না করে বুঝিয়ে দিয়েছে, আপনারা হুশে আসবেন কবে ?
লেখকঃ বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতির মহাসচিব ও রাজধানী মোহাম্মদপুর থানার ৩৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামলী লীগের সভাপতি জনাব রবিউল আলম।