উগ্রবাদকে উৎসাহিত করবেন? না নিরুৎসাহিত: সিদ্ধান্ত নিতে ”হবে আওয়ামী লীগকে
রিপোর্টারের নাম
আপডেট সময় :
Saturday, October 2, 2021
470 Time View
জনাব রবিউল আলমঃ
ইতিমধ্য উগ্র মৌলবাদিরা জামিন পেয়ে বেরিয়ে আসছে, স্ব স্ব মসজিদ মাদ্রাসায়, স্ব পদে পুর্ণবহালের তদবির নিয়ে হাজির হচ্ছে স্থানীয় চেয়ারম্যান কাউন্সিলর ও মসজিদ মাদ্রাসা কমিটির সভাপতিদের ধারে ধারে। অনেকেই অনেক ভাবে ম্যানেজ হচ্ছেন। স্থানীয় আওয়ামীলীগ বিপাকে কমিটি গুলোতে না থাকার কারনে। কাকে কি বলবেন, কীভাবে শুরু করতে হবে উগ্রবাদ বিরোধীদের বিরুদ্ধে করনীয়।নতুন করে শিখার প্রয়োজন আছে কি আওয়ামীলীগারদের ? আওয়ামীলীগ তার নিজস্ব সিদ্ধান্ত নীতি আদর্শ বজায় রাখতে পারলে মৌলবাদ মাথা চারা দেওয়া সম্ভব নয়। বাধ সেধেছে ভোটের হিসেবে, ভোটের রাজনীতিতে। জনপ্রতিনিধি হওয়ার ইচ্ছা থেকে। একজন কাউন্সিলর, একজন চেয়ারম্যানের সাথে রাজনৈতিক হিসেব মিলাতে পারবেন না :একজন ওয়ার্ড সভাপতির। রাজনৈতিক বিপত্তিটা এখানেই। কাউন্সিলর সাহেব সব সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না,দলকে সময় দিতে পারেন না, দলের কর্মসুচিতে অংশগ্রহণ করতে জানেন না বিমতের ভোটের আশায়। দলকে মনে করেন তাদের পকেটে মনোনয়ন অর্জন করার মাধ্যমে। বিপক্ষ মতকে লালন পালন করে নিজের ক্ষমতা কিছুটা টিকিয়ে রাখতে পারলেও রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় দল থাকতে পারবেন না। এই কথাটা বুজাইবো কে। রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দল হারালে আপনাদেরকে জিগাইবো কে ? মৌলবাদ, উগ্রবাদীদের প্রকৃত রূপ দেখবেন পরে। আমার এলাকার মাওলানা ইলিয়াস ইতিমধ্যে জামিনে মুক্তি পেয়েছে। চাকরিচ্যুত ইমাম হওয়ার পরেও না-কি কাউন্সিলর অফিসে ধরনা দিচ্ছেন পুর্ণবহালের জন্য। পুলপার মসজিদ কমিটি সভাপতির দায়ীত্ব নেওয়ার পরেও শেখ হাসিনার উন্নয়ন নিয়ে একটি কথাও বলেন না, শেখ মজিবের আত্নার মাকফেরাত কামনা করে দোয়া হয় না। অনেক মসজিদের ইমামরা তাবলিক কে শাদ ও হেফাজত পন্থী বিতর্ক চালিয়ে রেখেছেন। আলহাজ্ব মোঃ সাদেক খান এমপির অসুস্থতার সুযোগে। মাওলানা ইলিয়াস হাকডাক দেখে আমার মনে হয় সারা বাংলাদেশ উগ্রবাদীরা এমনি হুংকার দিচ্ছেন। মজিববাদী বিচাপতি সামসুদ্দিন মানিককে অনেক বিতকৃত করেছিলো সিনহা।তবু হিন্দু হওয়ার জন্য বিশ্বাসের স্থানটা ছিলো তার দখলে।অনেক মুল্য দিতে হয়েছে।দলিয় একনিষ্ঠ নেতা কর্মীর জন্য কোনো নির্দেশনা নাই। কাউন্সিলর চেয়ারম্যানের সহযোগীতা নাই। সবক্ষেত্রে সব ওয়ার্ড ইউনিয়নে না হলেও আমার ওয়ার্ডে মৌলবাদ উগ্রবাদী ও মাদক কারবারীদের অভয়ারণ্য চলছে,ভোটের আশায়। যারা তাদেরকে আশ্র-প্রশ্র দিচ্ছেন, তাদের কাছে প্রশ্ন, তারা কি আপনাদেরকে ভোট দিয়েছে ? ভোটের আগে তাদের প্রয়োজন না হলেও ভোটের পরে তাদেরকে প্রয়োজন হলো কেনো ? মসজিদ মাদ্রাসায় সরকার বিরোধী কল্প কাল্পনিক গল্প গুজব চলছে, নিজেরা বন্দ করেন না। ওয়ার্ড আঃলীগের সহায়তাও নেন না। মসজিদ মাদ্রাসা কমিটির কাছ থেকে তাদের উপর অর্পিত দায়ীত্ব পালন হচ্ছে কি-না দেখার কেউ নেই, সরকারের অনুদানে চেক নিতে ঠিকিই আসেন। কোনো কমিটিতে আঃলীগ নাই, কারা এই কমিটি গুলো চালান ? দলের নিবেদিত চিকুন নেতা কর্মীর মনোনয়ন দিতে পারেন না, বিমতের মোটা খুঁজেন। কয়জন আগা খান মিন্টু এমপি আছেন দলের সম্মান রক্ষা করার জন্য ? প্রশ্ন অনেক দলের কাছে, কি উত্তর আছে ? দিবেন কি-না তাও জানিনা। সবাই এখন কাউন্সিল নিয়ে ব্যস্ত। ৫৬০ মসজিদ মাদ্রাসা কমপ্লেক্স হচ্ছে, সেখানেও আঃলীগের নিবেদিতদের স্থান হবে ? না-কি টাকার বিনিময় কমিটি বিক্রি হবে ? সঠিক লোক নিয়োগ দিতে ব্যর্থ হলে, মাসুল দিতে হবে আমাদের কে-ই।
লেখকঃ বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতির মহাসচিব ও রাজধানী মোহাম্মদপুর থানার ৩৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি জনাব রবিউল আলম।