মোঃ ইব্রাহিম হোসেনঃ মুসলিম জাহানের ঐক্যের প্রতিক ছিলো ফিলিস্তিনদের অধিকার। মুসলিম জাহানের বাদশারা নিজের হ্মমতার মসনদ জন্য একের পর এক গোপন আঁতাতের মাধ্যমে সেই অধিকারের ব্যবসা করেছেন।
সৌউদিরা তাদের বাদশাহী টিকিয়ে রাখার জন্য বিশ্বের এমন কোনো ঘৃনিত কাজ নাই, যা সৌদিআরব করে নাই। ধারাবাহিকতা বজায় রেখে চলেছেন অন্যরা। ইসরায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধে মিসরের অবদান অনেক, সেই মিসর নিজেকে রহ্মার জন্য প্রথম প্রকাশ্যে ইসরায়েলের সাথে সম্পর্ক উন্নয়নে বাদ্যহন। আমিরাত, বাহরাইন, ভারত প্রকাশ্যে এসেছে, সৌদিতে চলছে পারিবারিক দ্বন্দ্ব, তবে ইসরায়েল সাথে ঘোপণ আঁতাত চলছে জন্মগত।
ইসলামিক উম্মার ভয়ে একসময় ভারতও ইসরায়েলের সাথে সম্পর্কে চিন্তা করতে সাহস হতো না। ফিলিস্তিনির জনগণ এই বিষয় যত তাড়াতাড়ি অনুধাবন করবেন, ততই মঙ্গল।
মুসলিম জাহানে মুনাফিকের সংখ্যা বেশি হওয়াতে তাদের অধিকার আদায়ে বিলম্বিত হচ্ছে, আধো হবে কী না, তা নিয়েও আমি সন্ধিহান। ওরা দুর্ভাগা ভারতের মত প্রতিবেশী বন্ধু ও জাতির জনকের মত নেতা, বাঙালীর মত উজ্জীবিত,সম্মিলিত আত্নদান করতে পারেন নাই বলেই স্বাধীনতা অর্জন এখনো হয় নাই। রক্ত ও জীবনদানে কিন্তু ফিলিস্তানের জনগণ পিছিয়ে নেই।
বাঙালীর মত বুকে গুলি গ্রহন কম হয়েছে, ১০ জনকে মেরে একজন নিজের জীবন বিলিয়ে দেওয়ার মানুষ একমাত্র বাঙালীর মাঝেই আপনি খুঝে পাবেন। কবরের পাশে দাড়িয়ে একমাত্র বাঙালী জাতির পিতাই বলতে পেরেছেন, আমরা লাশটা, আমার জাতির কাছে পাঠিয়ে দিয়, এ কথা, এই ভাষার মানুষ ফিলিস্তানে কোথায়? আমাদের মুক্তিযুদ্ধের কৌশল, বুকে গ্রেনেড নিয়ে শ্রত্রু পহ্মের ক্যাম্প আক্রমণ, গুপ্ত হত্যা আমি ফিলিস্তানে দেখি নাই। বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনা করলে ফিলিস্তিনির পুর্ণাঙ্গ স্বাধীনতা অসম্বব। ওরা সবাই বাচতে চায়।প্রতিবেশী বিশ্বাস ঘাতক।
লেখকঃ বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতির মহাসচিব ও রাজধানী মোহাম্মদপুর থানার ৩৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামলী লীগের সভাপতি জনাব রবিউল আলম।