জনাব রবিউল আলমঃ একুশ কি তামাশায় পরিনত হচ্ছে ? নাকি একুশ নিয়ে আমাদের সাথে মজা করা হচ্ছে, বুঝতে পারছিনা। একুশ এখন আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবশ। মায়ের ভাষায় কথা বলার জন্য বাঙালির ভাষা আন্দোলনকে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে, জাতিসংঘের মাধ্যমে বিশ্ব গ্রহন করেছে আমাদের অর্জন একুশকে। পৃথিবীর অনেক দেশে ভাষা দিবশ পালন করা হয় একুশে ফ্রেরুয়ারী। বিশ্বের সকল মায়ের ভাষার স্বীকৃতি আদায় করেছে বাংলা, বাঙালি। আমরা গর্ব করতেই পারি। ইংরেজি কি কোনো মায়ের ভাষা নয় ? আমরা কি অন্য ভাষাকে অপমান, অপসারন করতে পারি ? একুশ আসলেই সিটি কর্পোরেশন ও সরকারের কিছু সংস্থা ইংরেজি সাইনবোর্ড অপসারণের ব্যস্ত হয়ে পরে। মিডিয়া বেপক ভাবে প্রচার করে, বাংলার জন্য মায়া কান্নার সুর তুলেন। অথচ নিজের সংস্থার বিজ্ঞাপন গুলো এখনো ইংরেজিতে প্রচার করেন। ইংরেজি সহ অন্যন্য ভাষার সাইনবোর্ড বোল্ডোজার দিয়ে গুরিয়ে দিয়ে কি মাতৃভাষা আন্তর্জাতিক হবে ? নাকি মাতৃভাষা ভাষাকে সম্মান করা হবে ? বাংলা আমার মাতৃভাষা হলে বিশ্বের সকল জাতির মায়ের ভাষাকে আমাদের সম্মান করতে হবে, তবেইতো আমাদের একুশকে বিশ্ব মাতৃভাষার সম্মানের আসনে অতিষ্ট করবে। সফল হবে বাঙালির ভাষার জন্য আন্দোলন। বিশ্বের কোন ভাষায় বুঝাতে হবে আমার বাঙালির অর্জন মায়ের ভাষার জন্য জীবন দান। আমরা বিশ্বের সকল মায়ের ভাষাকে গ্রহন করলেই স্বার্থক হবে একুশ আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবশ। আমার মায়ের ভাষা বাংলাকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে হলে অন্য মায়ের ভাষাকে গুরিয়ে দিয়ে হবে না। অন্য মায়ের ভাষাকে অসম্মান করেও হবে না। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবশ অর্থ বাংলাকেই সারা পৃথিবীর মায়ের ভাষা হয়ে গেলো না। মায়ের ভাষাকে সম্মান করার অধিকার আদায়ের দিনটি একুশে ফ্রেরুয়ারীকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে বলেই আমি মনে করি। আমরা আমাদের জাতিকে বাংলা ভাষার জন্য প্রস্তুত করবো, অন্য ভাষা অর্জনে সহায়তা করবো সারা বিশ্বে আমার মায়ের ভাষাকে বিস্তার করতে পারেন, বুঝাতে পারেন মাতৃভাষার গুরুত্ব। বাংলা আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবশ, ইংরেজি আন্তর্জাতিক ভাষা এই মুহুর্তে সাইনবোর্ড গুরিয়ে দিয়ে কি বুঝাতে চাইছেন, নাকি জাতির সাথে, আন্তর্জাতিক সংস্থার সাথে তামাশা করছেন ? সকল বিদেশী মিশনে ও সঃস্থার ইংরেজি সাইনবোর্ড কি গুরিয়ে দিতে পারবেন ? না পারলে বাংলাকে প্রধান করে ইংরেজিকে সঙ্গে রাখার অনুমোদন করুন, গুরিয়ে দিয়ে নয়। ইংরেজি সাইনবোর্ড ভেঙে ভাষাকে অপমান করবেন না, আমাদেরকে আন্তর্জাতিক ভাবে ছোট হতে হয়, জবাবদিহি করতে হয়।
লেখকঃ বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতির মহাসচিব ও রাজধানী মোহাম্মদপুর থানার ৩৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামলী লীগের সভাপতি জনাব রবিউল আলম।