জনাব রবিউল আলমঃ আওয়ামী লীগের রাজনীতি ইতিহাস ঐতিহ্য, সেনাপ্রধানের সততা, দায়ীত্ব ও কর্তব্য নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে আল-জাজিরার মাধ্যমে। সরকারের বিরুদ্ধে প্রশ্ন তোলেন রিজভী, বিএনপি-জামাতের প্রশ্নের সাথে সমাজতন্ত্রের, সুশীল সমাজের নামে হাজারো প্রশ্ন উঠছে, উঠতেই পারে। সব অভিযোগ মিথ্যে বলা যাবে না। সরকার কিছু অভিযোগ গ্রহন করে সতর্ক যে হয় নাই, তাও বলা যাবে না। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজের দলের ভিতর থেকে দুর্নীতি বিরোধী অভিযান শুরু করেছেন। রিজভীদের অতি বচনের জনগনের কাছে গ্রহনযোগ্যতা নেই। আল-জাজিরার অতি বচনের কারন অনুসন্ধান করবেন দেশের জনগণ। অতিপ্রচারের সুযোগ দিতে হবে। ইতিমধ্যে আমরা অবগত হয়েছি ১০ টি পর্ব চিত্রায়ীত করেছেন আল-জাজিরা। সারশুন্য দ্বিতীয় পর্ব প্রচারিত হয়েছে। বাকী ৭ পর্ব প্রচারিত হলে রিজভীর মতো বাচালে পরিনত হবে।অতিরিক্ত কিছুই ভালো না, রাষ্ট্র যন্ত্র ব্যবহার করে অতিরিক্ত প্রচার খালেদা জিয়ার জন্মদিন ১৫ আগস্ট প্রমান করতে পারেন নাই, জিয়াকে স্বাধীনতার ঘোষক বানানো যায় নাই। শেখ হাসিনার মানব প্রেম, উন্নয়নের চমক মুছে দিতে পারবেন না।বাংলার মানুষের মন থেকে জাতির জনকের আসন ও বিশ্বের সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ট বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানকে কেড়ে নিতে পারবেন না। আমি নিজের কাছেই কিছু প্রশ্ন করতে চাই:সরকার বিরোধী প্রচার সেলের কনক সারোয়ার, ইলিয়াস, সামী সহ আল-জাজিরার ফলোআপ লহ্মনীয়। আওয়ামীলীগের প্রচার সেলের প্রচারের ফলোআপ প্রশ্নবৃদ্ধ, দায়ীত্বে কারা ? যারা সরকার ও আওয়ামীলীগের পহ্মে কলম ধরেন, ফেসবুক, টুইটার, অনলাইনের প্রচার প্রচারোনায় অংশগ্রহণ করছেন, তাদের লাইক শেয়ার, মন্তব্য লহ্ম করলেই বুজতে অসুবিধা হয় না। আমার নিজের অভিজ্ঞতা থেকেই অনুমান করছি। ১৯৭২ সালে শাপলা কুঁড়ির আসর বাংলার বানী থেকে লেখা শুরু করেছি, আজও আওয়ামীলীগ প্রচার সেলের আমন্ত্রণে এককাপ চা আমার ভাগ্য হয় নাই।বিএনপি-জামাতের অগুনিত মামলা হামলার অভাব হয় নাই। আওয়ামীলীগ বিরোধী ছলিমুদ্দিন কলিমুদ্দিন লেখকরা লণ্ডন আমেরিকা ঘুরে বেড়ায়। আত্নগোপনে থেকে লেখেও লহ্ম লহ্ম লাইক শেয়ার মন্তব্য অর্জন করেন। ভাস্কর্য বিরোধী, সরকার বিরোধী ওয়াজের ভিডিও, বক্তাদের কদর অপরিসীম। আমাদেরকে মুল্যায়ন অনেক দুরের কথা, উৎসাহিত করার মতো লাইক শেয়ার মন্তব্যের দায়ীত্ব পালন ও করেন না। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পহ্মে সব বিষয় লহ্ম রাখা সম্ভব হয় না বলেই প্রচার সেলকে দায়ীত্ব অর্পণ করেছেন। রাষ্ট্রপতি প্রধানমন্ত্রী, সেনাপ্রধান নিয়ে আল-জাজিরার অপ্রচারের অনেক বিষয় চিহ্নত করে প্রতিবাদ, দেশিও ফলোয়ার দেরকে জবাব দিহিতায় আনা যেতো। অপপ্রচারের মন্তব্য থেকেও জবাব দিহিতা সৃষ্টি করা যায়, দেশিয় এজেন্টের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি করা যায়। আল-জাজিরার অপপ্রচার সরকারের একতর্ফা হ্মতি করেছে বলে আমি বিশ্বাস করি না, সরকারকে সতর্ক করেছেও। যারা অপকর্মে সাথে জরিত, তাদেরকে একটি বার্তা দেওয়া হয়েছে, সরকার ইচ্ছে করলেও এই বার্তা দিতে পারতেন না। আল-জাজিরার সমালোচনায় সব সমস্যা সমাধান হবে না, নিজেদের সতর্ক হওয়ার প্রয়োজন। যারা দলের মাঝে নিজেদেরকে আলাদা করে নিয়েছেন, তারাই নিজেকে বাচাতে দলীয় ঐক্য গড়ে তুলবেন। আল-জাজিরার চেয়ে বড় অপপ্রচার যাতে না হতে পারে। আশা করি আওয়ামীলীগের প্রচার সেল একটু হলেও নরেচরে বসবেন। আল-জাজিরাকে সামনে রেখে দিন ব্যাপি একটি আলোচনার ব্যবস্থা গ্রহন করে মতামত নেওয়ার চেষ্টা করুন। করনীয় নির্ধাণ করুন।
লেখকঃ বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতির মহাসচিব ও রাজধানী মোহাম্মদপুর থানার ৩৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামলী লীগের সভাপতি জনাব রবিউল আলম।